বঙ্গবন্ধুর কাছে খোলা চিঠি - ০৩ ◆ লেখক : বিপ্র দে ◆ ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ সামিট ২০২০ ইং

ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ সামিট -২০২০ ইং

নাম : বিপ্র দে
রেফারেন্সকৃত দলের নাম : বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা
ইমেইল ঠিকানা : deybipra22@gmail.com
মোবাইল নম্বর : 01863785318

বিষয় : বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা

শ্রদ্ধাস্পদেষু  পিতা,

আপনার পৃথিবীতে  আগমন যেন বাঙালিদের জন্য আশির্বাদ স্বরূপ । বাঙালিরা হয়ত কোন দিন স্বাধীনতার অর্জনই করতে পারত না আপনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব ছাড়া।  ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯  সালের বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ঘোষণা, গনঅভূ‍‍ৎথান ও  বাংলাদেশের নামকরণ, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষ মানুষের সামনে বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সংগ্রামের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক ভাষণ এবং ২৫ শে মার্চ গভীর রাতে বাংলাদেশকে  স্বাধীন দেশ হিসেবে  ঘোষণা করা  এসকল কাজের মধ্য দিয়ে আপনি বাংলাদেশকে পাকিস্তানিদের হাত থেকে বাংলাদেশের বিজয় ছিনিয়ে আনতে অভাবনীয় কাজ করেছেন। আপনি আপনার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই জেলে কাটিয়েছেন শুধুমাত্র বাঙালিরা যাতে স্বাধীনতা ও বিজয়ের স্বাদ পায়। আপনার এই নেতৃত্বের কারনেই দেশ ও বিদেশের সকল মানুষের কাছে আজীবন সমাদৃত  হয়েছেন । পাকিস্তানিরা শত চেষ্টা করেও আপনাকে আপনার নীতি ও আদর্শ থেকে বিণ্দুমাত্র নড়াতে পারে নি। আপনি বাঙালিদের শিখিয়েছেন কিভাবে আন্দোলন ও যুদ্ধের মাধ্যমে নিজের অধিকার আদায় করতে হয়।  আপনি আপনার জীবনে  এত কষ্ট করেছেন শুধুমাত্র বাঙালিদের ভালোবাসা পাওয়ার আশায়। বাংলাদেশ যাতে স্বনির্ভর জাতি হিসেবে মাথা উচুঁ করে বাচঁতে পারে তার জন্য আপনি আজীবন  কাজ করে গিয়েছেন।  আপনি সবসময় বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য কাজ করেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ আপনার এই অবিস্মরনীয় অবদানগুলো সারাজীবন মনে রাখছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে। আপনার জীবনের মূল লক্ষ্যই ছিল মানুষের সেবা করা। মানুষের দুঃখ - সুখ ভাগাভাগি করা  মাধ্যমে আপনি পরম আনন্দ লাভ করতেন। বাংলাদেশের নিম্নআয়ের মানুষেরা যাতে শান্তিমত জীবনযাপন করতে পারে এর জন‍্য আপনি কাজ করে গিয়েছেন। আপনি বাংলাদেশে কোথায়ও অন‍্যায়, অবিচার এবং শোষণ না হয় এরজন‍্য কাজ করেছেন । আপনি কখনই যেকোনো বিপদকে ভয় করেননি বরং তা মোকাবেলা করেছেন বীরের মত।

লক্ষ  মানুষের আত্মত‍্যাগের বিনিয়য়ে ও  মুক্তিযোদ্ধাদের ত‍্যাগের বিনিময়ে    ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ পশ্চিম পাকিস্তানীদের থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনে। বাংলাদেশের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে যদি লক্ষ্য স্থির থাকে তাহলে বাঙালিরা অসম্ভবকেও সম্ভব করতে জানে। এই বিজয়ের পর থেকে বাঙালিররা সবসময় একত্রে  অন্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে  বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে  যাচ্ছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট আপনাকে নির্মমভাবে হত‍্যা করার বিবরণ যখন বাবার মুখ থেকে শুনি  তখন আমি অঝোরে কান্না করেছিলাম । আমি তখন বাবাকে বললাম যদি আমি তখন জন্ম নিতাম জাতির পিতাকে  মরতে দিতাম না।  যে মানুষটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য এত কষ্ট করেছেন সেই মানুষকেই কিনা হত‍্যা করল   কিছু বেইমান নরপিশাচরা। এই সকল বিশ্বাসঘাতকদের শাস্তি হতেই হবে। এসকল মানুষের বাংলাদেশের মাটিতে বেচেঁ থাকার কোন অধিকার নেই।

জাতির পিতা আপনার অবদান ও আত্মত‍্যাগ আমি কখনোই বৃথা হতে দিব না। নিজের শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পযর্ন্ত বাংলাদেশের সম্মান বাচিঁয়ে রাখার চেষ্টা করে যাবো। আপনার মৃত্যুর কারণে বাংলাদেশের মানুষ দেশের উন্নয়নের  প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনার নেতৃত্বের অভাব অনুভব করছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার  ও বিজয়ের ৪৯  বছর পার হলেও আজও আপনার অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের অন্তরে।

ইতি
বিপ্রদে

#inspiringbangladesh
#inspiringmillon
#Bangladesh
#Storyofinspirations
#BijoyDibosh
#nationalvictoryday
#16thDecember
#49yearsofvictory

Posted in Personal Blogs on January 07 2021 at 03:17 AM

Comments (0)

No login
color_lens
gif