Affiliate Marketing

450_798a9efc6fe2102e767220ba323efdc7.jpeg



বিষয়ঃ  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
টিম ঃ কন্টেন্ট রাইটিং টিম

◾অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

⏩ Affiliate marketing এমন একটি বিজনেস বা মাধ্যম যার দ্বারা আমরা যেকোনো অনলাইন কোম্পানির ডিজিটাল প্রোডাক্ট (Digital product), অনলাইন স্টোরের ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট (physical product) বা অনলাইন কিনতে পাওয়া যেকোনো জিনিস নিজের ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা ইউটিউবের চ্যানেলে “এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে” প্রোমোট (promote) করাকে বুঝায়।

✴অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য?
ওয়েবসাইট, ব্লগ, ফেসবুক পেইজ, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদি তে অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রোমোশন করবেন। সেই প্রোমোট করা জিনিসটি আপনার দেয়া লিংকের মাধ্যমে গিয়ে লোকেরা কিনবেন বা প্রোমোট করা লিংকের মাধ্যমে PRODUCT এর official ওয়েবসাইটে গিয়ে অন্য কোনো product কিনবেন, তখন আপনাকে সেই প্রোডাক্টটি বিক্রি করানোর জন্য কিছু commission টাকা দেয়া হয়।
এবং এইটির মাধ্যমে বর্তমান অনলাইন মার্কেট থেকে ভালো মানের কিছু টাকা আয় করা সম্ভব।
1⃣ঘরে বসে কাজ করা যায়।
2⃣ ফুল টাইম ক্যারিয়ার এবং স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়।
3⃣ যথেষ্ট ব্রান্ড ভ্যালু বেড়ে যায় মার্কেটপ্লেসে এর বিভিন্ন কোম্পানির কাছে।
4⃣ একটা ওয়েবসাইট এ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে  অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি সহ অনেক ভাবেই ইনকাম করা সম্ভব হয়।

5⃣ ততো বেশি ওয়েবসাইটে এক্টিব থাকতে হয় না।

? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ধাপ সমূহ ঃ

1⃣বিনিয়োগঃ নিদিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ এর অভাবে ইনকাম কমে আসে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ফ্রি মেথড ব্যবহার  করলে ইনকাম আসতে দেরী হয় তাই  কিছু পরিমান পেইড মেথড ব্যবহার করলে দ্রুত ইনকাম করা সম্ভব হয়।
বিশ্বাস করুন বিনিয়োগ ছাড়া কোন ব্যবসা থেকেই ইনকাম করা সম্ভব নয় হোক সেটা টাকা, পরিশ্রম, সময় সঠিক সময়ে সঠিক বিনিয়োগ আপনাকে এনে দিবে সফলতা।
2⃣কৌশল ঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং  এর জন্য কৌশলি হওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন।  যত বেশি সুন্দর উপস্থাপনা আর যতবেশি অডিয়েন্স  কানেক্টেড হতে গেলে সবচেয়ে বেশিই কৌশলতা অবলম্বন করতে হবে।
3⃣সময়ঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এখন বিলিয়ন ইন্ডাস্ট্রির মার্কেট  এই মার্কেটে নিজেকে একজন মহীয়ান করতে গেলে প্রয়োজন প্রযার্প্ত সময় ব্যয়।

4⃣নিশ বাছাই করাঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ নিশ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিশ সিলেকশন হলো  বিজনেস এর কোন জিনিস টা নিয়ে করা হবে। ওয়েবসাইট ক্ষেত্রে নিশ হচ্ছে ওয়েবসাইট এর বিষয়বস্তু। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং,ব্লগিং, প্রোডাক্ট মার্কেটিং, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, নিউজ,ডিজিটাল মার্কেটিং, লাইফ হ্যাক, হেলথ টিপস, রান্নাবান্না ইত্যাদি বিষয় থেকে একটি বিষয় সিলেক্ট করে তা দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।
5⃣প্রোডাক্ট নির্ভর ওয়েবসাইটঃ নিশ সিলেকশন হয়ে গেলে সেই প্রোডাক্ট নিয়ে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। তার সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে হবে।
অফার, কমিশন,পেমেন্ট পদ্ধতি নিয়ে  প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিজের ওয়েবসাইটে তা উপস্থাপন করা।
যার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামিং করে নিশ্চিত করতে হবে।
6⃣ওয়েবসাইট SEO: ওয়েবসাইট তৈরি এবং তা র‍্যাংকিং করাতে হবে যাতে সার্চ ইঞ্জিনে টপে এই আর্টিকেল কিংবা কন্টেন্ট শীর্ষে থাকে। সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিকের মাধ্যমে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারে।
7⃣ভিজিটর নির্ভর কন্টেন্ট তৈরিঃ
ওয়েবসাইট কন্টেন্ট তৈরির সময় তা অডিয়েন্স  নির্ভর করতে হবে। যত বেশি অডিয়েন্স তত বেশিই  ইনকাম আসবে ।

✳এফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা কত টাকা আয় করা যাবে ?

সত্যি বললে, এফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা আপনি কত টাকা আয় করবেন, সেটা পুরো আপনার ওপরে। আজ, লোকেরা কেবল এই মাধ্যমে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা কমিশন হিসেবে কামিয়ে নিচ্ছেন আর তাই আপনি চেষ্টা করলে মাসে কয়েক হাজার তো আরামেই ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু, এই affiliate marketing এর খেলা বুঝতে আপনার অল্প সময় নিশ্চই লাগবে। এই মাধ্যমে আপনি বেহিসাব টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু, আপনার কিছু জায়গায় এক্সপার্ট (expert) হতে হবে।

ভেবেনিন আপনার একটি ব্লগ বা ইউটিউবের চ্যানেল আছে এবং আপনি তাতে blogging এর ওপর টিউটোরিয়াল (tutorial) আর্টিকেল লিখেন বা ভিডিও চ্যানেলে আপলোড দেন।

যেহেতু, আপনি blogging এর সাথে জড়িত আর্টিকেল লিখেন বা ভিডিও নিজের ইউটিউবের চ্যানেলে আপলোড দেন, তাই আপনার ব্লগে বা চ্যানেলে আশা বেশির ভাগ ভিসিটর্সরা ওয়েব হোস্টিং (web hosting) এবং ডোমেইন (domain) কেনাতে রুচি রাখতে পারে।

এখন, যদি আপনার প্রোমোট করা এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে আপনার ভিসিটর্স রা মাসে ২০ টা প্রোডাক্ট যেমন ডোমেইন বা হোস্টিং কেনে ,  এবং একটি হোস্টিং প্যাকেজের দাম বছরে ৭০০০ হয় আর প্রত্যেক কেনাতে আপনাকে ২০% কমিশন দেয়া হয় তাহলে আপনার মোট ইনকাম হবে –

৫০০০*৩০ = ১,৫০,০০০/-

১,৫০,০০০*৩০/১০০ = ৪৫,০০০/-

তাহলে আপনি মোট ৪৫,০০০ টাকা এক মাসেই আয় করতে পারবেন।

◾এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় পুরো পুরি নির্ভর করে,

◾আপনি কত দামি জিনিস এর মার্কেটিং করছেন

◾প্রত্যেক বিক্রিতে আপনাকে কত টাকা দেয়া হচ্ছে কমিশন হিসেবে।
◾আপনি কতটি প্রোডাক্ট এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে বিক্রি করিয়েছেন।
◾যেই প্রোডাক্ট আপনি মার্কেটিং করছেন তার চাহিদা আছে কি না।

ধন্যবাদ
আল শাহারিয়া ইমন

Posted in Education Blogs on November 15 2020 at 03:53 PM

Comments (1)

No login
color_lens
gif