কমিউনিকেশন ট্রেইটস

টপিকঃ কমিউনিকেশন ট্রেইটস

কমিউনিকেশন  মানে টা দাড়ায় একে অন্যের সাথে যোগাযোগ এর মাধ্যেমে নিজের মনের ভাবটা প্রকাশ করা।  এই কমিউনিকেশন টা হতে পারে সামনাসামনি, ফোনে,ইমেইল,কোন টেক্সট কিংবা কোন দেহের অঙ্গ বঙ্গির মাধ্যমে।
আমাদের প্রত্যেক এর  উদ্দেশ্য থাকে নিজের মনের ভাবটা প্রকাশ করা অথবা অন্যের মনের ভাব টা বুঝা।
সকালে ঘুম থেকেই উঠে আম্মু ডাকতে আসেন ঘুম থেকে উঠার জন্য, কিংবা কল করে জানতে চাই আজকের নিউজ পেপার টা দিলো কিনা।
এই যে আম্মুর  ডাকতে আসা কিংবা ফোনে কল করে জানতে চাওয়া সবই কিন্তু কমিউনিকেশন এরই অংশ।
বাস্তব জীবনে এই কমিউনিকেশন  করাটা আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমাদের ঘুম থেকে উঠা থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পযন্ত এই জিনিসটার যে কত প্রয়োজন পড়ে তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চিন্তা করলেই বুঝতে পারি।
তবে এই স্কীল যতটা শক্তিশালী হবে অন্যের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা ততই বেশি পাওয়া যাবে। সেই হোক চাকুরীজীবনে কিংবা বন্ধুদের আড্ডায়। কারন  আমাদের বাস্তব জীবনে যে গুছিয়ে কথা বলতে পারে সে সবসময়ই সবার কাছে প্রিয়।
এইবার চলে আসি ভালো কমিউনিকেশন তৈরি করার জন্য কি কি করা প্রয়োজন আমাদের।

  মন দিয়ে শুনার আগ্রহঃ প্রত্যেক মানুষ কথা বলতে চাই।  কিন্তু কথা বলার আগে আপনাকে একজন ভালো শ্রোতা হতে হবে। কারন একজন ভালো শ্রোতাই একজন ভালো বক্তা হয়ে থাকে। আর একজন ভালো বক্তার অন্যের সাথে ভালো কমিউনিকেশন তৈরি করা একদম সহজ কাজ।

চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারাঃ আমরা অনেকেই এই কাজটি ঠিকঠাক মত করতে পারিনা।
কারন লজ্জা, ভয় সহ বিভিন্ন জড়তার কারনে আমরা আমাদের সামনের ব্যক্তির সাথে কথা বলার সময় চোখে চোখ রেখে তার কথা টা শুনার বা বুঝার চেষ্টা করি না। এই জিনিসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক কমিউনিকেশন করার জন্য। এই জিনিসটা যত আমরা এরিয়ে যাবো আমাদের কমিউনিকেশন স্কিল ততই দুর্বল হবে।  কারন আপনার সামনের জন এইটাও চিন্তা করতে পারে আপনি থাকে ইগনোর করছেন। তাই আপনার কথা জোর দেওয়ার জন্য এবং ভালো কমিউনিকেটর হওয়ার জন্য চোখে দিকে থাকিয়ে কথা বলতে পারতে হবে।
বন্ধুত্বপূর্ণ কন্ঠস্বর  আমরা যখন কথা বলবো তখন আমরা অন্যের কথাটিকে মুল্যয়ান করবো। এবং তার কথার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবো এই জিনিসটার  করার মাধ্যেমে ভালো কমিনিউকেশন রক্ষা করা যায়।
পাবলিক স্পিকিংঃ অনেকেই জড়তার কারণে মানুষের সামনে দাড়িয়ে সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে না। এইটা একটা খারাপ দিক কমিউনিকেশন রক্ষা করার ক্ষেত্রে।  আমাদের স্কুল জীবন থেকে চাকুরীজীবন সবখানেই কোন না কোন অনুষ্টান, কিংবা প্রেজেন্টেশন দেওয়া লাগে। আমরা যদি পাবলিক স্পিকিং এ দুর্বলতা থাকে। আমরা ভালো কমিউনিকেট করতে পারবো না।  যেটার কারণে অফিসের বস আমাদের চাকুরী দানের ক্ষেত্রে কিংবা আমরা আমাদের জীবনের সাফল্য অর্জন করতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।তাই পাবলিক স্পিকিং এ ভালো হতে হবে।
বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে কমিনিউকেশনে এসেছে অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা।  কারন বর্তমান সময়ের মোবাইল ফোন কিংবা ইমেইলে আমরা যদি সুন্দর এবং সাবলীলভাবে কথা বলতে না পারি তাহলে আমাদের বিপরীতের মানুষগুলা আমাদের সাথে ভালো কমিউনিকেশন তৈরি করবে না।

ধন্যবাদ।
আল শাহারিয়া ইমন 
সিএসই ডিপার্টমেন্ট,

বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।  

Posted in Education Blogs on November 19 2020 at 03:56 PM

Comments (0)

No login
color_lens
gif