পদ্মাসেতু রুপান্তরের অন্যতম কারিগর জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যার। যার নেতৃত্বেই পদ্মাসেতু কর্মযজ্ঞ শুরু হয় ।
আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতুর বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে বলেন,
"পদ্মা সেতু থেকে অনেকে সরে গিয়েছে কিন্তু আমাদের জামিলুর রেজা চৌধুরীর মত লোক সরে দাড়ায় নাই তিনি পদ্মাসেতুর উপদেষ্টামণ্ডলীদের নিয়ে কাজ করে গেছেন, দুঃখজনক তিনি পু্র্নাঙ্গ সেতু দেখে যেতে পারেন নাই"
এ কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে এক প্রকার আবেগ ফুটে উঠে ।
এভাবেই দেশের জন্য যে সকল গুণীজন কাজ করেন... moreপদ্মাসেতু রুপান্তরের অন্যতম কারিগর জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যার। যার নেতৃত্বেই পদ্মাসেতু কর্মযজ্ঞ শুরু হয় ।
আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতুর বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে বলেন,
"পদ্মা সেতু থেকে অনেকে সরে গিয়েছে কিন্তু আমাদের জামিলুর রেজা চৌধুরীর মত লোক সরে দাড়ায় নাই তিনি পদ্মাসেতুর উপদেষ্টামণ্ডলীদের নিয়ে কাজ করে গেছেন, দুঃখজনক তিনি পু্র্নাঙ্গ সেতু দেখে যেতে পারেন নাই"
এ কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে এক প্রকার আবেগ ফুটে উঠে ।
এভাবেই দেশের জন্য যে সকল গুণীজন কাজ করেন তাদের অবদান স্মরন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ।
যারা পদ্মাসেতুর কাজের মান নিয়ে কথা বলেন তাদেরকে বলবো এ জামিলুর রেজা স্যারের নেতৃত্বে পদ্মাসেতু কাজ হয়েছে । সমালোচনা করার আগে স্যারের সম্পর্কে আগে জেনে নিবেন । স্যারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
সিলেট- সুনামগঞ্জ অঞ্চলের প্রত্যন্ত এবং বিচ্ছিন্ন লোকালয়গুলোতে, অতি প্রয়োজনীয় জরুরী সরবরাহ এবং ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া এবং যোগাযোগ সচল রাখার উদ্দেশ্যে- আমরা একটি নতুন পরিষেবা চালু করেছি। পরিষেবাটি ২৪ ঘণ্টা দেশের সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য খোলা। ঢাকা বা দেশের যেকোন স্থান থেকে বন্যা উপদ্রুত এই অঞ্চলে ত্রাণ, চিকিৎসা বা অন্য যেকোন পরিবহনে; সেবাটি ব্যবহার করা যাবে। আপাতত এ পরিষেবার আওতায় আছে- পুরো সুনামগঞ্জ জেলা। তবে খুব দ্রুত বৃহত্তর সিলেটকেও এই সেবার আওতায় আনা সম্ভব। স্থল পরিবহন, বিভিন্ন ধারণ ক্ষমতা... moreসিলেট- সুনামগঞ্জ অঞ্চলের প্রত্যন্ত এবং বিচ্ছিন্ন লোকালয়গুলোতে, অতি প্রয়োজনীয় জরুরী সরবরাহ এবং ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া এবং যোগাযোগ সচল রাখার উদ্দেশ্যে- আমরা একটি নতুন পরিষেবা চালু করেছি। পরিষেবাটি ২৪ ঘণ্টা দেশের সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য খোলা। ঢাকা বা দেশের যেকোন স্থান থেকে বন্যা উপদ্রুত এই অঞ্চলে ত্রাণ, চিকিৎসা বা অন্য যেকোন পরিবহনে; সেবাটি ব্যবহার করা যাবে। আপাতত এ পরিষেবার আওতায় আছে- পুরো সুনামগঞ্জ জেলা। তবে খুব দ্রুত বৃহত্তর সিলেটকেও এই সেবার আওতায় আনা সম্ভব। স্থল পরিবহন, বিভিন্ন ধারণ ক্ষমতার নৌকা এবং পরিবহণ স্বেচ্ছাসেবীদের সমন্বিত একটি দল এই সেবা পরিচালনা করবে।
বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা, আবহাওয়া এবং দূরত্বকে বিবেচনা করে, রুট গুলো নির্মাণ করা হয়েছে। রুটের বিস্তারিতঃ
১। ঢাকা থেকে সড়ক পথে ভৈরব। এরপর নৌপথে সুনামগঞ্জ সদর। জামালগঞ্জ বাজার- সাচনার বন্যা উপদ্রুত এলাকার জন্য রুটটি উপযোগী। আপাতত পরিবহণ ক্ষমতা দৈনিক ১০০ টন, তবে এটা বাড়ানো সম্ভব। পরিবহণ সময় ২ থেকে ৩ দিন।
২। ঢাকা থেকে সড়কপথে চামড়া বন্দর। এরপর নৌপথে সুনামগঞ্জ। এ রুটে ছাতক, গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত যুক্ত হওয়া সম্ভব। দিরাই, শালার বন্যা উপদ্রুত এলাকার জন্য রুটটি উপযোগী। পরিবহণ ক্ষমতা আপাতত দৈনিক ৮০ টন। পরিবহণ সময় ১ দিন।
৩ । ঢাকা থেকে সড়ক পথে মোহনগঞ্জ হয়ে ধর্মপাশা। এরপর নৌপথে তাহিরপুর। বন্যা উপদ্রুত মধ্যনগর, ধর্মপাশা, তাহিরপুর এবং বিশ্বমম্ভরপুর এলাকার জন্য রুটটি উপযোগী। পরিবহণ ক্ষমতা আপাতত দৈনিক ৫০ টন। পরিবহণ সময় ১ দিনের কম।
ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন রুটে প্রায় তিনশত কিলোমিটার পথ- ত্রাণ সহ অন্যান্য সরবরাহ পরিবহণে খরচ হতে পারে - প্রতি ৫০০ কেজির জন্য আনুমানিক সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা। (সাধারণ তথ্য)
পরিষেবাটির এক একটা সমন্বিত যাত্রার নাম দিয়েছি আমরা- ‘তুফান’, সম্ভাব্য সবচেয়ে কম সময়ে জেলাগুলোর বিচ্ছিন্ন এক-একটা গ্রাম পর্যন্ত নিরাপদে সরবরাহ/ সেবা পৌঁছে দেওয়া- যার উদ্দেশ্য।
বলে রাখা প্রয়োজন, আবহমান ব্যবস্থার উপর ভরসা করে কেন্দ্র থেকে অতি দূরবর্তী জনপদগুলোর ভেঙ্গেপড়া অতি নাজুক একটি সিস্টেমকে আমরা শুধুমাত্র ‘যৌক্তিক সমন্বয়’ এর শক্তিতে সচল করার চেষ্টা করছি।
আমাদের অনুধাবন করা প্রয়োজন যে- সাগরের মত বিস্তীর্ণ জলভাগ, চোখের সামনে অবিস্মরণীয় ধ্বংস আর খাবারের অভাবে- জীর্ণ মানুষপূর্ণ যে জনপদ; সেখানে একসাথে দল হয়ে প্রবেশের নিয়ম। এক কিংবা একাধিক অতিমানব, এমনকী সুমহান কোন প্রতিষ্ঠানেরও একা এখানে বিশেষ কিছু করার নেই।
ত্রাণবাহী দলগুলোকে মানুষের উৎকণ্ঠাজনিত উশৃঙ্খলতা, অন্যান্য ঝুঁকি এবং যোগাযোগ-সমন্বয়হীনতাকে অতিক্রম করে- এখন সর্বোচ্চ সংখ্যক লোকের কাছে পৌঁছানো এখন সময়ের প্রয়োজন। সহস্র বছরের পুরানো আবহমান ব্যবস্থা, ইতোমধ্যে তাঁর প্রতিকারী ধরণে ফিরতে শুরু করেছে। তিন দিনের দীর্ঘ অনাহারী মানুষ, শরীরে বল পাওয়ার পর প্রথম কাজ হিসেবে, স্বজনকে খুঁজতে বের হয়েছে। মোবাইলফোনগুলো সচল হয়েছে। আমাদের এই প্রতিরোধী ধারাটার উপর ভর করে, দাঁড়াতে হবে।
এছাড়া দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা, ব্যক্তি বা সংগঠনের নিজস্ব জমাকৃত ত্রাণ ও কর্মী দল প্রস্তুত থাকলে- তাদের সাথে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদল যোগ করে, বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলোতে একে একে পাঠানোর মত নেটওয়ার্ক এখানে ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে। একে ব্যবহার করে, ত্রাণদলগুলোকে গ্রাম পর্যন্ত পরিবহণ এবং নির্দেশনা দেওয়ার কাজটুকু আমরা করে দিতে পারি।
জীবন বাঁচাতে জরুরী সরবরাহ এবং এ কাজে সংশ্লিষ্ট জনবলকে তথ্য দিয়ে সমন্বয়, এবং দলগুলোকে গ্রামগুলো পর্যন্ত নিরাপদ পরিবহণ সহযোগিতার নামই হচ্ছে- তুফান। 'তুফান' একটি অতি নবীন সমন্বিত সক্রিয় মেসেজ রিলে এন্ড ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম- যেটাকে সক্রিয় করলে ধীর, কিন্তু খুবই ট্র্যাকেবলভাবে বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলোতে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়ে ত্রাণগুলো পৌঁছানো সম্ভব। কাজটি সুসম্পন্ন করতে- এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশী যা প্রয়োজন- প্রচুর তথ্য, চারপাশ থেকে।
সকল ধরণের তথ্য, এই সিস্টেমে যোগ করার জন্য আমাদের নীচের জরুরী নাম্বারগুলো দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা খোলা আছে।
ট্রান্সপোর্টেশন এবং সড়ক সম্পর্কিত তথ্য অনুরোধের জন্যঃ
আশিকুর রহমান +৮৮০১৭১২৮২৪১১৫, আকাশ +৮৮০১৭০১০৭৯৪৮৮
ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ পরিবহণ সম্পর্কিত যেকোন অনুরোধের জন্যঃ
জাহিদ +৮৮০১৭৯৩৩০৯২০৬, +৮৮০১৯৮৯১০৯২০৭
আন্তঃজেলা সড়ক ও নৌ রুটগুলো সম্পর্কিত যেকোন তথ্য অনুরোধের জন্যঃ
নাফি +৮৮০১৭০৬৪৬৭৫, আশিকুর রহমান +৮৮০১৭১২৮২৪১১৫
সুনামগঞ্জ জেলার বিস্তারিত জানাতেঃ
ডাহুক +৮৮০১৭১৮৭৪৭২৪৩
আমাদের কাজ হচ্ছে- প্রাপ্ত সকল 'অনুরোধকে' সক্ষমতা অনুযায়ী যাচাই করে, এক একটা 'সমন্বিত যাত্রা' তুফানে পরিণত করা। এবং আপনাদের কাজ হচ্ছে- দিন রাত ২৪ ঘণ্টা আমাদের এ সমন্বয় সিস্টেমে তথ্য দিয়ে সংযুক্ত থাকা।
তুফানের ব্যবহারবিধিঃ
ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জন্য- তিনটি তথ্য হাতে নিয়ে জাহিদকে ফোন করুন, কত জনের জন্য, কোথায় এবং কবে? 'কোথায়' এই প্রশ্নের না জানা থাকলে, জাহিদকে বলতে হবে, নোট রাখতে। জাহিদ তাঁর ফিরতি তথ্যে 'কোথায়' এর উত্তর জানিয়ে দেবে। এবং কলে স্বল্পতম সময়ে একটি সার্বিক পরিবহণ পরিকল্পনা প্রদান করবে।
পুরো সুনামগঞ্জ জেলার জন্যঃ ০১৭১৮৭৪৭২৪৩ এই নাম্বারে ফোন করে, অনুরোধ করা যাবে- যেকোন জরুরী সাহায্যের জন্য। সর্বশেষ অবস্থা জানতে ও জানাতে এই নাম্বারবহরে আরও পাঁচটি সংযোগ যুক্ত হচ্ছে, অতি শিঘ্রই। স্বেচ্ছাসেবী দলগুলোর অবস্থান জানতে ও জানাতে এই নাম্বারগুলো ব্যবহার করতে পারেন, জরুরী নাম্বার হিসেবে।
এ জনপদে চেনা পথ, আর তিন উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত ৮৬ জন স্থানীয় নৌকার মাঝিদের সচল নেটওয়ার্ককে সাহসের সাথে, আমরা বাকীদের ব্যবহার করতে দিতে চাই।
আমাদের সাতটি নাম্বার খোলা আছে। দিন রাত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। জরুরী ত্রাণ এবং সেবা পৌঁছে দিতে, এই সাতটি নাম্বার ব্যবহার করে- ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানসমূহ,
১। সুনামগঞ্জের রুটে বিভিন্ন পরিবহণ নৌকা
২। ঢাকা থেকে ট্রাক ভাড়া
৩। নৌকা এবং ট্রাক বহরের সমন্বিত পরিবহণ সেবা গ্রহণের অনুরোধ পাঠাতে পারে।
পৌঁছে দেওয়ার বাকী কাজটা আমাদের। প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলের অনাহারী মানুষের জন্য আমরা, বেশ কয়েকটি সরবরাহ দরজা প্রায় খুলে ফেলেছি। এটাকে ব্যবহার করার কাজটা আপনাদের। আমরা জেগে আছি।
Bangladesh’s Cabinet Secretary told reporters that GDP per capita had grown by 9% over the past year, rising to $2,227. Pakistan’s per capita income, meanwhile, is $1,543. In 1971, Pakistan was 70% richer than Bangladesh; today, Bangladesh is 45% richer than Pakistan. One Pakistani economist pointed out that “it is in the realm of possibility that we could be seeking aid from Bangladesh in 2030.”
Power shortage expected to cut Pakistan’s textile exports by $500 million a month
Budget of Baloch... moreBangladesh’s Cabinet Secretary told reporters that GDP per capita had grown by 9% over the past year, rising to $2,227. Pakistan’s per capita income, meanwhile, is $1,543. In 1971, Pakistan was 70% richer than Bangladesh; today, Bangladesh is 45% richer than Pakistan. One Pakistani economist pointed out that “it is in the realm of possibility that we could be seeking aid from Bangladesh in 2030.”
Power shortage expected to cut Pakistan’s textile exports by $500 million a month
Budget of Balochistan for fiscal year 2022-23 on June 20
India — eternally confident about being the only South Asian economy that matters — now must grapple with the fact that it, too, is poorer than Bangladesh in per capita terms. India’s per capita income in 2020-21 was a mere $1,947.
Bangladesh’s growth rests on three pillars: exports, social progress and fiscal prudence. Between 2011 and 2019, Bangladesh’s exports grew at 8.6% every year, compared to the world average of 0.4%. The success is largely due to the country’s relentless focus on products, such as apparel, in which it possesses a comparative advantage.
Meanwhile, the share of Bangladeshi women in the labor force has consistently grown, unlike in India and Pakistan, where it has decreased.
Inspiring Bangladesh Ltd. is a social good company promoting inspirational stories of Bangladeshis around the globe & the users get a voucher to inspire people. Motivated
people to share their positive stories & achievements.
Our platform encourages community engagement, partnership, and affiliation, engagement with the online platform and technologies such as websites and apps, sharing authentic news and networking, highlighting inspiring stories, promoting government achievements & overall pr... moreInspiring Bangladesh Ltd. is a social good company promoting inspirational stories of Bangladeshis around the globe & the users get a voucher to inspire people. Motivated
people to share their positive stories & achievements.
Our platform encourages community engagement, partnership, and affiliation, engagement with the online platform and technologies such as websites and apps, sharing authentic news and networking, highlighting inspiring stories, promoting government achievements & overall promoting Bangladesh as an Inspiring Brand.
We are currently looking for a content creator for our company.
Job Description :
As the content creator, you will be responsible for creating, reviewing and editing content for the company which will be published in the company’s websites and social media pages. Moreover, creators are expected to work simultaneously with the marketing team to maintain consistency between marketing campaigns and content published. Candidates will also be required to brainstorm and suggest newer ways and platforms to increase their current customer segment and increase the target market.
Expectations from a Content Creator:
1. Creating content which will catch maximum audience interest
2. Writing and reviewing content for websites, social media pages and public communications
3. Measuring and monitoring company website and social media traffic statistics
4. Have an efficient design sense and can use various design tools (eg. illustrator)
Brainstorming and suggesting new ways to improve the traffic by tapping into new platforms and channels
5. Ensure that the content is compliant with the copyright and data protection laws
Maintain consistency in content and ensure alignment with the brand history and plans
6. Update the website, social media and content pages periodically.
বিশ্ববাসীকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্য জানাতে বিশ্ব সফর করেন ইন্দিরা গান্ধী
১৯৭১ সাল। এখনকার মতো ফেসবুক, ইউটিউব বা কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। ফলে বাংলার মাটিতে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটছে বাইরে থেকে তার সঠিক তথ্য পাওয়া ছিল খুবই কঠিন। স্যাটেলাইট টিভিতেও এই সংবাদ সম্প্রচার করা ছিল দূরহ ব্যাপার। শুধু কয়েকটি আন্তর্জাতিক পত্রিকার মাধ্যমে টুকটাক অল্প কিছু তথ্য জানতে পারছিল ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকার জনগণ।
ঠিক এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে পাকিস্তানি ... moreবিশ্ববাসীকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্য জানাতে বিশ্ব সফর করেন ইন্দিরা গান্ধী
১৯৭১ সাল। এখনকার মতো ফেসবুক, ইউটিউব বা কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। ফলে বাংলার মাটিতে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটছে বাইরে থেকে তার সঠিক তথ্য পাওয়া ছিল খুবই কঠিন। স্যাটেলাইট টিভিতেও এই সংবাদ সম্প্রচার করা ছিল দূরহ ব্যাপার। শুধু কয়েকটি আন্তর্জাতিক পত্রিকার মাধ্যমে টুকটাক অল্প কিছু তথ্য জানতে পারছিল ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকার জনগণ।
ঠিক এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ও তাদের রক্তচোষা রাজনীতিকরা। বহির্বিশ্বে তারা এটিকে গৃহযুদ্ধ বলে অপপ্রচার চালাতে শুরু করে। তারা বিভিন্ন দেশ ঘুরে ঘুরে বলতে থাকে- 'বাংলার মাটিতে কোনো গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাট হয়নি। অল্প কিছু দুর্বৃত্তকে দমানোর জন্য পাকিস্তানি সেনারা অভিযান চালাচ্ছে।' পশ্চিম পাকিস্তানিদের কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নিয়মিত এরকম তথ্য পাওয়ার কারণে, বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো এখানকার প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অন্ধকারে ছিল।
একারণে, পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করতে পেরে, বাংলাদেশের রণাঙ্গণে জীবন বাজি রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে প্রচারণা চালাতে বিশ্ব ভ্রমণে বের হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। তার উদ্দেশ্য ছিল- পাকিস্তানিদের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার লাখ লাখ বাঙালির আর্তনাদ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীদের চিৎকার সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেওয়া। তিনি চেয়েছিলেন, পাকিস্তানিদের অমানুষিক নির্যাতনের কারণে বাংলার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া প্রায় এক কোটি বাঙালির মানবেতর জীবনের কথা বিশ্ববাসীকে জানাতে।
এজন্য ১৯৭১ সালের ২৪ অক্টোবর ১৯ দিনের জন্য বিশ্ব সফরে বের হন ইন্দিরা গান্ধী। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের কাছে বাংলাদেশের যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেন তিনি। বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, আমেরিকাসহ অনেক দেশে গিয়ে তাদের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। ৪ ও ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের সঙ্গে বৈঠক হয় তার। কিন্তু নিক্সন বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধ বলে হালকাভাবে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। বৈঠকেই এর তীব্র প্রতিবাদ জানান শ্রীমতি গান্ধী।
পরের দিন, ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ভাষণে আমেরিকার জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, 'পাকিস্তানি সামরিক সরকার ২৫ মার্চ পূর্ববাংলায় এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে। পাকিস্তানিদের চরম অত্যাচারের মুখে লক্ষ লক্ষ বাঙালি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। পূর্ববাংলার মানুষ এখন স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার, তাদের নেতা শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে চালান দেওয়া হয়েছে। ঘটনার অনিবার্যতা তাদের পৃথক রাষ্ট্র গঠনে বাধ্য করছে।'
৭ নভেম্বর তার ফ্রান্স সফরের আগে বৈঠকের প্রস্তাব দেয় পাকিস্তানি জান্তা ইয়াহিয়া খান। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেন মিসেস গান্ধী। বাংলার অকুতোভয় তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি মুগ্ধতা এবং নিপীড়িত বাঙালি জাতির প্রতি ভারতবাসীর গভীর ভালোবাসার বহির্প্রকাশ ছিল এটি।
মূলত ভারতের সরকার প্রধানের এই বিশ্ব সফরের কারণেই বিশ্ববাসী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং পাকিস্তানি হানাদারদের পাষবিকতা সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানতে পারে। ফলে বিশ্বজুড়ে জনমত গড়ে উঠতে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায় এটি। এছাড়াও এর আগে ও পরে জাতিসংঘ, বিশ্ব শান্তি সংঘ এবং রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) নেতাদের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক করেন ইন্দিরা গান্ধী। ভারতের কারণেই পরবর্তীতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দেয় পরাশক্তি রাশিয়া। ফলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে ভীত হয়। ফলে পাকিস্তানি হানাদারদের হারিয়ে দীর্ঘ দুই যুগের দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি লাভ করে আপামর বাঙালি।