বিশ্ববাসীকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্য জানাতে বিশ্ব সফর করেন ইন্দিরা গান্ধী
১৯৭১ সাল। এখনকার মতো ফেসবুক, ইউটিউব বা কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। ফলে বাংলার মাটিতে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটছে বাইরে থেকে তার সঠিক তথ্য পাওয়া ছিল খুবই কঠিন। স্যাটেলাইট টিভিতেও এই সংবাদ সম্প্রচার করা ছিল দূরহ ব্যাপার। শুধু কয়েকটি আন্তর্জাতিক পত্রিকার মাধ্যমে টুকটাক অল্প কিছু তথ্য জানতে পারছিল ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকার জনগণ।
ঠিক এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে পাকিস্তানি ... moreবিশ্ববাসীকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্য জানাতে বিশ্ব সফর করেন ইন্দিরা গান্ধী
১৯৭১ সাল। এখনকার মতো ফেসবুক, ইউটিউব বা কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। ফলে বাংলার মাটিতে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটছে বাইরে থেকে তার সঠিক তথ্য পাওয়া ছিল খুবই কঠিন। স্যাটেলাইট টিভিতেও এই সংবাদ সম্প্রচার করা ছিল দূরহ ব্যাপার। শুধু কয়েকটি আন্তর্জাতিক পত্রিকার মাধ্যমে টুকটাক অল্প কিছু তথ্য জানতে পারছিল ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকার জনগণ।
ঠিক এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ও তাদের রক্তচোষা রাজনীতিকরা। বহির্বিশ্বে তারা এটিকে গৃহযুদ্ধ বলে অপপ্রচার চালাতে শুরু করে। তারা বিভিন্ন দেশ ঘুরে ঘুরে বলতে থাকে- 'বাংলার মাটিতে কোনো গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাট হয়নি। অল্প কিছু দুর্বৃত্তকে দমানোর জন্য পাকিস্তানি সেনারা অভিযান চালাচ্ছে।' পশ্চিম পাকিস্তানিদের কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নিয়মিত এরকম তথ্য পাওয়ার কারণে, বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো এখানকার প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অন্ধকারে ছিল।
একারণে, পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করতে পেরে, বাংলাদেশের রণাঙ্গণে জীবন বাজি রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে প্রচারণা চালাতে বিশ্ব ভ্রমণে বের হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। তার উদ্দেশ্য ছিল- পাকিস্তানিদের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার লাখ লাখ বাঙালির আর্তনাদ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীদের চিৎকার সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেওয়া। তিনি চেয়েছিলেন, পাকিস্তানিদের অমানুষিক নির্যাতনের কারণে বাংলার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া প্রায় এক কোটি বাঙালির মানবেতর জীবনের কথা বিশ্ববাসীকে জানাতে।
এজন্য ১৯৭১ সালের ২৪ অক্টোবর ১৯ দিনের জন্য বিশ্ব সফরে বের হন ইন্দিরা গান্ধী। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের কাছে বাংলাদেশের যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেন তিনি। বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, আমেরিকাসহ অনেক দেশে গিয়ে তাদের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। ৪ ও ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের সঙ্গে বৈঠক হয় তার। কিন্তু নিক্সন বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধ বলে হালকাভাবে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। বৈঠকেই এর তীব্র প্রতিবাদ জানান শ্রীমতি গান্ধী।
পরের দিন, ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ভাষণে আমেরিকার জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, 'পাকিস্তানি সামরিক সরকার ২৫ মার্চ পূর্ববাংলায় এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে। পাকিস্তানিদের চরম অত্যাচারের মুখে লক্ষ লক্ষ বাঙালি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। পূর্ববাংলার মানুষ এখন স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার, তাদের নেতা শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে চালান দেওয়া হয়েছে। ঘটনার অনিবার্যতা তাদের পৃথক রাষ্ট্র গঠনে বাধ্য করছে।'
৭ নভেম্বর তার ফ্রান্স সফরের আগে বৈঠকের প্রস্তাব দেয় পাকিস্তানি জান্তা ইয়াহিয়া খান। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেন মিসেস গান্ধী। বাংলার অকুতোভয় তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি মুগ্ধতা এবং নিপীড়িত বাঙালি জাতির প্রতি ভারতবাসীর গভীর ভালোবাসার বহির্প্রকাশ ছিল এটি।
মূলত ভারতের সরকার প্রধানের এই বিশ্ব সফরের কারণেই বিশ্ববাসী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং পাকিস্তানি হানাদারদের পাষবিকতা সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানতে পারে। ফলে বিশ্বজুড়ে জনমত গড়ে উঠতে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায় এটি। এছাড়াও এর আগে ও পরে জাতিসংঘ, বিশ্ব শান্তি সংঘ এবং রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) নেতাদের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক করেন ইন্দিরা গান্ধী। ভারতের কারণেই পরবর্তীতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দেয় পরাশক্তি রাশিয়া। ফলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে ভীত হয়। ফলে পাকিস্তানি হানাদারদের হারিয়ে দীর্ঘ দুই যুগের দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি লাভ করে আপামর বাঙালি।
ইতিহাসের পাতা থেকে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার দলিলপত্রঃ
Letter by Prime Minister Indira Gandhi to Prime Minister Tajuddin Ahmed conveying India's recognition
December 6, 1971
Dear Prime Minister,
My colleagues in the Government of India and I were deeply touched by the message which His Excellency the Acting President Syed Nazrul Islam and you sent to me on December 4. On its receipt, Government of India once again considered your request to accord recognition to the People's Republic of Bangla... moreইতিহাসের পাতা থেকে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার দলিলপত্রঃ
Letter by Prime Minister Indira Gandhi to Prime Minister Tajuddin Ahmed conveying India's recognition
December 6, 1971
Dear Prime Minister,
My colleagues in the Government of India and I were deeply touched by the message which His Excellency the Acting President Syed Nazrul Islam and you sent to me on December 4. On its receipt, Government of India once again considered your request to accord recognition to the People's Republic of Bangladesh which you lead with such dedication. I am glad to inform you that in the light of the circumstance which prevail at present, Government of India have decided to grant the recognition. This morning I made a statement on the subject in our Parliament. I enclose a copy.
The people of Bangladesh have gone through much suffering. You young men are engaged in a self-saonficinq struggle for freedom and democracy. The people of India are also fighting in defence of the same values. I have no doubt that this companionship in endeavour and sacrifice will strengthen our dedication to great causes and the friendship between our two peoples. However long the road and however exacting the sacrifice that our two peoples may be called upon to make in the future. I am certain that we shall emerge triumphant. I take this opportunity to convey to you personally, to your colleagues and to the heroic people of Bangladesh my greetings and best wishes. I should also like to take this opportunity to convey through you to His Excellency Syed Nazrul Islam, Acting President of the People's Republic of Bangladesh, the assureances of my highest esteem
টিকা নিনসুস্থ থাকুন।কোভিড-১৯ করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রতিক্রিয়াঅনলাইনে নিবন্ধন করুন www.surokkha.gov.bdলিংকে রেজিস্ট্রেশন করে এবং নির্ধারিত কেন্দ্রে নির্দিষ্ট দিনে ভ্যাকসিন গ্রহণ করে নিজেকে ও দেশকে সুরক্ষিত রাখুন।#Covid19#করোনা#ভ্যাকসিন... moreটিকা নিন
সুস্থ থাকুন।
কোভিড-১৯ করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রতিক্রিয়া
অনলাইনে নিবন্ধন করুন www.surokkha.gov.bd
লিংকে রেজিস্ট্রেশন করে এবং নির্ধারিত কেন্দ্রে নির্দিষ্ট দিনে ভ্যাকসিন গ্রহণ করে নিজেকে ও দেশকে সুরক্ষিত রাখুন।
#একদল যাত্রী নিয়ে একটি জাহাজ সমুদ্রপথে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাচ্ছিলো। যাত্রীদের মধ্যে একজন দক্ষ কাঠমিস্ত্রিও ছিল। #কিন্তু যাত্রাপথে ভয়ানক ঝড়ের কবলে পরে জাহাজটি ডুবে গেল। অনেক যাত্রী সাগরে ডুবে মারা গেলেও ওই কাঠমিস্ত্রী তার যন্ত্রপাতির ব্যাগটি নিয়ে ভাসতে ভাসতে একটি নির্জন দ্বীপে এসে পৌছালো। দ্বীপটিতে জনমানব না থাকলেও অনেক ফলজ এবং বনজ গাছাগাছালিতে পরিপূর্ণ ছিল। #সে প্রথম দুদিন বেশ হতাশ ছিল, কারন এই নির্জন দ্বীপ থেকে তার কোনোদিন নিজ ঠিকানায় ফেরা হবে কিনা, সে সম্পর্কে সে ন... more#একটি_শিক্ষণীয়_গল্পঃ--
#একদল যাত্রী নিয়ে একটি জাহাজ সমুদ্রপথে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাচ্ছিলো। যাত্রীদের মধ্যে একজন দক্ষ কাঠমিস্ত্রিও ছিল। #কিন্তু যাত্রাপথে ভয়ানক ঝড়ের কবলে পরে জাহাজটি ডুবে গেল। অনেক যাত্রী সাগরে ডুবে মারা গেলেও ওই কাঠমিস্ত্রী তার যন্ত্রপাতির ব্যাগটি নিয়ে ভাসতে ভাসতে একটি নির্জন দ্বীপে এসে পৌছালো। দ্বীপটিতে জনমানব না থাকলেও অনেক ফলজ এবং বনজ গাছাগাছালিতে পরিপূর্ণ ছিল। #সে প্রথম দুদিন বেশ হতাশ ছিল, কারন এই নির্জন দ্বীপ থেকে তার কোনোদিন নিজ ঠিকানায় ফেরা হবে কিনা, সে সম্পর্কে সে নিশ্চিত ছিলনা। সময়ের সাথে সাথে সে তার নিয়তিকে মেনে নিল। নানারকম ফলফলাদি খেয়েই তার দিন কাটতো। যেহেতু সে বাড়ি ফেরার আশা ছেড়ে দিয়েছিল, সেহেতু সে ভাবলো নিজের থাকার জন্য একটা সুন্দর ঘর তৈরি করবে। #এই ভেবে সে কাঠ সংগ্রহ শুরু করলো। দিন রাত পরিশ্রম করে সে তার যন্ত্রপাতি ও দক্ষতার সদ্ব্যবহার করে দ্বীপের মধ্যখানে চমৎকার একটি ঘর তৈরি করলো। ঘর তৈরি করার পর সে ভাবলো, "ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ঘরের পাশে একটি বাগান করলে কেমন হয়?" #এই ভেবে পুরো দ্বীপ চষে বেশ কিছু ফুলের গাছ সংগ্রহ করলো এবং তার বাগানে রোপণ করলো। কিছুদিন পর তার বাগান ফুলে পরিপূর্ণ হয়ে হয়ে গেল। ফুল বাগান ও নিজ ঘরের সৌন্দর্যে সে মুগ্ধ হয়ে গেল। #সারাক্ষণ তার মাথায় এই চিন্তাই থাকতো যে কিভাবে তার ঘরের সৌন্দর্য আরো বাড়ানো যায়। এই ভাবনায় সে তার স্থায়ী আবাসের চিন্তা করা ভুলেই গেল। একদিন হুট করে তার ওই দ্বীপে নৌ বাহিনীর একটি টহল বোট চলে এলো। তারা কাঠমিস্ত্রীকে দেখে তাকে উদ্ধার করে তার স্থায়ী আবাস মানে নিজ বাড়িতে পৌছে দিল। দ্বীপ ছেড়ে আসার সময় মিস্ত্রী কাঁদছিল আর বারবার পেছন ফিরে তাকাচ্ছিলো। #এই ভেবে তার হতাশা বাড়ছিলো যে, তার এত দিনের কষ্ট ও পরিশ্রমের ফসল ওই বাগান, আর ওই ঘরের কোনোটাই সে তার সাথে নিতে পারলো না। #নোট_: আমরা প্রতিটি মানুষই ও মিস্ত্রির মত। মিস্ত্রি যেমন তার স্থায়ী আবাস কে ভুলে ওই দ্বীপের ক্ষণস্থায়ী আবাস কে সুসজ্জিতকরনে ব্যস্ত ছিল, আমরাও তেমনি আমাদের চিরস্থায়ী আবাস আখিরাত কে ভুলে ক্ষণস্থায়ী এই দুনিয়াকে সুসজ্জিত করনে ব্যস্ত হয়ে আছি। #ভাবে চলতে থাকলে চূড়ান্ত বিদায়ের দিন ওই মিস্ত্রির মত আমাদেরও এই ভেবে কাঁদতে হবে যে, "যেই দুনিয়া সুসজ্জিত করতে আমরা সারাজীবন ব্যস্ত ছিলাম, সেখান থেকে কিছুই সাথে নিয়ে যেতে পারলাম না।" #তাই আসুন, সময় থাকতে নিজেকে চিনে নেই , দুনিয়া চিনে নেই, আখিরাত চিনে নেই এবং নিজের মালিক কে চিনে নেই।
[[ Collected ]]
বিজ্ঞানই বলেছে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাসে যে পরিমান বীর্য নির্গত করে তাতে ২০-৩০ কোটি স্পার্ম নির্গত হয়, ( স্থান পেলে ২০-৩০ কোটি বাচ্চা তৈরি হতো) এই ২০-৩০ কোটি স্পার্ম, মায়ের ওভামের দিকে পাগলের মত ছুটতে ছুটতে পৌঁছায় ৩০০-৫০০ মাত্র, আর বাকিরা এই "ছুটে চলার" দৌড়ে ক্লান্ত, শ্রান্ত অথবা পরাজিত হয়ে মারা যায়, বিলীন হয়ে যায়।
এই ৩০০-৫০০ স্পার্ম, যেগুলো ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে তাদের মধ্যে মাত্র একটি, মহা শক্তিশালী স্পার্ম ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ... more#ভাল_লাগলে_শেয়ার_করুণ।
বিজ্ঞানই বলেছে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাসে যে পরিমান বীর্য নির্গত করে তাতে ২০-৩০ কোটি স্পার্ম নির্গত হয়, ( স্থান পেলে ২০-৩০ কোটি বাচ্চা তৈরি হতো) এই ২০-৩০ কোটি স্পার্ম, মায়ের ওভামের দিকে পাগলের মত ছুটতে ছুটতে পৌঁছায় ৩০০-৫০০ মাত্র, আর বাকিরা এই "ছুটে চলার" দৌড়ে ক্লান্ত, শ্রান্ত অথবা পরাজিত হয়ে মারা যায়, বিলীন হয়ে যায়।
এই ৩০০-৫০০ স্পার্ম, যেগুলো ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে তাদের মধ্যে মাত্র একটি, মহা শক্তিশালী স্পার্ম ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ করে অথবা ডিম্বানুতে আসন গ্রহন করে, সেই ভাগ্যবান স্পার্মটি হচ্ছেন আপনি কিংবা আমি-অথবা আমরা।
সবাই কখনও কি এই মহাযুদ্ধের কথা মাথায় এনেছেন?
আপনি তখন দৌড়াচ্ছিলেন, যখন আপনার চোখ, হাত পা মাথা ছিল না..! তবুও আপনি জিতেছিলেন।
আপনি তখন দৌড়াচ্ছিলেন, যখন আপনার কোন সার্টিফিকেট ছিল না! মস্তিষ্ক ছিল না, তবুও আপনি জিতেছিলেন।
আপনি তখন দৌড়াচ্ছিলেন, যখন আপনার কোন শিক্ষা ছিল না, দৌড়াচ্ছিলেন কারও সাহায্য ছাড়া, শুধু ছিলেন মহান আল্লাহতায়ালা এবং আপনি জিতেছিলেন।
আপনি তখন দৌড়াচ্ছিলেন, যখন আপনার একটি গন্তব্য ছিল এবং সেই গন্তব্যের দিকে উদ্দেশ্যটা ঠিক রেখে একা এবং একাগ্র চিত্তে দৌড়াচ্ছিলেন এবং শেষ অবধি আপনি জিতেছিলেন।
আর আজ..!!
আপনি কিছু একটা হলেই ঘাবড়ে যান, নিরাশ হয়ে পড়েন, কিন্তু কেন?
কেন আপনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন..?
এখন আপনার বন্ধু বান্ধব, ভাই বোন, সার্টিফিকেট সবকিছুই আছে। হাত-পা আছে, শিক্ষা আছে, প্ল্যান করার মস্তিষ্ক আছে, সাহায্য করার মানুষও আছে, তবুও আপনি আশা হারিয়ে আশা ছেড়ে নিরাশায় দুলছেন..?
যখন আপনি জীবনের প্রথম দিনে হার মানেন নি, ৩০ কোটি স্পার্মের সাথে মরণপণ যুদ্ধ করে ক্রমাগত দৌড় প্রতিযোগিতায় কোন কিছুর অবলম্বন ছাড়া শুধু একা একাই জিতেছেন।
সেখানে আজ!
আপনি কেন হারবেন?
কেন হার মানবেন? আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।
আপনি শুরুতে জিতেছেন, ইনশাআল্লাহ মাঝপথ ও শেষেও আপনি জিতবেন।
সবচাইতে বেশী আপনি কোন জিনিসটাকে ভালবাসেন? সেটার মূল্য দিন, বিরামহীন লেগে থাকুন- ইনশাআল্লাহ আপনি জিতবেন।