বর্তমানের বিশ্ব হলো এডভান্সড। সব বষয়ে এডভান্সড। সব কিছু তে দ্রুত তার সাথে অতিক্রম করাই যেন বর্তমান বিশ্বের মোটিভ। আর সেই মোটিভ ফুলফিল করতে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ রা কি না করছে? অনেক গুলো মোটিভ এর মধ্যে একটু হলো এক দপশের মানুষের অন্যদেশের মানুষের সাথে যোগাযোগ, বসবাস। কিন্তু তা সম্ভব তখন ই হবে যখন আমরা বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে একটি কমন ভাষায় যোগাযোগ করতে পারব। কি কমন ভাষা। পৃথিবীতে এতো গুলো ভাষার মানুষ এতো গুলো দেশের মানুষের বসবাস। সব ভাষা আমাদের শেখা সম্ভব নেই। এজন্য ই হয়ত ইংরেজি কে ইন্টারন্যাশনাল ভাষা করা হয়েছে। এখন বলবেন আরো ভাষা তো আছে। হ্যাঁ আরো ভাষা আছে। কিন্তু ইংরেজি ভাষায় বেশির ভাগ মানুষ জানে, বুঝতে পারে এবং বলতে পারে। এজন্য স্পোকেন ইংরেজী অনেক জরুরি।
মানব জাতি ভাব প্রকাশের জাতি। এরা ভাব প্রকাশ করে, কথা আদান প্রদান করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কিন্তু যদি কোনো কথা বলার সময় নিজের ভাষার মানুষ আশেপাশে না থাকে, তখন কেমন লাগবে বলুন তো? আপনি কি কথা না বলে থাকতে পারবেন? অবশ্যই না। কিন্তু আপনি যদি স্পোকেন ইংলিশ টা চর্চা করপন তাহলে মোস্ট অফ দা দেশের মানুষের সাথে আপনি ভাবপর আদান প্রদান সহজে করতে পারবেন। আপনার যদি বিদেশী ক্লাইন্ট থাকে, তাহলে তাদের সাথে ও সহজে কথা বলতে পারবেন এবং ইমপ্রেসড কতে পারবেন। যদি স্পোকেন ইংলিশ এর চর্চা করেন তাহলে।
এবার আসি নিজের দেশের কথা। আমাদের দেশ অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রথম ভাষা ঠিকই বাংলা। আমরা নরমাল কথা বাংলায় বলে থাকি ঠিকই। কিন্তু এই ও মনে রাখতে হবে আমাদের ২য় ভাষা হলো ইংরেজি। ২য় ভাষা হলে ও আমাদের স্কুল কলেজের গন্ডি পার করার পর ইংরেজি ভাষার ব্যবহার ই সর্বত্র দেখা যা। একাডেমিক বই থেকপ শুরু করে সবত্রই ইংরেজীর ব্যবহার। লিখার পাশাপাশি ভাইভা বোর্ডে ও ইংরেজি র গুরুত্ব থাকে বেশি। আর চাকরি ক্ষেত্রে? চাকরি ক্ষেত্রে ইংরেজীর বিকল্প যেন কিছুই নেই। রিসেপশনিস্ট, সেলস গার্ল, কল সেন্টারের কাজ, উদ্যোক্তা ইত্যাদি যে কাজ ই করুন না কেন ইংরেজি আপনার লাগবেই। লেখার ও কথা বলার জন্য। কিন্তু আপনি যদি স্পোকেন ইংলিশ এর চর্চা ছোট থেকে না করেন বা স্কুল কলেজ জীবনে বা কোনো কাজ করার পাশাপাশি স্পোকেন ইংলিশ এর চর্চা না করেন, তাহলে শিক্ষা জীবন, চাকুরী জীবন সবক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাহলে বুঝতে ই পারছেন স্পোকেন ইংলিশ বর্তমানের পৃথিবীর সাথে চলার জন্য কত জরুরি।
আমাদের চকুরী ব্যবসা জীবন এর শুরু হয় বিভিন্ন সিভি আর এপ্লিকেশন লেখার মাধ্যমে। এক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার সিভি এপ্লিকেশনের গুরুত্ব থাকে সবচেয়ে বেশি। তাহলে লিখার ক্ষেত্রে ইংরেজি অনেক জরুরি। তারপর সিভি সিলেক্ট হলে মুখোমুখি হতে হয় ভাইবা বোর্ডের, যেখানে ছোট থেকে ছোট প্রশ্ন তারা ইংরেজী তে জিজ্ঞেস করতে পছন্দ করে। এবং উত্তর টাও কনফিডেন্সের সাথে ইংরেজি তে চায়। এক্ষেত্রে যদি আপনার স্পোকেন ইংলিশ ভালো না হয়, তাহলে আপনি কনফিউশান এ পড়ে যাবেন। উত্তর দিতে ভয় পাবেন। যার ফলস্বরূপ কনফিডেন্সের অভাব এর কারণে আপনাকে চাকুরী থেকে বাতিল করে দেওয়া হবে। মনে রাখতে হবে "first impression is the last impression. " তাই প্রথমেই যদি ভয় পান, কনফিউজড হয়ে যান তাহলে ভাইভা বোর্ড প্রথমেই অসন্তুষ্ট হয়ে যাবে আপনার থেকে। কিন্তু স্পোকেন ইংরেজি যদি আপনি ভালোভাবে চর্চা করেন তাহলে এসব সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। চাকুরী তে সিলেক্টেড হন তাহলে স্পোকেন ইংলিশ এর চর্চা থাকার কারণে আপনার ক্লাইনট,কলিগস সবার সাথে ভাবের আদান প্রদান সহজে করতে পারবেন।
অনেক ভাববেন উদ্যোক্তাদের জন্য স্পোকেন ইংরেজি জরুরি না৷ আমি বলব এটা ভুল ধারণা। হ্যাঁ বাংলা দিয়ে বেশির ভাগ কাস্টমার এর সাথে কথা বলা যায়। কিন্তু যদি আপনার ফরইন কাস্টমার একটা ও হয় বা থাকে। তার সাথে যদি সঠিক ভাবে কথা + তাকে সব বুঝিয়ে বলতে চান। তাহলে স্পোকেন ইংলিশ অনেক জরুরি। আপনার স্পোকেন ইংলিশ চর্চা থাকলে তাদের সাথে সহজে কথা বলতে পারবেন। এতে করে তারা সন্তুষ্ট হবে এবং আপনার জন্য আরো ফরিন কাস্টমার নিয়ে আসবে। যাতে করে আপনার সেল বাড়বে। সুতরাং উপরের ডিসকাশন থেকে বোঝা ই যাচ্ছে স্পোকেন ইংলিশ এর গুরুত্ব আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কত জরুরি। তাই সকলে স্পোকেন ইংলিশ এবং রাইটিং ইংলিশ চর্চা করা জরুরি। ❤️
Comments (1)