মুভির সবচেয়ে বাজে দিক হলো গান। টানা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত কোনো গান নেই। এই ৫৫ মিনিট আপনার মনে হবে রোলারকোস্টারে চড়ে বসেছেন। গল্পের গতি তিরতিরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ৫৫ মিনিটে একটা চমৎকার গান হবার পর থেকে, আপনি বাকি ৯৫ মিনিটে আরও ৪/৫ গানের সামনাসামনি হবেন।
এতে করে দেখা যায় ইন্টারভালের আগে ও পরে মুভির গতি কমে গেছে....
আর এই মুভির সবচেয়ে সেরা দিক হলো পাঁচটি সাব প্লটকে খুবই আকর্ষণীয় ভাবে ব্লেন্ড করে মেইন প্লটে পৌঁছে দিয়েছে। ৫টি গল্পের প্রতিটি গল্পের আলাদা গল্প, আলাদা টিউন, আলাদা গভীরতা বজায় রেখে এভাব... moreমুভির সবচেয়ে বাজে দিক হলো গান। টানা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত কোনো গান নেই। এই ৫৫ মিনিট আপনার মনে হবে রোলারকোস্টারে চড়ে বসেছেন। গল্পের গতি তিরতিরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ৫৫ মিনিটে একটা চমৎকার গান হবার পর থেকে, আপনি বাকি ৯৫ মিনিটে আরও ৪/৫ গানের সামনাসামনি হবেন।
এতে করে দেখা যায় ইন্টারভালের আগে ও পরে মুভির গতি কমে গেছে....
আর এই মুভির সবচেয়ে সেরা দিক হলো পাঁচটি সাব প্লটকে খুবই আকর্ষণীয় ভাবে ব্লেন্ড করে মেইন প্লটে পৌঁছে দিয়েছে। ৫টি গল্পের প্রতিটি গল্পের আলাদা গল্প, আলাদা টিউন, আলাদা গভীরতা বজায় রেখে এভাবে একটি বিন্দুতে পৌঁছে যাওয়া বেশ কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজের স্ক্রিণপ্লে নিজেই সাজিয়েছেন অনুরাগ বসু।
সাধারণত ট্রেন্ডিং মুভির পোস্ট আমি এড়িয়ে চলি। কিন্তু গতকাল আধো শীতের মাঝরাতে আম্মার বকুনি সত্বেও যখন বারবার খিলখিল করে হেসে উঠতে ছিলাম, সেই হাসির অনুভূতিকে তো উপেক্ষা করা যায় না।
#গল্প_নিয়ে_গল্পঃ
তো মুভির গল্প লুডুর মত। লুডু তো আমরা কমবেশি সবাই খেলেছি। আমাদের দেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশে এই মজার খেলাটি বেশ জনপ্রিয়। তো এই লুডু খেলার মতই এই মুভিতেও চারটা ভিন্ন ভিন্ন গল্প আছে। ভিন্ন ভিন্ন চারটি গল্পের লুডুর কোটের মত ভিন্ন ভিন্ন কালার গ্রেডিং আছে।
লুডু খেলায় যখন নিজের গুটি ঘরে তুলতে হলে অন্যের ঘরের সামন দিয়ে এগিয়ে যেতে হয়, এখানেও তাইই আছে। এতে করে দেখা যায় প্রতিটি গল্প আলাদা আলাদা বাস্তবতায় হলেও তারা প্রত্যেকের সাথে কোনো না কোনো ভাবে জুড়ে ছিলো। এতে করে তাদের সাথে কথা হলেও মাঝেমাঝেই তাদের সাথে দেখা হয়ে যাচ্ছে। আবার তাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনায় আরও তিনটি গল্পের সাথে টক্কর লেগে যাচ্ছে।
তো এই চারটি গল্পের খেলোয়ারদের সাথে আরেকটা ডিমান্ডিং বলুন বা সারপ্রাইজিং বলুন, আরও একটি গল্প জুড়ে যায়। সেই গল্পটি পরিচালক মুভির টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে ইউজ করেছেন। তাই সে সেই গল্পের নায়ক যখন স্ক্রিনে এসেছেন উপভোগ্য করা গেছেন প্রতিটি সময়।
তবে ৫টি গল্পের দুটি কমন ব্যাপার ছিলো প্রেম ও টাকা।
৫টি গল্পই আপানাকে বিভিন্ন ঝামেলা দেখিয়ে শুধুমাত্র টাকার দিকেই নিয়ে যাবে।
এখানে কারও টাকার লোভ, কারও পরিস্থিতির চাহিদা, কারও আগামী জীবন সাজানোর সুযোগ নিয়ে হাজির হবে। আর টাকা যেখানে থাকবে সেখানে ক্রাইম থাকবেই।
আপনাকে টেনশন দিতে থাকবে। থ্রিল দিবে। ভাবতেও বাধ্য করাবে।
#মুভির_গল্পের_দিকঃ
খেয়াল করে দেখবেন লুডু খেলায় চারজনের চারজনই কিন্তু খেলে না। খেলে আসলে দুজন। আর দুজন থাকে সুযোগের অপেক্ষায় বা ব্যর্থতার বৃত্ত থেকেও অনেকে বের হতে পারেনা।
এই মুভিতেও দেখা যায় মুভির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে শ্রুতি ও আকাশের গল্পটি।
কিন্তু এক্সাইটিং গল্প হিসেবে হাজির হয়েছে আলু ও পিংকির গল্পটি।
আবার গল্পের গভীরতা ও সৌন্দর্য দিয়েছে বিট্টুর গল্পটি।
রাহুল ও শেজার গল্পটি লুকোনো ছিলো।
আর আর সাত্তুর গল্পটি ছিলো পুরো মুভিটিকে উপভোগ্যের সেরা অস্ত্র।
#অভিনয়ের_দিকঃ
অভিনয়ের দিকে তাকালে দুই দাঙ্গাল কন্যার মধ্যে কাকে এগিয়ে রাখবো কাকে পিছনে রাখবো এটা খুবই কঠিন কাজ। দুজনেই দুজনের সাথে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছে।
আবার পিচ্চি মেয়েটাও অসাধারণ থেকে অসাধারণ অভিনয় করেছে।
কিন্তু আমি সবার উপরে রাখবো রাজকুমার রাওকে। মিঠুনের মত বড় চুলের গেটাপ দুর্দান্ত ছিলো। মুভিতে যতখানি স্ক্রিন পেয়েছে তাতেই দুটি সিগনেচার শট রেখেছে। পিংকিকে দেখে হোটেলের পিছনে গিয়ে কান্নার দৃশ্য, বা দুঃখে নাচার দৃশ্যগুলো মনে দাগ কেটে যায়।
এরপর পংকজ ত্রিপাঠিকে রাখবো। এই লোকটা পুরো মুভির হিউমারের সেরা অস্ত্র ছিলেন। তার গেট আপ, গান গাওয়ার স্টাইল, ডায়ালগ ডেলিভারি ও টাইমিংগুলো অসাধারণ ছিলো।
তারপরেই রাখবো অভিষেক বচ্চনকে। নিজের মেয়েকে প্রথমবার দেখে যে অভিনয়ের দৃশ্যটা করেছে তা অসাধারণ ছিলো। সেও পুরো মুভিতে সেরা অভিনয় দিয়েছে।
আদিত্য রয় কাপুরের এক্টিং আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনা। ওর ওকে জানু মুভিতে যেমন এক্টিং ছিলো এখানেও অলমোস্ট তেমনটাই এক্টিং। সো ওর অভিনয়টা আমার তেমন আকৃষ্ট হবার কথা না।
বাদবাকি আরও যারা সাপোর্টিং রোলে ছিলেন, এভেন অনুরাগ বসু নিজে ক্যামিও দিয়েছেন, সেই ক্যামিওটা অসাধারণ থেকে আরও অসাধারণ ছিলো।
#শেষকথাঃ
অনুরাগ বসু তার মুভিতে গানগুলোকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে এই মুভিতে দুটি গানের থেকে বেশি আর দরকারই ছিল না। এতো গান না থাকলে মুভির গল্পটি আরও স্ট্রং হত। মাঝখানে ঝিমুনি চলে আসতো না।
এতে করে মুভিটি একটি পার্ফেক্ট মুভি বলা যেত। কিন্তু এখন মুভিটিকে বলতে হচ্ছে অলমোস্ট পার্ফেক্ট মুভি।
তো এই অলমোস্ট পার্ফেক্ট মুভির আরেকটি ভালো দিক এখনো বলিনি, তা হচ্ছে সংলাপ। এই মুভির প্রতিটি সিম্পল সংলাপগুলোও খুবই প্রাসঙ্গিক ছিলো গল্পের সাথে। চাইলে অনেকগুলো দার্শনিক সংলাপ তুলে ধরা যায়, যা ছিলো একেবারে সিম্পল। সংলাপের আরেকটি পজিটিভ দিক হলো যথেষ্ট রিফ্রেশিং হিউমার ছিলো। যা মুভিটিকে মেদহীন করেছে।
আমরা অনেকেই হয়তো জানি না ফেসবুকে ঘুরেফিরে আমাদের সামনে আসা বেশিরভাগ বাংলা মিম'র টেমপ্লেট এই "আজ রবিবার " নাটক থেকে নেওয়া। এমন সব টেমপ্লেট দেখতে দেখতেই আমার মনে হলো নাটকটা অসাধারণ হবে। সেই থেকে নাটকটা দেখে ফেলা। বিদেশি সিরিজগুলো আমরা খুব দেখি, খুব প্রশংসা করি। আমিও সেগুলা দেখেছি। তবে দেশেও সেই মানের সিরিজ যে আছে, এটা দেখলেই আপনি তা বুঝতে পারবেন।
গল্পের প্লটে আছে একজন দাদা। একটু পা... moreনাটক : আজ রবিবার (১৯৯৯)
জনরা : কমেডি, ড্রামা
রচনা : হুমায়ুন আহমেদ
IMDb : 8.8/10
Personal : 10/10
No spoiler
আমরা অনেকেই হয়তো জানি না ফেসবুকে ঘুরেফিরে আমাদের সামনে আসা বেশিরভাগ বাংলা মিম'র টেমপ্লেট এই "আজ রবিবার " নাটক থেকে নেওয়া। এমন সব টেমপ্লেট দেখতে দেখতেই আমার মনে হলো নাটকটা অসাধারণ হবে। সেই থেকে নাটকটা দেখে ফেলা। বিদেশি সিরিজগুলো আমরা খুব দেখি, খুব প্রশংসা করি। আমিও সেগুলা দেখেছি। তবে দেশেও সেই মানের সিরিজ যে আছে, এটা দেখলেই আপনি তা বুঝতে পারবেন।
গল্পের প্লটে আছে একজন দাদা। একটু পাগল ধরণের। বন্দুক নিয়ে রুমের পর রুম পার হয়ে যান তার ছেলেকে ধাওয়া করে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বন্দুকটা থাকে গুলি শূন্য!
ওইদিকে বড় ভাই কিনে এনেছেন একটা কফিন। জ্যান্ত অবস্থায়ই তিনি সেই কফিনের ভিতর শুয়ে কবিতা পড়েন এবং নিজের বিক্ষিপ্ত মনকে শান্ত করতে চান। যদিও খুব বেশি লাভ হয় বলে মনে হয় না!
মেঝু ভাই এখনও বেঁচে আছেন তার মৃত্য স্ত্রীর স্মৃতি আঁকড়ে ধরে। প্রত্যেকটা দিন তিনি তার কথা মনে করেন। খুব বেশি রাগ হলে দেশলাইকাঠি জ্বালিয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকেন রাগ কমানোর জন্য।
আর ছোট ভাই? সে তো পুরা হিমু। হিমুর মত হলুদ পাঞ্জাবি পরে, খালি পায় রাতবিরাতে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় সে। পাঞ্জাবিটা কিন্তু পকেট ছাড়া!
আর আছে আঁতেল এক ছেলে। যে কিনা সারাদিন পড়ালেখা করে। কোন জায়গায় গেলেও টেপ বাজিয়ে সূত্র শুনে।বাড়ির কেয়ারটেকার আর কাজের মেয়ের খুব ভাব। তাদের ভাষায় তারা একজন আরেকজনকে খুব "ভালোপায়"।
এদের সহ আরও কিছু চরিত্র নিয়ে তৈরী এই নাটিক। এই নাটক একই সাথে আপনাকে কাঁদাবে এবং হাসাবে। কমেডি এই নাটক কখনোই ইউটিউবের সস্তা ভিডিওর মত জোর করবে না আপনাকে হাসতে। আপনি নিজেই খিলখিল করে হেসে উঠবেন❤
আজকে এই নাটকের স্রষ্টার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন হুমায়ুন আহমেদ ❤️।তাকে একটি স্মরণ করে আবারও দেখতে পারেন এই নাটকটি।
১৯৮৬ সালে প্রকাশিত ‘ফরেস্ট গাম্প’ উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৯৪ সালে রবার্ট জেনাকিস পরিচালিত সিনেমা ‘ফরেস্ট গাম্প’ একটি কালজয়ী সিনেমা হিসেবে সারা বিশ্বের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। কিংবদন্তি অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস অভিনীত এই সিনেমাটি সেরা পরিচালনা, সেরা অভিনেতা সহ মোট ছয়টি অস্কার জিতে নেয়। সেই অস্কারজয়ী ‘ফরেস্ট গাম্প’ কপিরাইট কিনে হিন্দি ভার্সন ‘লাল সিং চাড্ডা’ শ্যুটিং শুরু থেকেই আলোচনায়। বলিউডের মিষ্টার পারফেকশনিস্ট খ্যাত আমির খান আছেন টম হ্যাঙ্কসের ভূমিকায়, সাথে আছেন কারিনা কাপুর খা... more১৯৮৬ সালে প্রকাশিত ‘ফরেস্ট গাম্প’ উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৯৪ সালে রবার্ট জেনাকিস পরিচালিত সিনেমা ‘ফরেস্ট গাম্প’ একটি কালজয়ী সিনেমা হিসেবে সারা বিশ্বের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। কিংবদন্তি অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস অভিনীত এই সিনেমাটি সেরা পরিচালনা, সেরা অভিনেতা সহ মোট ছয়টি অস্কার জিতে নেয়। সেই অস্কারজয়ী ‘ফরেস্ট গাম্প’ কপিরাইট কিনে হিন্দি ভার্সন ‘লাল সিং চাড্ডা’ শ্যুটিং শুরু থেকেই আলোচনায়। বলিউডের মিষ্টার পারফেকশনিস্ট খ্যাত আমির খান আছেন টম হ্যাঙ্কসের ভূমিকায়, সাথে আছেন কারিনা কাপুর খান।
এবার বহুল আলোচিত এই সিনেমার আরো একটি খবর প্রকাশ হবার পরে বলিউড তো বটেই সারা বিশ্বে হিন্দি চলচ্চিত্রপ্রেমী সকলের কাছেই ব্যাপক বিস্ময় এবং ভালোলাগা নিয়ে এসেছে। বলিউডের প্রভাবশালী তিন খান রাজত্ব করছেন প্রায় তিন দশক ধরেই। শাহরুখ, আমির এবং সালমান তিন খানই কাছাকাছি সময়ে নিজেদের ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। শাহরুখ সালমানের সাথে বা আমির সালমানের সাথে সিনেমায় অভিনয় বা একে অন্যের সিনেমায় ক্যামিও করলেও এবার প্রথমবার শাহরুখ খান এবং আমির খান স্ক্রিন শেয়ার করতে যাচ্ছেন ‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমায়। উল্লেখ্য ক্যারিয়ারের শুরুতে মানে নব্বই দশকের দিকে দুইজন একসঙ্গে ফটোশুটে অংশ নিলেও বা সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইভেন্টে একসাথে ছবির জন্য পোজ দিলেও কোনো সিনেমায় এক সঙ্গে কাজ করেননি তারা।
বিভিন্ন ম্যাগাজিনে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক ভালো নয় বলে জানানো হলেও বা তাদের ফ্যানদের মধ্যে নানা রেষারেষি থাকলেও বাস্তবে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক খারাপ নয়। একে অন্যের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো বা দিওয়ালি, ঈদেও শুভেচ্ছা বিনিময় হয়ে থাকে। একে অন্যের পার্টিতেও হাজির থাকেন তারা।
‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমাতে শাহরুখ হাজির হবেন একটি অতিথি চরিত্রে। শাহরুখ খানের অংশটুকু বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পরিচালনা করেছেন আমির খান নিজেই। জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফিল্মফেয়ার এই ঘটনাকে ‘মহাকাব্যিক সহযোগিতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। জানা গেছে দিল্লিতে হাজির হয়ে আমিরের ‘লাল সিং চাড্ডা’র ক্যামিও চরিত্রের শুটিং ইতিমধ্যে শেষ করেছেন শাহরুখ। শ্যুটিং চলাকালীন সময়ে সেটে শাহরুখ ও আমির মেতে উঠেছিলেন জমজমাট আড্ডায়।
সুত্রমতে ‘লাল সিং চাড্ডা’র ভিএফএক্স অংশের দায়িত্বে আছেন শাহরুখ খানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রেড চিলিজ। বলিউডের এই সময়ের সেরা ভিএফএক্স কাজ এই প্রতিষ্ঠানটি করে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। শাহরুখের রা-ওয়ান বা হৃতিক রোশানের ‘কৃষ ২’ ‘কৃষ-৩’ সিনেমার অসাধারন ভিএফএক্সের কাজ সম্পাদন করেছে রেড চিলিজ। আমিরের ‘লাল সিং চাড্ডা’ তেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে তা বলা যায় নিঃসন্দেহে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর বড় দিনে মুক্তি পাবে এই বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটি।
মাত্র ৫০ মিনিটের একটা মুভি। মুভি না বলে টেলিফিল্ম বলা যাইত, বাট সিনেমাটোগ্রাফি আর কালার গ্রেডিংয়ের মান হিসাবে এটাকে টেলিফিল্ম বললে আসলে একটু অপমান করা হয়। এরসাথে স্টোরি, ডায়লগস আর কলাকুশলীর অভিনয় বিবেচনায় এক কথায় বলা যায় বাংলাদেশ থেকে Zee5 এর মতো ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যাটফর্ম এ যাওয়ার জন্য প্রপার একটা কন্টেন্ট হইছে "মাইনকার চিপায়"।
ঢাকা শহরের অন্ধকার... moreস্পয়লারহীন রিভিউঃ মাইনকার চিপায় (২০২০)
প্ল্যাটফর্মঃ Zee5 original
পরিচালকঃ আবরার আতাহার
অভিনয়েঃ আফরান নিশো, শ্যামল মাওলা, শরীফুল রাজ!
মাত্র ৫০ মিনিটের একটা মুভি। মুভি না বলে টেলিফিল্ম বলা যাইত, বাট সিনেমাটোগ্রাফি আর কালার গ্রেডিংয়ের মান হিসাবে এটাকে টেলিফিল্ম বললে আসলে একটু অপমান করা হয়। এরসাথে স্টোরি, ডায়লগস আর কলাকুশলীর অভিনয় বিবেচনায় এক কথায় বলা যায় বাংলাদেশ থেকে Zee5 এর মতো ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যাটফর্ম এ যাওয়ার জন্য প্রপার একটা কন্টেন্ট হইছে "মাইনকার চিপায়"।
ঢাকা শহরের অন্ধকার জগতের তিন বাসিন্দার একটা ঘটনাবহুল রাতের কাহিনী। এই মুভির নাম নিয়ে অনেকেই আপত্তি করেছিলেন, বাট দেখলে বুঝতে পারবেন এর নাম কেন " মাইনকার চিপায়"… ডার্ক, গ্রিটি, ক্রেজি একটা প্লটলাইন! সবচে যেটা ভালো লেগেছে পরিচালক এক মিনিটের জন্যও গল্প কোথাও ঝুলায়ে দেননাই! প্রতি মিনিটে কোন না কোন দৃশ্য, টুইস্ট বা ডায়লগের অবতারণা করেছেন যার জন্য ৫০ টা মিনিট ই চোখ লাগিয়ে রাখতে হয়েছে! এই মুভির ইনোভেটিভ আর মজাদার ডায়লগগুলাই আসলে এর প্রাণ! এর সাথে একেবারে খাপে খাপ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সবমিলিয়ে একেবারে শেষ দৃশ্য পর্যন্ত থ্রিলটা বজায় ছিল।
অভিনয়ের কথা বললে এক কথায় বলতে হয় যে এইটা প্রায় পুরাটাই একটা 'নিShow"!
আফরান নিশোর অভিনয়ের যে কি পোটেনশিয়াল সেটা এই লোক নিজেই বুঝে কিনা কে জানে! বুঝলে কাজল আরেফিন অমি দের মত সস্তা পরিচালকদের বাজারি নাটকে এতো ঘনঘন অভিনয় করতেন না! এই মুভিটা যদি ইন্ডিয়া পাকিস্তানের দর্শকরা দেখে তাহলে নিশোর অভিনয় নিয়ে সাড়া পড়ে যাবে নিঃসন্দেহে। অথচ তারা জানবে না এইরকম শক্তিমান একজন অভিনেতা কিভাবে সারাবছর নিজের পোটেনশিয়াল ওয়েস্ট করে! 😑
এর পাশাপাশি শরীফুল রাজ আর শ্যামল মাওলাও ভালো অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে শরীফুল রাজ... "ন ডরাই" মুভি থেকেই ছেলেটার প্রতি দৃষ্টি ছিল। যেকোন চরিত্রে,বিশেষ করে বোহেমিয়ান, ডার্কটোনড চরিত্রে ঢুকে যাওয়ার ক্ষমতা অসাধারণ। সঠিক পথে থাকলে একে নিয়ে দূরের স্বপ্ন দেখতেই পারে আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি!
পরিশেষে বলা যায়... নামটা যতই কটু শুনাক স্টোরি, অভিনয়, ডায়লগস, সিনেমাটোগ্রাফি সব মিলায়ে আসলেই মানসম্মত একটা "ওয়ান টাইম ওয়াচ" কন্টেন্ট "মাইনকার চিপায়"। এরকম আরো ভালো ভালো কনটেন্ট বড়বড় ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দিতে পারলে আমাদের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি বহির্বিশ্বের নজর কাড়তে পারবে অচিরেই।
ছবির ছেলেটাকে বেশিরভাগ লোকই চেনেন না, নাম বললে গুটি কয়েক লোক চিনতে পারবেন। ইনি হলেন নাফিস বিন জাফর, প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি অস্কার বিজয়ী..!!
একবার নয় দুই দুই বার অস্কার জিতেছেন নাফিস..! এনিমেশন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য অস্কার পেয়েছেন নাফিস। শুধু তাই নয়, একবার অস্কারের ভোটিং কমিটিতে থাকার সুযোগ পেয়েছেন।
নাফিসের জন্ম ৮ অক্টোবর ১৯৭৮ সালে ঢাকায়। বর্তমানে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। পেশায় একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলী এবং অ্যানিমেশন বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে বিখ্যাত এনিমেশন স্টুডিও ‘Dreamworks Animation’ এ কর্... moreছবির ছেলেটাকে বেশিরভাগ লোকই চেনেন না, নাম বললে গুটি কয়েক লোক চিনতে পারবেন। ইনি হলেন নাফিস বিন জাফর, প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি অস্কার বিজয়ী..!!
একবার নয় দুই দুই বার অস্কার জিতেছেন নাফিস..! এনিমেশন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য অস্কার পেয়েছেন নাফিস। শুধু তাই নয়, একবার অস্কারের ভোটিং কমিটিতে থাকার সুযোগ পেয়েছেন।
নাফিসের জন্ম ৮ অক্টোবর ১৯৭৮ সালে ঢাকায়। বর্তমানে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। পেশায় একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলী এবং অ্যানিমেশন বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে বিখ্যাত এনিমেশন স্টুডিও ‘Dreamworks Animation’ এ কর্মরত রয়েছেন।
গ্রাজুয়েশনের পর নাফিস যোগ দেন "Digital Domain" নামের একটি প্রতিষ্ঠানে। এখানে থাকাকালে তিনি এবং তার দুই সহকর্মী আবিষ্কার করেন ‘Fluid Simulation' নামে একটা অ্যানিমেশন টুলের । ‘ফ্লুইড সিম্যুলেশন’ হলো এমন এক ধরনের কম্পিউটার গ্রাফিক্স টুল যার ব্যবহারে ‘পানি’, ‘আগুন’ কিংবা ‘ধোঁয়া’র মতো পদার্থের দ্বারা সৃষ্ট কোন অ্যানিমেশন কয়েকগুন জীবন্ত মনে হবে ! ২০০৭ ‘Pirates of the Caribbean : At Worlds End’ এ এই স্পেশাল ইফেক্টের জন্য নাফিস এবং তার সহকর্মী পেয়ে যান
‘সায়েন্টিফিক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাওয়ার্ড’ বিভাগে প্রথম অস্কার।
এনিমেশন টুল ‘ডেস্ট্রাকশন সিম্যুলেশন সিস্টেম’ এ বিশাল অবদানের জন্য ২০১৫ সালে নাফিস এবং তার সহযোগী স্টিভেন মার্শাল ‘Technical Achievement Award’ বিভাগে অস্কার পান।
এখন পর্যন্ত কাজ করেছেন বিখ্যাত কিছু এনিমেশন এবং সিনেমাতে। Kung Fu Panda 3, kung Fu Panda 2, How to Train Your Dragon 2, Turbo, Puss in Boots, 2012, Shrek Forever After, Megamind, Transformers 2 তার উল্লেখযোগ্য কিছু কাজ। বাংলাদেশে বিভিন্ন সফটওয়্যার কর্মশালা এবং ফেস্ট এ গেস্ট কিংবা জার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।।