বিজয় মানে একটা মানচিত্র।
বিজয় মানে লাল সবুজের পতাকা।
বিজয় মানে একটা গর্বিত জাতি।
বিজয় মানে অস্তিত্বে বাংলাদেশ
জন্ম হোক নতুন এক বাংলার, যেখানে সকলে সবার হাত ধরে ঘড়ে তুলবে আমাদের এই বাংলা কে। আখ্যা দেবে আমাদের নতুন প্রজন্মকে। বিজয়কে মনে ধারণ করে, দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও জনগণের প্রতি ভালবাসা রেখে বিজয়ের উল্লাসে উজ্জাবিত হোক ১৬ ডিসেম্বর।
আসুন সবাই মিলে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলি, বিজয়ের ৫৩ বছরে এই হোক আমাদের প্রত্যয়।
সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা #বিজয়_দিবস #ইন্সপায়ারিং_বাংলাদেশ
স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পুত্র ও তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
প্রধানমন্ত্রী সপরিবারে পদ্মা সেতু হয়ে গোপালগঞ্জে যান ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পদ্মা সেতু হয়ে এই যাত্রা অন্যান্য দিনের চেয়েও অনেক আনন্দের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের জন্য। কারণ এই পদ্মা সেতু করতে গিয়ে পুরো পরিবারকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করেছে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা। শত ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে আজকে বাস... moreস্বপ্নের পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পুত্র ও তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
প্রধানমন্ত্রী সপরিবারে পদ্মা সেতু হয়ে গোপালগঞ্জে যান ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পদ্মা সেতু হয়ে এই যাত্রা অন্যান্য দিনের চেয়েও অনেক আনন্দের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের জন্য। কারণ এই পদ্মা সেতু করতে গিয়ে পুরো পরিবারকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করেছে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা। শত ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে আজকে বাস্তবে রূপ নিয়েছে আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু, যা আমাদের সক্ষমতার প্রতীক। সারাদেশের মানুষের জন্যই এই পদ্মা সেতু আজ আশীর্বাদ।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ সেতু নির্মাণের ফলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও দ্রুত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলো।
শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল সম্ভাবনাময় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বহুমুখী উন্নয়নে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। এ সেতু চালু হলে বিশেষ করে শিল্পায়ন ও পর্যটন শিল্পে অগ্রসর এ অঞ্চলের উন্নয়নে নতুন দ্বার ... moreপদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ সেতু নির্মাণের ফলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও দ্রুত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলো।
শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল সম্ভাবনাময় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বহুমুখী উন্নয়নে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। এ সেতু চালু হলে বিশেষ করে শিল্পায়ন ও পর্যটন শিল্পে অগ্রসর এ অঞ্চলের উন্নয়নে নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। টুঙ্গীপাড়াস্থ জাতির পিতার সমাধিসৌধ, সুন্দরবন ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসহ নানা প্রত্নতাত্ত্বিক ও দর্শনীয় স্থানসমূহে পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পাবে।
নদীবিধৌত উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষি ও মৎস্য সম্পদ আহরণ এবং দেশব্যাপী দ্রুত বাজারজাতকরণে পদ্মা সেতু বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ (শনিবার) এক গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক দিন। প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য আজ খুলে দেওয়া হচ্ছে। চ্যালেঞ্জিং ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প’ বাস্তবায়নে নিয়োজিত সর্বস্তরের দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, পরামর্শক, কর্মকর্তা-কর্মচারী; নিরাপত্তা তদারকিতে নিয়োজিত সেনাবাহিনী ও নির্মাণ শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাদের অবদান ও অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য অভিবাদন জানাই।
সেতুর দুই প্রান্তের জনগণ জমি দিয়ে ও নানাভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করায় তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করে। কানাডার আদালত সেসব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে রায় দেয়। সব দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয় । আমরা বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিলে জনগণের কাছ থেকে বিপুল সমর্থন পাই।
‘জনতার শক্তি হৃদয়ে ধারণ করে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে আজ আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছি। দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। দুর্নীতিমুক্ত বীরের জাতি হিসেবে বাঙালি নিজেদের বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত- ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না’- এই চিরপ্রেরণার বাণীতে উজ্জীবিত হয়ে আমরা প্রমাণ করেছি আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা।’
পদ্মা সেতু যোগাযোগ ব্যবস্থায় সূতিকাগার হিসেবে কাজ করবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এরই মধ্যে এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত পায়রা সমুদ্রবন্দর, বৃহৎ নদীসমূহের ওপর নির্মিত সেতু, রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মংলা সমুদ্রবন্দরের পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহারে এ সেতু যোগাযোগ ব্যবস্থায় সূতিকাগার হিসেবে কাজ করবে। এই অঞ্চলে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ বেনাপোল, ভোমরা ও দর্শনা প্রভৃতি স্থলবন্দরের মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
‘এ সেতুর মাধ্যমে দুই প্রান্তে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অপটিক্যাল ফাইবারসহ পরিষেবাসমূহের সংযোগ স্থাপিত হবে। এ সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে সার্বিকভাবে দেশের উৎপাদন ১ দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং প্রতি বছর শুন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য নিরসনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ সেতু অনন্য অবদান রাখবে।’
দেশপ্রেমিক জনগণের আস্থা ও সমর্থনের ফলেই আজকে উন্নয়নের এ নতুন অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনেও গণমানুষের আশা-আকাঙ্খা ও স্বপ্ন পূরণে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবো। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।
বিশ্ববাসীকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্য জানাতে বিশ্ব সফর করেন ইন্দিরা গান্ধী
১৯৭১ সাল। এখনকার মতো ফেসবুক, ইউটিউব বা কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। ফলে বাংলার মাটিতে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটছে বাইরে থেকে তার সঠিক তথ্য পাওয়া ছিল খুবই কঠিন। স্যাটেলাইট টিভিতেও এই সংবাদ সম্প্রচার করা ছিল দূরহ ব্যাপার। শুধু কয়েকটি আন্তর্জাতিক পত্রিকার মাধ্যমে টুকটাক অল্প কিছু তথ্য জানতে পারছিল ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকার জনগণ।
ঠিক এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে পাকিস্তানি ... moreবিশ্ববাসীকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্য জানাতে বিশ্ব সফর করেন ইন্দিরা গান্ধী
১৯৭১ সাল। এখনকার মতো ফেসবুক, ইউটিউব বা কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। ফলে বাংলার মাটিতে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটছে বাইরে থেকে তার সঠিক তথ্য পাওয়া ছিল খুবই কঠিন। স্যাটেলাইট টিভিতেও এই সংবাদ সম্প্রচার করা ছিল দূরহ ব্যাপার। শুধু কয়েকটি আন্তর্জাতিক পত্রিকার মাধ্যমে টুকটাক অল্প কিছু তথ্য জানতে পারছিল ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকার জনগণ।
ঠিক এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ও তাদের রক্তচোষা রাজনীতিকরা। বহির্বিশ্বে তারা এটিকে গৃহযুদ্ধ বলে অপপ্রচার চালাতে শুরু করে। তারা বিভিন্ন দেশ ঘুরে ঘুরে বলতে থাকে- 'বাংলার মাটিতে কোনো গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাট হয়নি। অল্প কিছু দুর্বৃত্তকে দমানোর জন্য পাকিস্তানি সেনারা অভিযান চালাচ্ছে।' পশ্চিম পাকিস্তানিদের কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নিয়মিত এরকম তথ্য পাওয়ার কারণে, বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো এখানকার প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অন্ধকারে ছিল।
একারণে, পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করতে পেরে, বাংলাদেশের রণাঙ্গণে জীবন বাজি রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে প্রচারণা চালাতে বিশ্ব ভ্রমণে বের হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। তার উদ্দেশ্য ছিল- পাকিস্তানিদের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার লাখ লাখ বাঙালির আর্তনাদ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীদের চিৎকার সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেওয়া। তিনি চেয়েছিলেন, পাকিস্তানিদের অমানুষিক নির্যাতনের কারণে বাংলার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া প্রায় এক কোটি বাঙালির মানবেতর জীবনের কথা বিশ্ববাসীকে জানাতে।
এজন্য ১৯৭১ সালের ২৪ অক্টোবর ১৯ দিনের জন্য বিশ্ব সফরে বের হন ইন্দিরা গান্ধী। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের কাছে বাংলাদেশের যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেন তিনি। বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, আমেরিকাসহ অনেক দেশে গিয়ে তাদের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। ৪ ও ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের সঙ্গে বৈঠক হয় তার। কিন্তু নিক্সন বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধ বলে হালকাভাবে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। বৈঠকেই এর তীব্র প্রতিবাদ জানান শ্রীমতি গান্ধী।
পরের দিন, ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ভাষণে আমেরিকার জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, 'পাকিস্তানি সামরিক সরকার ২৫ মার্চ পূর্ববাংলায় এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে। পাকিস্তানিদের চরম অত্যাচারের মুখে লক্ষ লক্ষ বাঙালি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। পূর্ববাংলার মানুষ এখন স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার, তাদের নেতা শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে চালান দেওয়া হয়েছে। ঘটনার অনিবার্যতা তাদের পৃথক রাষ্ট্র গঠনে বাধ্য করছে।'
৭ নভেম্বর তার ফ্রান্স সফরের আগে বৈঠকের প্রস্তাব দেয় পাকিস্তানি জান্তা ইয়াহিয়া খান। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেন মিসেস গান্ধী। বাংলার অকুতোভয় তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি মুগ্ধতা এবং নিপীড়িত বাঙালি জাতির প্রতি ভারতবাসীর গভীর ভালোবাসার বহির্প্রকাশ ছিল এটি।
মূলত ভারতের সরকার প্রধানের এই বিশ্ব সফরের কারণেই বিশ্ববাসী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং পাকিস্তানি হানাদারদের পাষবিকতা সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানতে পারে। ফলে বিশ্বজুড়ে জনমত গড়ে উঠতে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায় এটি। এছাড়াও এর আগে ও পরে জাতিসংঘ, বিশ্ব শান্তি সংঘ এবং রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) নেতাদের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক করেন ইন্দিরা গান্ধী। ভারতের কারণেই পরবর্তীতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দেয় পরাশক্তি রাশিয়া। ফলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে ভীত হয়। ফলে পাকিস্তানি হানাদারদের হারিয়ে দীর্ঘ দুই যুগের দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি লাভ করে আপামর বাঙালি।
গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয় ছিল ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগের মাসে যা ছিল ২.৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের বৈদেশিক রপ্তানি আয় সর্বকালের সর্বোচ্চ ৩.৩ বিলিয়ন মার্কি...
ইভেন্ট :বুক রিভিউ
নেতা ও পিতা
তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে যেমন পাঠকমহলে বহুল প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি সমালোচিতও হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থে কেউ কেউ বইটিকে খণ্ডিতভাবে...