#বুকরিভিউ
#InspiringBangladesh #inspiringmillion #Bangladesh #StoryOfInspirations #Bangladesh #BijoyDibosh #nationalvictoryday #victoryday #16thDecember #49YearsOfVictory
নামঃ খন্দকার নাঈমা আক্তার নুন
প্রতিষ্ঠান: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
ইমেইলঃ naymanoon5@gmail.com
বই : কারাগারের রোজনামচা
প্রচ্ছদ: তারিক সুজাত
বিষয় :ইতিহাস ও রাজনীতি
প্রকাশক :বাংলা একাডেমি
প্রকাশনার তারিখ :১৭মার্চ ২০১৭
পৃষ্ঠাসংখ্যা: ৩৩২
কারাগারের রোজনামচা বইটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। বইটির নামকরণ করে তার কন্যা শেখ রেহানা আর বইটির ভূমিকা লেখেন তার আরেক কন্যা শেখ হাসিনা। বইটি বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে ১৭ মার্চ, ২০১৭ সালে। বইটি বঙ্গবন্ধুর ৯৮ তম জন্ম জয়ন্তীতে প্রকাশিত হয়।কারাগারে রোজনামচা বইটি বাঙালি জাতির অধিকার ও সংগ্রামের পথ প্রদর্শক।বইটির নামকরণ থেকে বুঝা যায় বইটি হয়তো কারাগারের কোনো ঘটনা নিয়ে লিখিত হয়েছে। কারাগারের রোজনামচা বইটি বঙ্গবন্ধুর জেল জীবনের ঘটনাই বর্ণিত হয়েছে।রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাওয়ার অপরাধে বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালের ১১ ই মার্চ প্রথম জেলে যায়। এরপর থেকে জেলখানা যেনই বঙ্গবন্ধুর নিত্যসঙ্গী।তিনি এতো বেশি জেলে গিয়েছেন যে, জেলের কয়েদি, পাহারাদার, পাখি, বন্দী ছাগল, গাছ সবার কাছে বঙ্গবন্ধু যেন চেনামুখ।তার একটি উক্তির মাধ্যমে জেলের তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা যায় -"থালানাটি কম্বল, জেলখানার সম্বল।"বইটি পড়ে জানা যায় বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে পাঁচবার জেলে গিয়েছেন।বইটির একটি চরিত্র হচ্ছে লুদু।যার সাথে বঙ্গবন্ধুর পরিচয় হয় জেলখানায় বসে। ১৯৫০ সালে বঙ্গবন্ধুর সাথে লুদুর প্রথম পরিচয়। এরপর ১৯৫৪,১৯৫৮ আবার ১৯৬০ সালেও জেলে এসে বঙ্গবন্ধু লুদুকে পায়। লুদু কেন পকেটমার বা চুরিকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন? এই ঘটনাও ফুটে ওঠে কারাগারের রোজনামচা বইটিতে।বইটিতে তিনি মাওলানা আব্দুর হামিদ খান ভাষাণীর কথা বলেছেন। ভাষাণীর প্রতি একটু ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ, ভাষাণী সাহেব পশ্চিম পাকিস্তানে গিয়ে এক কথা বলে আবার পূর্ব বাংলায় আরেক কথা যা বঙ্গবন্ধুর পছন্দ নয়।বঙ্গবন্ধু যে নিজে কারো কাছে কোনোদিন আপোস করেন নি, তিনি নিজেও চান না অন্য কেউ এমন করুক।তার এই জেদ,সংগ্রাম আত্মসম্মান আমাদের অনুপ্রেরণা। তিনি তার জীবনে বিনাকারণে জেল খেটেছেন। জীবনে অর্ধেকটা সময় বঙ্গবন্ধুর জেলে থাকতে হয়েছে।
তার পরিবারের লোকেরা কখনো কাছে পায় নি। ১৮ মাসের অবুঝ শিশু ভেবে নিয়েছিল হয়তো জেলই তার আব্বার ঠিকানা।
মূলত বইটিতে জেলজীবন, কয়েদিদের কথা, তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি, শাসক গোষ্ঠীর নির্মম অত্যাচার, আওয়ামী লীগের নেতাদের দু:খ, কষ্ট, ত্যাগ, সেইসাথে ষড়যন্ত্র, মানবপ্রেম ইত্যাদি বিষয়গুলো চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে।বইটি পড়লে বঙ্গবন্ধুর বাঙালি জাতির জন্য যে ত্যাগ, সংগ্রাম করেছে তা জানা যাবে।বলিষ্ঠ নেতার আদর্শ জানা যাবে। কারাগারের রোজনামচা বইটি বাঙালির মাটি ও মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালবাসার এক প্রমাণ্য দলিল।
★★★
পছন্দের উক্তি :
১. রাজনীতি করতে গেলে নীতি থাকতে হয়। সত্য কথা বলার সাহস থাকতে হয়। বুকে আর মুখে আলাদা না হওয়া উচিত।
২. মানুষকে জেলে নিতে পারে কিন্তু নীতিকে জেলে নিতে পারে না।
Comments (0)