বইয়ের নাম- চিতা বহিমান,লেখক - ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়, inspiring Bangladesh Summit 2020

#বুকরিভিউ 
 
#নাম : তানভীর আহমেদ খান
#প্রতিষ্ঠান : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
#ইমেল : tanvairahmedkhan49@gmail.com
 
              #বইয়ের নাম - চিতা বহ্নিমান 
              #লেখক - ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় 
              #বইয়ের ধরণ - উপন্যাস
              #প্রকাশক - জয় প্রকাশন
              #প্রচ্ছদ - মশিউর রহমান
              #পৃষ্ঠা সংখ্যা - ১১০ 
 
#লেখক_পরিচিতি : 
ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ৭ মার্চ ১৯০৪ সালে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের নাকড়াকোন্দার খয়রাশোলে। ফাল্গুনী তাঁর ছদ্মনাম। আসল নাম তারাপদ। তিনি ছিলেন একজন খ্যাতনামা বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক ও সম্পাদক। তার বিখ্যাত উপন্যাস চিতা বহ্নিমান ও শাপমোচন। ২৫ এপ্রিল ১৯৭৫ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
 
#কাহিনী_সংক্ষেপ :
নব্য আধুনিকতার পরিণাম, চিরাচরিত টানাপোড়ন, 
" সময় গেলে সাধন হবে না " মূলত এমন একটি অর্থই বহন করে চিতা বহ্নিমান উপন্যাসে। 
 
ধনী পিতার একমাত্র কন্যা তপতী। বাবা শংকর চ্যাটার্জী, মেয়ে বি.এ পড়ার সময়ই বিয়ে দিতে চান।  বিয়ের জন্য ভদ্রঘরের সুপাত্র ঠিক করা হলেও পণের টাকা দিতে দেরী করায় ছেলের বাবা তার বাধ্যছেলেকে বিয়ের আসর থেকে তুলে নিয়ে যায়। 
বিয়ের প্রস্তুতির সময়ই শঙ্কর সাহেবের পুরনো বন্ধুর ছেলে  তপন  আসে পরলোকগত পিতার রেখে যাওয়া কিছু দরকারি  কাগজপত্রের জন্য। শান্ত, সৌম্য চেহারার তপনকে দেখে মি. চ্যাটার্জীর মনে পড়ে যায় তিনি বন্ধু মহাদেবকে কথা দিয়েছিলেন তার ছেলেকে মেয়ের জামাই বানাবেন। পাত্রপক্ষ চলে যাওয়ার পরই তাৎক্ষণাত তপতীর সাথে তপনের বিয়ে দিয়ে দেন মি. চ্যাটার্জী। 
 
অভাবের কারণে তপন লেখাপড়া বেশিদূর করতে পারেনি। তপতী তপনকে সর্বদা তার অযোগ্য মনে করত। তার বন্ধুরা তপনকে হাসির পাত্র বানায়, টিকি কেটে দেয় ও নানা ভাবে অপমান করে। প্রচন্ড অহংকারী তপতী তপনের মূল্য না বুঝলেও তাঁর বন্ধু শিখা ঠিকই বুঝেছিল যে তপন সাধনার ধন। তাই শিখা তপনকে দাদার আসনে বসায়। 
তপতীর  খারাপ ব্যবহারে তপন নিরুত্তাপ। 
কেননা সে তপতীকে ভালবাসে। 
সে ভাবে, হয়তো একসময় তপতী তাকে বুঝবে। কিন্তু অপরাধ আকাশচুম্বী হলেও তপতী সেগুলোর না বুঝে তার কাছে মুক্তি চেয়ে বসে !!!
 
কিন্তু সময় বহমান। 
এক সময় তপতীর সমস্ত অহংকার ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। সে আবার তপনের কাছে ফিরে যেতে চায়। সে চায় তপন তাকে গ্রহণ করুক।  
কিন্তু ততদিনে তপন তার হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তপনের কাছে তার সত্য  ’বজ্রের চেয়ে কঠিন, মৃত্যুর চেয়ে নিষ্ঠুর ’। 
তপতীকে তার নিজের ইচ্ছায় মুক্তি দিয়েছিল তপন। সে কি তার সত্যকে মাটি চাপা দিয়ে, সমস্ত কাঠিন্য ভেঙ্গে, তাকে গ্রহণ করতে পারবে কখনো  ? 
                 
              #প্রিয়_উক্তি : 
★ ‘‘তোমায়-আমায় মিলেছি প্রিয়, শুধু চোখের জলের ব্যবধান টুকু রইল ’’। 
★ ‘‘যে আমাকে মূর্খ ভেবে গ্রহণ করল না, আমাকে পন্ডিত দেখে গ্রহণ করার কোন অধিকার তার নেই ’’।
 
#ধন্যবাদ_সবাইকে।
Posted in Personal Blogs on January 07 2021 at 10:35 PM

Comments (0)

No login
color_lens
gif