স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পুত্র ও তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
প্রধানমন্ত্রী সপরিবারে পদ্মা সেতু হয়ে গোপালগঞ্জে যান ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পদ্মা সেতু হয়ে এই যাত্রা অন্যান্য দিনের চেয়েও অনেক আনন্দের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের জন্য। কারণ এই পদ্মা সেতু করতে গিয়ে পুরো পরিবারকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করেছে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা। শত ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে আজকে বাস... moreস্বপ্নের পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পুত্র ও তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
প্রধানমন্ত্রী সপরিবারে পদ্মা সেতু হয়ে গোপালগঞ্জে যান ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পদ্মা সেতু হয়ে এই যাত্রা অন্যান্য দিনের চেয়েও অনেক আনন্দের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের জন্য। কারণ এই পদ্মা সেতু করতে গিয়ে পুরো পরিবারকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করেছে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা। শত ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে আজকে বাস্তবে রূপ নিয়েছে আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু, যা আমাদের সক্ষমতার প্রতীক। সারাদেশের মানুষের জন্যই এই পদ্মা সেতু আজ আশীর্বাদ।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ সেতু নির্মাণের ফলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও দ্রুত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলো।
শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল সম্ভাবনাময় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বহুমুখী উন্নয়নে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। এ সেতু চালু হলে বিশেষ করে শিল্পায়ন ও পর্যটন শিল্পে অগ্রসর এ অঞ্চলের উন্নয়নে নতুন দ্বার ... moreপদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ সেতু নির্মাণের ফলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও দ্রুত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলো।
শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল সম্ভাবনাময় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বহুমুখী উন্নয়নে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। এ সেতু চালু হলে বিশেষ করে শিল্পায়ন ও পর্যটন শিল্পে অগ্রসর এ অঞ্চলের উন্নয়নে নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। টুঙ্গীপাড়াস্থ জাতির পিতার সমাধিসৌধ, সুন্দরবন ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসহ নানা প্রত্নতাত্ত্বিক ও দর্শনীয় স্থানসমূহে পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পাবে।
নদীবিধৌত উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষি ও মৎস্য সম্পদ আহরণ এবং দেশব্যাপী দ্রুত বাজারজাতকরণে পদ্মা সেতু বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ (শনিবার) এক গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক দিন। প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য আজ খুলে দেওয়া হচ্ছে। চ্যালেঞ্জিং ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প’ বাস্তবায়নে নিয়োজিত সর্বস্তরের দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, পরামর্শক, কর্মকর্তা-কর্মচারী; নিরাপত্তা তদারকিতে নিয়োজিত সেনাবাহিনী ও নির্মাণ শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাদের অবদান ও অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য অভিবাদন জানাই।
সেতুর দুই প্রান্তের জনগণ জমি দিয়ে ও নানাভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করায় তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করে। কানাডার আদালত সেসব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে রায় দেয়। সব দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয় । আমরা বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিলে জনগণের কাছ থেকে বিপুল সমর্থন পাই।
‘জনতার শক্তি হৃদয়ে ধারণ করে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে আজ আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছি। দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। দুর্নীতিমুক্ত বীরের জাতি হিসেবে বাঙালি নিজেদের বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত- ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না’- এই চিরপ্রেরণার বাণীতে উজ্জীবিত হয়ে আমরা প্রমাণ করেছি আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা।’
পদ্মা সেতু যোগাযোগ ব্যবস্থায় সূতিকাগার হিসেবে কাজ করবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এরই মধ্যে এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত পায়রা সমুদ্রবন্দর, বৃহৎ নদীসমূহের ওপর নির্মিত সেতু, রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মংলা সমুদ্রবন্দরের পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহারে এ সেতু যোগাযোগ ব্যবস্থায় সূতিকাগার হিসেবে কাজ করবে। এই অঞ্চলে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ বেনাপোল, ভোমরা ও দর্শনা প্রভৃতি স্থলবন্দরের মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
‘এ সেতুর মাধ্যমে দুই প্রান্তে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অপটিক্যাল ফাইবারসহ পরিষেবাসমূহের সংযোগ স্থাপিত হবে। এ সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে সার্বিকভাবে দেশের উৎপাদন ১ দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং প্রতি বছর শুন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য নিরসনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ সেতু অনন্য অবদান রাখবে।’
দেশপ্রেমিক জনগণের আস্থা ও সমর্থনের ফলেই আজকে উন্নয়নের এ নতুন অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনেও গণমানুষের আশা-আকাঙ্খা ও স্বপ্ন পূরণে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবো। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।
পদ্মাসেতু রুপান্তরের অন্যতম কারিগর জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যার। যার নেতৃত্বেই পদ্মাসেতু কর্মযজ্ঞ শুরু হয় ।
আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতুর বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে বলেন,
"পদ্মা সেতু থেকে অনেকে সরে গিয়েছে কিন্তু আমাদের জামিলুর রেজা চৌধুরীর মত লোক সরে দাড়ায় নাই তিনি পদ্মাসেতুর উপদেষ্টামণ্ডলীদের নিয়ে কাজ করে গেছেন, দুঃখজনক তিনি পু্র্নাঙ্গ সেতু দেখে যেতে পারেন নাই"
এ কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে এক প্রকার আবেগ ফুটে উঠে ।
এভাবেই দেশের জন্য যে সকল গুণীজন কাজ করেন... moreপদ্মাসেতু রুপান্তরের অন্যতম কারিগর জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যার। যার নেতৃত্বেই পদ্মাসেতু কর্মযজ্ঞ শুরু হয় ।
আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতুর বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে বলেন,
"পদ্মা সেতু থেকে অনেকে সরে গিয়েছে কিন্তু আমাদের জামিলুর রেজা চৌধুরীর মত লোক সরে দাড়ায় নাই তিনি পদ্মাসেতুর উপদেষ্টামণ্ডলীদের নিয়ে কাজ করে গেছেন, দুঃখজনক তিনি পু্র্নাঙ্গ সেতু দেখে যেতে পারেন নাই"
এ কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে এক প্রকার আবেগ ফুটে উঠে ।
এভাবেই দেশের জন্য যে সকল গুণীজন কাজ করেন তাদের অবদান স্মরন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ।
যারা পদ্মাসেতুর কাজের মান নিয়ে কথা বলেন তাদেরকে বলবো এ জামিলুর রেজা স্যারের নেতৃত্বে পদ্মাসেতু কাজ হয়েছে । সমালোচনা করার আগে স্যারের সম্পর্কে আগে জেনে নিবেন । স্যারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
পদ্মাসেতু আমাদের আত্মনির্ভরশীলতা ও সক্ষমতার এক অনন্য উদাহরণ। নিজেদের টাকায় দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর সামনে নতুন করে তুলে ধরবে। মহান বিজয়ের মাসে সম্পূর্ণ সেতু দৃশ্যমান হলো। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর শুভক্ষণে এই অর্জন দেশের প্রতিটি মানুষের।
পদ্মাসেতু নিয়ে কম ষড়যন্ত্র হয়নি। দেশী-বিদেশী নানান ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু বানানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন এই দেশেরই অনেক মানুষ তা বিশ্বাস ক... moreপদ্মাসেতু আমাদের আত্মনির্ভরশীলতা ও সক্ষমতার এক অনন্য উদাহরণ। নিজেদের টাকায় দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর সামনে নতুন করে তুলে ধরবে। মহান বিজয়ের মাসে সম্পূর্ণ সেতু দৃশ্যমান হলো। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর শুভক্ষণে এই অর্জন দেশের প্রতিটি মানুষের।
পদ্মাসেতু নিয়ে কম ষড়যন্ত্র হয়নি। দেশী-বিদেশী নানান ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু বানানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন এই দেশেরই অনেক মানুষ তা বিশ্বাস করেননি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গেই বলেছিলেন আমরা পারবো!
আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু বানানোর যে সক্ষমতা দেখাতে পারলাম এর পিছনে একটা ডাইনামিক লিডারশিপ ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। বঙ্গবন্ধু যেভাবে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ঠিক একইভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে তারই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের স্বপ্নের পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি এতে করে বিশ্ববাসী নতুন এক বাংলাদেশকে চিনতে পারছে। #padmabridge #Bangladesh #পদ্মাসেতু
পাইলিংঃ
পদ্মা সেতুর খুঁটির নিচে সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীরে স্টিলের পাইল বসানো হয়েছে।
বিশ্বে এখনো পর্যন্ত কোনো সেতুর জন্য এত গভীরে পাইলিং প্রয়োজন হয়নি।
ভূমিকম্পঃ
পদ্মা সেতুতে ‘ফ্রিকশন পেন...