আইচ আকৃতির কাপ্তাই লেক

450_895f0ec109ba4bd4a58e4e156e83422f.jpg

450_8bf06703d966c5ca6435590e42eb8dac.jpg

450_8f219657e365f6bfe54826e03b0ba91a.jpg

450_76fcd6920bc95fa192f9ba822e832a0f.jpg

450_3562a1c5be5ba678b789b81514c8b305.jpg

450_5cc7ee9f5a5f647eef1f09821b5aef92.jpg







টপিক ঃএইচ বর্ণের আকৃতি বিশিষ্ট কাপ্তাই লেকের ইতিকথা।
নামঃআল শাহারিয়া ইমন
জেলাঃরাঙ্গামাটি
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কথা যদি বলতে হয় তাহলে একমাত্র  রিক্সাবিহীন শহর রাঙ্গামাটির কথা বলতে হয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরা এই শহর  গঠিত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম লেক (১৭২২ বর্গকিলোমিটার) কাপ্তাই লেকের কোল ঘেঁষে।
প্রতিবছর এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মায়ায় পড়ে দেশী বিদেশি লাখো পর্যটক ভীড় জমায় এই শহরে। এই লেক অপরূপ  সৌন্দর্য ছাড়াও এই  দেশের জাতিগোষ্ঠীর জন্য  বিপুল মৎসভান্ডার  হিসেবেও পরিচিত। দেশের সিংহ ভাগ মাছ উৎপন্ন হয় এই মিঠা পানির লেকে।
পযর্টনশিল্প, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের তাত শিল্প এবং মৎসশিল্পের মাধ্যমে পরিচয় ছাড়াও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলার হিসেবেও পরিচয় লাভ করেছেন। ১০ জেলা এবং ৫০ ইউনিয়ন নিয়ে বিশাল এক জেলা রাঙামাটি।

এগারো  গোত্রের  ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সহ  প্রায় ৮ লাখ মানুষ সুখ শান্তিতে বসবাস করেন।

রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতমঃ কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ে, কর্ণফুলী হ্রদ, পর্যটন মোটেল ও ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝর্ণা, শুকনাছড়া ঝর্ণা, ধুপপানি ঝর্ণা, মুপ্পোছড়া ঝর্ণা, পেদা টিং টিং, টুকটুক ইকো ভিলেজ, রাইংখ্যং পুকুর, রাজবন বিহার, ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজার রাজবাড়ি, কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার, সাজেক ভ্যালী, ন-কাবা ছড়া ঝর্ণা, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র, কাট্টলী বিল, তিনটিলা বনবিহার, পলওয়েল পার্ক,অরন্যক ইত্যাদি ।

‍রাঙ্গামাটিতে বাৎসরিক পর্যটকদের আগমন - ২০% বৃদ্ধি করা।

★কাপ্তাই হ্রদের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় দূষণরোধ কার্যক্রম পরিচালনা -৩০% বৃদ্ধি করা।

★মাছের উৎপাদন- ৩০% বৃদ্ধি করা।

★আর্থিক মূল্যে পর্যটন ও মৎস্য সম্পদ ও অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে বার্ষিক- ১০০ কোটি টাকা আয় বৃদ্ধি লক্ষ্য নির্ধারণ করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।

ইংরেজি এইচ বর্ণের আকৃতি বিশিষ্ট কাপ্তাই লেকের দুটি বাহু সুভলং-এর কাছে একটি সংকীর্ণ গিরিসঙ্কট দ্বারা সংযুক্ত যা কর্ণফুলি নদীর গতিপথের একটি অংশ। হ্রদের ডান বাহু অর্থাৎ কাসালং দক্ষিণ দিকে দুটি অন্তঃপ্রবাহী নদী মাইনি ও  কাসালং দ্বারা এবং পাশ দিয়ে কর্ণফুলি নদী দ্বারা পুষ্ট। রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই, অর্থাৎ বাম বাহুটি দুটি নদী, উত্তরে চেঙ্গী বা চিংগ্রী ও দক্ষিণে  রাইনখিয়াং দ্বারা পুষ্ট। কর্ণফুলি নদী তিনটি প্রধান শাখার জন্ম দিয়েছে- একটি রাঙ্গামাটিতে, একটি ধুলিয়াছড়িতে ও অপরটি কাপ্তাইয়ে। রাঙ্গামাটি ও ধুলিয়াছড়ি শাখাদ্বয় বর্তমানে কাপ্তাই বাঁধ দ্বারা সৃষ্ট জলাধারের অধীনে। কাপ্তাই হ্রদ মধ্য কর্ণফুলি উপত্যকার প্রায় সমগ্র অংশ এবং চেঙ্গী, কাসালং ও রাইনখিয়াং নদীর নিম্ন মোহনাসমূহকে নিমজ্জিত করেছে। কাপ্তাই হ্রদের তটরেখা ও অববাহিকা খুবই অনিয়মিত। 

কাপ্তাই রদের পানিকে জমিয়ে  কাজে লাগিয়ে তৈরি হচ্ছে ২৩০ মেগাওয়াট  বিদ্যুৎ। যা দিয়ে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ  চাহিদার  মেটানোর হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সর্বোপরি বলা যায় রাঙ্গামাটি  তার রুপ দিয়ে পরিচিত  এই বাংলাদেশে।

Posted in Travel Blogs on November 18 2020 at 02:37 PM

Comments (0)

No login
color_lens
gif