কাজু বাঁচাবে জীবন

আসসালামু আলাইকুম
 আজ কথা বলতে আসলাম কাজু বাদাম নিয়ে। অনেকেই কাঠ বাদাম বলে।
কাজুর বাদামের উপকারীতা ঃ
 
পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক থেকে দেখতে গেলে কাজু বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এতে উপস্থিত প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ভিটামিন নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। শুধু তাই নয়, কাজু বাদামে ভিটামিনের মাত্রা এতো বেশি থাকে যে চিকিৎসকেরা একে প্রকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামেও ডেকে থাকেন। তবে একথাও ঠিক যে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে এই বাদামটি খেলে কিন্তু শরীরের উপকারের থেকে অপকার হয় বেশি। কারণ উপকারি উপাদান বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে উল্টো ফল হতে শুরু করে। তাই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে কাজু বাদাম, তাহলেই সুফল পাওয়া যাবে।
 
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত যদি এক মুঠো করে কাজু বাদাম খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি দূর হয়, সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরেন-
 
১. অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমে-
কাজুতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা শরীরে প্রবেশ করে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন এতো মাত্রায় বাড়িয়ে দেয় যে রক্তাল্পতার মতো সমস্যা কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সুস্থভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে রোজের ডেয়েটে কাজু বাদামের অন্তর্ভুক্তি ঘটাতে ভুলবেন না যেন!
 
২. শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে-
কাজুতে রয়েছে ওলিসিক নামে এক ধরনের মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা দেহে বাজে কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে দারুন কাজে আসে। তাই তো নিয়মিত এই বাদমটি খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
 
৩. ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে থাকে-
এই মারণ রোগটি যদি সাপ হয়,তাহলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো বেজি। তাই তো যেখানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, সেখানে ক্যান্সার সেলের খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই তো প্রতিদিন এক মুঠো করে কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আসলে এই বাদমটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি টিউমার যাতে দেখা না দেয় সেদিকেও খেয়াল রাখে। প্রসঙ্গত, কাজু বাদামে থাকা প্রম্যান্থোসায়ানিডিন নামে একটি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
 
. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এই বাদামটি নিয়মিত খেলে হাড়ের শক্তি বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে বুড়ো বয়সে গিয়ে অস্টিওআর্থারাইটিসের মতো হাড়ের রোগ হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
 
৫. ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস  যা আধুনিক বিশ্বের জন্য এক হুমকি। 
কারন এই রোগ একবাএ হলে মৃত্যুর আগে পযন্ত তার আর নিস্তার নেই। আপনাকে বয়ে বেড়াতে হবে সারাজীবন। তাই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব? জ্বি সম্ভব
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এক মুঠো করে কাজু বাদাম খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। তাই তো যাদের পরিবারে এই মরণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের নিয়মিত কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
 
৬. সংক্রমণের আশঙ্কাঃ
এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে থাকা জিঙ্ক, ভাইরাসের আক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। তাই আপনি যদি এই ধরনের ইনফেকশনের শিকার প্রায়শই হয়ে থাকেন, তাহলে রোজ ডায়েটে কাজু বাদামের অন্তর্ভুক্তি ঘটাতেই পারেন।
 
৭. হার্টের ক্ষমতা ঃ
বাংলাদেশের হৃদরোগে বছরে পৌনে দুই কোটি মানুষের মৃত্যু ঘটে। বুঝতেই পারছেন সমস্যা টা কত জটিল। তবে সব হার্ট ফেইলিউরে  মৃত্যু ঘটে না।
কিন্তু হার্ট ফেইলিউর এর মত এত বিড়ম্বনা নিয়ে বাঁচার চাইত তার সমান্য কিছু কাজু খেলে কেমন হয়?
কাজু বাদামে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট একদিকে যেমন ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে, তেমনি নানাবিধ হার্টের রোগ থেকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যাদের পরিবারে হার্ট ডিজিজের ইতিহাস রয়েছে, তারা প্রয়োজন মনে করলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেই পারেন।
 
৮. চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ঃ
পানির সমস্যা কিংবা কাজের চাপ এই ২ সমস্যার কারণে করপোরেট লাইফে এসে মানুষ চুলের যন্ত নিতে অনেক কষ্ট হয়ে যায় কারন সময় ত ২৪ ঘণ্টা ফিক্সড। আর চুল পড়া, চুলের হাজার সমস্যা ত আছেই।  কপার হল সেই খনিজ, যা চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়াকে শক্তপোক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কাজুতে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কিভাবে কাজু চুলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, কাজু বাদামে থাকা কপার শরীরের অন্দরে এমন কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যা চুলের কালো রংকে ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
 
৯. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ
ব্লাড প্রেসার যা সবার মধ্যেই রয়েছে কিন্তু বয়স বাড়তে শুরু করলে মানুষের ব্লাড প্রেসার ও উঠা নামা শুরু হয়। তাছাড়া বাস্তব জীবনে হাজার ঘাত প্রতিঘাত উত্তরণের পথ খুজতে  খুজতে  কত মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন তার হিসাবে বলা বাহুল্য। ত এই সমস্যা আর কত দিন  তাহলে তো আপনার সমাধান  চলে এসেছে  চটজলদি কাজু খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এই বাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, যা ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
 
১০. নার্ভের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়-
বাদামে শরীরের থারা ম্যাগনেসিয়াম নার্ভের ক্ষমতা বাড়িয়ে সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার ব্রেন পাওয়ার বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে ব্রেনের কগনিটিভ ফাংশনেরও উন্নতি ঘটে। ফলে বুদ্ধি, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগও বাড়তে শুরু করে।
 
 এইবার প্রশ্ন ভালো মানে কাজু পাবেন কয়?
 
তারও সমাধান আমি দিচ্ছি আপনি রাঙামাটির কাজুবাদাম  অনায়াসে কিনে নিতে পারেন অনলাইন প্লাটফর্ম  ব্যবহার করে। আপনার প্রয়োজনীয় কাজু সরবরাহ করতে পারেন আমার কাছ থেকেই।
 
-ধন্যবাদ 
আল শাহারিয়া ইমন 
রাঙামাটি।

450_f90e7373dfeab7ae5fee10c77b585223.jpg

450_7c164e02b4156cbfebffbd4215bc5107.jpg



Posted in Fitness Blogs on November 14 2020 at 11:29 PM

Comments (1)

No login
color_lens
gif