আগের স্থানীয় চাহিদা মেটানোর জন্য ভারত টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে বলে যে খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এসেছে, তাও নাকচ করেছেন ওই কর্মকর্তা।
বিশ্বে প্রতিবছর যত টিকা উৎপাদন হয়, তার ৬০ শতাংশের মত তৈরি হয় ভারতে। বাংলাদেশসহ অনেক দেশই ভারত থেকে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম চালান পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা মিলে করোনাভাইরাসের যে টিকা তৈরি করেছে, তার উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।
সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকার সঙ্গে ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকাও জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ভারতের ওষুধ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে।
এ মাসের মাঝামাঝি নাগাদ নাগরিকদের টিকা দেওয়া শুরু করা যাবে বলে ভারতীয় কর্মকর্তারা আশা করছেন।
জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই দেশে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ৩০ কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেই কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোকে টিকা দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি তাদের সরকার দিয়ে আসছিল, তা এখনও অটুট রয়েছে।
“আমাদের এখানে টিকা দেওয়া দেওয়া শুরু হলেই ১৫ দিনের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে। এর মধ্যে কিছু টিকা আমরা উপহার হিসেবে দেব। বাকি টিকা রপ্তানি করা হবে আমাদের সরকার যে দামে টিকা কিনবে, মোটামুটি সেই দামেই।
ভারতীয় ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বিবিসি লিখেছে, “বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে ভারত প্রতিবেশীদের পাশাপাশি পুরো বিশ্বের প্রতি যে প্রতিশ্রুতি, সে বিষয়ে পুরোপুরি সচেতন আছে।”
Comments (0)