বিষয়:- বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা।নাম:- Mohammad Hasibul Basharরেফারেন্সকারী দলের নাম:- "বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা"শ্রদ্ধাস্পদেষু পিতা,চিঠির শুরুতেই আমার ভক্তিপূর্ণ সালাম নিন। আপনার কাছে চিঠি লিখতে পেরে আমি আসলেই অনেক গর্বিত। জানি আপনার কাছে কোনো দিন পৌঁছাবে না আমার এ চিঠি। তাই আকাশের ঠিকানায় লিখে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলাম এ চিঠি।আপনার জন্মশতবার্ষিকী আমরা পালন করছি। করোনাকালের জন্য হয়তো আমরা তেমন জমকালো ভাবে উৎযাপন করতে পারিনি। তবুও , রবীন্দ্রনাথের বাণী কণ্ঠে ধারণ করে আমরা গাইতে চেষ্টা করেছি, ‘ওই মহামানব আসে।/দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে/মর্তধূলির ঘাসে ঘাসে ...এল মহাজন্মের লগ্ন।’রবীন্দ্রনাথ আর আপনি। বাঙালির গর্বের দুই শিখর। রবীন্দ্রনাথ আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির অজেয় প্রতীক আর আপনি আমাদের মুক্তিদাতা, সারা জীবন সংগ্রাম করে আমাদের একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়ে বিশ্বে আমাদের মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ করে দিয়েছেন।তোমার জন্ম না হলে এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ আমরা কবে পেতাম অথবা আদৌ পেতাম কিনা, জানি না। শুধু বাঙালী বাঙালী বলে তুমি সারাটা জীবন পার করেছ। বাঙালীর যে নিজস্ব সত্তা আছে, তার ইতিহাস আছে, ঐতিহ্য ও সৃষ্টি আছে তা তুমি পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠীকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছ। তোমার জীবনাচরণে সর্বদাই বাঙালিত্বের ছাপ ছিল। তোমার সফেদ পাজামা-পাঞ্জাবি, লুঙ্গি-চশমায় ফুটে উঠত বাঙালিত্ব। বাংলার পাখির যে নিজস্ব গান আছে, বাংলার নদীর যে স্বতন্ত্র কলতান আছে, বাংলার মাঠ-প্রান্তরের যে আপন সবুজ আছে, বাংলার আকাশের যে ভিন্ন রকম নীল আছেÑ তা তুমি এবং জীবনানন্দ, জসীম উদ্দীন, আব্বাস উদ্দীন ছাড়া ক’জনই বা অনুধাবন করেছে। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন-হাসান-সিরাজ সাঁইকে তুমি যে আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলে, কেউ তা করেছে বলে আমাদের জানা নেই। কবি আব্দুল হাকিম, বিদ্যাসাগর, রামমোহন, ডিএল রায়, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, শহীদুল্লাহ্ কায়সার, মুনীর চৌধুরী, জহির রায়হানকে তোমার মতো কেউ গুরুত্ব দেয়নি। তুমি ঘাম ঝরা কৃষক-মজুর-শ্রমিকের ভাষা বুঝতে, তুমি বাংলার মাটির উর্বরতার খবর রাখতে, ধানের ক্ষেতের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা গরম বাতাসে তুমি আনন্দ পেতে, বর্ষার রাতের পানিতে ঝুপ করে পড়া তালের শব্দে তুমি আনন্দিত হতে, ঘরের পাশে মাছের শব্দ তোমার ঘুম ভাঙাত। তোমার থালায় যখন তোমার রেনু বড় কই মাছ ও রুই মাছের মাথা তুলে দিত, তখন তুমি নিজেকে খাঁটি বাঙালী বলেই মনে করতে। এ জন্যই তুমি ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, তোমার আমার ঠিকানা-পদ্মা, মেঘনা, যমুনা’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে বাঙালীকে উন্মাদ করে তোল। আর সে কারণে ’৬৮তে তোমাকে জেলে নেয়ার পর তোমার দামাল ছেলেরা সোচ্চার কণ্ঠে আওয়াজ তুলল, ‘জেলের তালা ভাঙব শেখ মুজিবকে আনব।’ তুমি এলে বীরদর্পে, মুকুটহীন সম্রাটরূপে। সমগ্র বাঙালী তোমাকে রেসকোর্সে অভিবাদন জানাল। তুমি তাদের একান্ত আপন, তুমিই তাদের মুক্তির দিশারী, তুমি তাদের ভাষা বোঝ, তুমিই তাদের একান্ত ভালবাসা-তাই তারা তোমাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ বলে সমস্বরে আওয়াজ তুলল। তারপর ধীরে ধীরে তুমি তাদের নির্বাচনে বিজয়ী করলে, সমগ্র পৃথিবীতে এটি সংবাদের শিরোনাম হলো। কিন্তু তোমার বাঙালিত্বকে ইয়াহিয়া খান অমর্যাদা করতে লাগল। তাও তুমি নিয়মতান্ত্রিক পথেই হঁাঁটলে। অতঃপর তুমি ঘোষণা করলে, ‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না।’ এখানেও তোমার কণ্ঠে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ধ্বনি বিশ্ব শুনতে পেল বিশ্ব। তুমি অপেক্ষা করলে, আলোচনায় অংশ নিলে, অতঃপর ইয়াহিয়া নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল হিংস্র সেনাবাহিনী নিয়ে। তোমাকে গ্রেফতার করা হলো। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে বাঙালীকে তুমি যে মন্ত্র শিখিয়েছিলে ‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না’ শক্তির বলে বাঙালী পাকিস্তানিদের রুখে দেয়। দেশদ্রোহের অভিযোগে তোমাকে ফাঁসি দেয়ার সব আয়োজন সম্পন্ন হয়। বিশ্ব সম্প্রদায় তোমার পক্ষে এসে দাঁড়ায়। তুমি জেলের মধ্যেই হুঙ্কার তোল, ‘আমি বাঙালী, বাংলা আমার ভাষা, আমার লাশ বাংলার মাটিতে পৌঁছে দিও।’ ১০ জানুয়ারি রেসকোর্সের বক্তৃতায় তুমি যখন এ ঘটনার উল্লেখ কর, উপস্থিত সকল বাঙালী সেদিন কেঁদেছিল। সেদিন তুমি বলেছিল, ‘রবীন্দ্রনাথ তুমি দেখে যাও, তোমার বাঙালী মানুষ হয়েছে।’ সত্যিকার অর্থে তোমার এই ফিরে আসার দিনে বাঙালীর আপন সত্তা বিশ্ব স্বীকৃতি পায়। তোমাকে সালাম, তোমাকে অভিবাদন, কৃতজ্ঞতা তোমার প্রতি।জাতির পিতা,তুমি নেতৃত্ব দিয়েছিলে বলেই পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি জায়গা করে নিল। সেই বাংলাদেশকে সারা পৃথিবী চিনে ফেলল এক-দুই বছরের মধ্যে। তুমি জাতিসংঘে গেলে। আবার বাংলায় ভাষণ দিয়ে আমাদের ও আমাদের পূর্বপুরুষদের সম্মানিত করলে। নির্যাতিত, পঙ্গু, অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের তুমি পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিলে। নির্যাতিতা নারীদের নাম দিলে তুমি ‘বীরাঙ্গনা’। অভিধানের কোথায় খুঁজে পেলে এই শব্দ। বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের পিতার নাম কি লেখা হবে তোমাকে জিজ্ঞেস করলে তুমি তাৎক্ষণিক উত্তর দিলে, ‘লিখে দাও শেখ মুজিবুর রহমান।’ তুমি তোমার বাঙালীকে এত ভালবাসতে! বাঙালীর সবই তোমার নখদর্পণে থাকত। বিধ্বস্ত দেশের সবকিছুকে তুমি গুছিয়ে আনতে শুরু করলে, ব্যাংকে নোট নেই, স্কুলে ঘর নেই, শিক্ষার্থীর কাগজ-কলম-পোশাক নেই, গৃহবধূর শাড়ি নেই, গৃহস্থের ঘর নেই। সব তুমি ব্যবস্থা করতে লাগলে। তুমি বাংলাদেশের নোট চালু করলে। কি ভাল লাগার বিষয়, কত বড় আনন্দের খবর ছিল সেটি! বাংলাদেশ নিজের নামে টাকা ছাপাচ্ছে। তুমি ইউনিসেফ থেকে বড় বড় ঢেউওয়ালা টিন এনে হাজার-লাখ লাখ স্কুল ঘর করে দিলে, এই ইউনিসেফের খাতা-পেন্সিল সরবরাহ করলে, স্কুলে গুঁড়া দুধ আর বিস্কুট দিয়ে টিফিন দিতে শুরু করলে। প্রায় প্রতিটি পারিবার ত্রাণ সহায়তা হিসেবে শাড়ি, কম্বল পেল। অনেককে ঘর করার বন্দোবস্তও করে দিলে। ভাঙ্গা ব্রিজ ঠিক হলো, বন্ধ ট্রেন চালু হলো, কারখানার চাকা ঘুরল। তুমি নয় মাসের বকেয়া পর্যন্ত পরিশোধ করলে। সর্বত্র পুনর্গঠনের উৎসব। এসব কর্মযজ্ঞের মধ্যে চুরি-চামারিও কিছু হলো এবং তুমি হুঙ্কার ছাড়লে। ধীরে ধীরে সবাই শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরে আসতে লাগল। চুয়াত্তরের বন্যায় সব কিছু ডুবে গেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি পেল। তুমি বিভিন্ন উদ্যোগ নিলে। চালের দাম কমতে লাগল, লবণ সহজলভ্য হলো, কেরোসিনের প্রাচুর্য দেখা গেল। কিন্তু ’৭১-এর পরাজিত শক্তি ভেতরে ভেতরে সংগঠিত হতে থাকল। তুমি সবই অনুধাবন করলে; কিন্তু সার্বিক অবস্থায় কঠোর হতে পারলে না। কত মিথ্যাচারই না শুরু হলো তখন। এ সবের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানে ফিরিয়ে নেয়া।বঙ্গবন্ধু,মোশতাক-তাহের ঠাকুর, জিয়া-ডালিম সবাইকে তুমি জানতে। জিয়া সপরিবারে তোমার ধানম-ির ৩২ নম্বরে যাতায়াত করত। ডালিম শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য চাকুরি হারায়; তুমি তাকেও ব্যবসায় সহযোগিতা করলে। কিন্তু তুমি কি জানতে তারা পাকিস্তানের গুপ্তচর ছিল? সম্ভবত এটা তুমি অনুমান করতে পারনি। তুমি বাঙালীকে উচ্চ শিখরে নিয়ে গেলে, কিন্তু তারা যে মারাত্মক বিশ্বাসঘাতক, তা তুমি অনুধাবন করলে না। সাগরের বিশাল হৃদয় এবং আকাশের উদারতা দিয়ে দুষ্কতকারীদের মূল্যায়ন করা যায় না, তা তুমি ভাবলে না কেন। তারা যে কত নিষ্ঠুর হতে পারে তা তুমি অনুধাবন করনি। ১৫ আগস্ট তারা তোমার তর্জনীকে শ্রদ্ধা ও সম্মান না করে তোমার দিকে গুলি চালায় তারা। অথচ ইয়াহিয়া খান পর্যন্ত ওই উঁচু তর্জনীকে ভয় পেত। তোমার দেহ সিঁড়ির ওপর পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের চরিত্র পাল্টে যেতে শুরু করে। ডালিম তার বেতার ঘোষণায় বাংলাদেশ ইসলামী প্রজাতন্ত্র হবে বলে ঘোষণা দেয়। মুয়াবিয়া যেমন পবিত্র কুরআনকে ব্যবহার করে হযরত আলীকে অপমান করে, ঠিক তেমনি খুনীরা ধর্মের ব্যবহার করে মানুষের মনোজগতে আঘাত করার চেষ্টা করে।জাতির জনক,যে বাংলাদেশ তোমার কাক্সিক্ষত ছিল, তোমার কন্যা তার অনেকখানি পূরণ করেছে। তুমি যে সাড়ে সাত কোটি মানুষ রেখে গিয়েছিলে, এখন তা ১৭ কোটিতে উন্নীত। তোমার সময়ে বন্যা-খরায় ফসলহানিতে খাদ্য সঙ্কট থাকত। এখন সতেরো কোটি মানুষের দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই। গবেষণার ফলে এখন বিঘায় ধান হয় ৩৫ মণ। তোমার বাংলাদেশে এখন মানুষ কাপড়ের কষ্ট পায় না, শীতে গরম কাপড়ের অভাব বোধ করে না। তুমি যে ষোল মাইল পথ হেঁটে টুঙ্গিপাড়া আসতে, এখন ১৬ মিনিটে আসা যায়Ñপ্রশস্ত পাকা রাস্তা দিয়ে। সারা বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে এখন রাস্তাঘাট হয়েছে। তুমি ভাঙ্গা-ভাটিয়াপাড়া-গোপালগঞ্জ বড় রাস্তা করার প্রকল্প হাতে নিয়েছিলে এবং নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য ইটও চলে এসেছিল। শুধু তোমার প্রতি আক্রোশের কারণে সে ইটগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। সে আক্রোশ কিসের আমরা এখন তা অনুধাবন করি। তোমার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আক্রোশ। কুড়িগ্রামের বাসন্তীর জালপরা ছবি দিয়ে কত অপরাজনীতি হয়েছে এদেশে! অথচ তারা বাসন্তীদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন করতে পারেনি। তোমার কন্যা প্রায় প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুত পৌঁছে দিয়েছে। এখন শিক্ষার হার বেড়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী পর্যন্ত এখন বিনামূল্যে বই দেয়া হয়। নারী শিক্ষার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। নারীর কাজের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হয়েছে। পুলিশ, নৌ, সেনাবাহিনীতে নারীরা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন। আপীল বিভাগ থেকে শুরু করে নিম্ন আদালত এবং সচিবালয় থেকে থানা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে নারী তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে। বাংলাদেশে এখন প্রায় ৪৯টি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারী ১০০টিরও বেশি। এক সময় এ দেশের রিক্সাওয়ালা বা দিনমজুর তাদের এক দিনের শ্রমে বড় জোর ২ কেজি চাল কিনতে পারত। এখন তারা ১০ কেজির বেশি চাল কিনতে পারে। দেশে মাছের উৎপাদনও বেড়েছে আশাতীতভাবে। হাঁস, মুরগি, গবাদিপশু সবকিছুরই উৎপাদন বেড়েছে। মানুষের রুচিরও পরিবর্তন ঘটেছে একইভাবে। প্রায় প্রতি ঘরে টেলিভিশন। দেশে ৭ কোটির বেশি মানুষের হাতে মোবাইল ফোন আছে। এই আজব জিনিস তুমি দেখে যাওনি। এনালগ ফোন দিয়েই তোমাকে কাজ সারতে হয়েছে। কৃষক এখন মাঠে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বা অস্ট্রেলিয়ায় তার আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলতে পারে। সবকিছুতেই অগ্রগতি ও উন্নতি। মাথাপিছু আয় প্রায় ২ হাজার ডলার। বর্তমানে পৃথিবীতে এক মহাদুর্যোগ হানা দিয়েছে। সেই পুরনো দিনের প্লেগ বা কলেরা অথবা গুটি বসন্তের মতো। লাখ লাখ লোক মারা যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা একে বলছেন ‘করোনা ভাইরাস’। এ এক মারাত্মক জিনিস। সারা পৃথিবীর অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করছে। তোমার কন্যা এই পরিস্থিতিকে সামাল দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে এবং সফলও হয়েছে।ঘাতকেরা তোমার স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলতে চেয়েছিল। তোমার মৃতদেহকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়ার চিন্তা করা হয়েছিল। তোমাকে ঢাকায় দাফন করলে কবরে মানুষের ঢল নামবে, তাই টুিঙ্গপাড়ায় নিয়ে তোমাকে দাফন করা হয়। খুবই অবহেলায় তোমাকে সমাধিস্থ করা হয়। খুনীদের ইতিহাস জ্ঞান নেই। তারা জানে না যে, মানুষের কীর্তিকে মুছে দেয়া যায় না। খুনীর পরিণতি কি হতে পারে তাও তারা অনুধাবন করেনি। বিদেশে পালিয়ে থেকেও তারা শান্তিতে নেই। নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যার চক্রান্তকারী মীর জাফরের যেখানে কবর, সেই জায়গাটাকে বলা হয় ‘নিমক হারামের দেউড়ি।’ পুরান ঢাকায় আগামসী লেনে খন্দকার মোশতাকের বাড়ির সামনে দিয়ে যাবার সময় মানুষ থুতু ফেলে। শুনেছি মৃত্যুর আগে মোশতাক নিজের মলমূত্র নিজে খেয়েছে। এটি প্রকৃতির শাস্তি। তুমি আজ স্বমহিমায় জেগে উঠেছ। যারা তোমাকে তখন বুঝতে পারেনি, এখন তারাও বন্দনা করে। দিন যত যাবে ততই এই সম্মান বৃদ্ধি পাবে। রাজনৈতিক রেষারেষিতে হয়ত কেউ কেউ এখনও তোমার মূল্যায়নে কার্পণ্য করে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তোমাতেই সবাই একাকার হয়ে যাবে। সবাই তখন একই সঙ্গে অনুভব করবে-‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই।’আপনি যেখানে আছেন সেখান থেকে হয়তো দেখছেন, আপনার সুযোগ্য কন্যা আপনার আদর্শকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশকে কোন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আপনার অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ করার জন্য, সোনার বাংলা গড়ে গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তিনি নিরলস কাজ করে চলেছেন। আপনি নিশ্চয়ই তাঁকে আশীর্বাদ করছেন। আপনি যেখানেই থাকুন, শান্তিতে থাকুন, বঙ্গবন্ধু।ইতি,মো.হাছিবুল বাসারশিক্ষার্থী,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।©Hasib_DU_2018-19
Remember me
Comments (1)