Rahi Khondker is going to share the vital educations and knowledge you must have. Most educators never teach you this. And almost 100% of our current education systems hardly ever include them in the syllabus and talk about them.
... moreBOLD Presents DREAM CAREERS organized by BRAIN TALKS.
EPISODE-01 “THE INVALUABLE EDUCATION YOU MUST-HAVE FOR A DREAM CAREER”
As part of a series of six webinars for youth on the board theme of DREEM CAREERS
Rahi Khondker is going to share the vital educations and knowledge you must have. Most educators never teach you this. And almost 100% of our current education systems hardly ever include them in the syllabus and talk about them.
Yet these are the life-changing education you must have to create and enjoy a Dream Career.
Rahi will show you his education framework that has not only helped him to create a dream career for himself but also with this he helped so many others to find and prosper in their professional dream journey.
In the short event, Rahi will focus on four areas of education that one must acquire. He will priorities the main two areas that create the difference between people who just do their job and the other very small group of people who creates a beautiful, fulfilling career for themselves and help the masses.
Please join us on 23rd June to start and expedite your joinery for an awesome Dream Career.
DREAM CAREERS EPISODE-1
“THE INVALUABLE EDUCATION YOU MUST-HAVE FOR A DREAM CAREER”
Registration Link: https://forms.office.com/r/s9rPqhgHj4
Date: 23 June 2021, Time: 7:30 PM to 9:00 PM
Media: ZOOM and Facebook LIVE
------------------------------------------------------------------------
Chief Patron
Quazi M. Ahmed
Founder & President, BOLD
Lead Consultant and CEO, FutureLeaders https://www.linkedin.com/in/quaziahmed/
------------------------------------------------------------------------
Keynote Speaker
Rahi Khondker
CEO & Founder
7W Consulting Pty Ltd, Melbourne, Australia
Get Stuff Done Coaching, Melbourne Australia https://www.linkedin.com/in/rahi-khondker-5b84aa15a
------------------------------------------------------------------------
Special Guest
Imran Fahad
Founder & CEO, Inspiring Bangladesh Ltd. https://www.linkedin.com/in/imranfahad/
------------------------------------------------------------------------
Moderator
S A S Mithil
Founder of লাল পোস্টার- Lal Poster
------------------------------------------------------------------------
#Presented_By: BOLD (Bangladesh Organization for Learning & Development) #Organized_By: Brain Talks
Strategic Partner: FutureLeaders™
Partners (in alphabetical order):
CNI
Digital Branding
GTV
JNUCC
Radio Dhoni
Lal Poster
মানুষ যদি একঘেঁয়ে জীবন যাপনে অভ্যস্থ হতো তবে পৃথিবীর রূপ অন্যরকম হতো হয়তো। কিন্তু মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। নতুন কিছু সৃষ্টি করে করে চলায় তার ধর্ম। বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে একটাই স্বপ্ন দেখে “জীবনে কিছু করতে/হতে হবে”। এই কিছু হওয়ার পিছনে অনেক কিছু করতে হয়। কিছু বিষয় এমন থাকে যা থেকে কখনো শিক্ষা দেয় , কখনো প্রেষণা যোগায়। জীবনে এই “কিছু” করার জন্য নিজের ইচ্ছাশক্তির পর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যেটা... more#emotional_intelligence#emotional#inspiration#quotes_bangla_____"অনুপ্রেরণার ৫ ছোট্ট গল্প"
মানুষ যদি একঘেঁয়ে জীবন যাপনে অভ্যস্থ হতো তবে পৃথিবীর রূপ অন্যরকম হতো হয়তো। কিন্তু মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। নতুন কিছু সৃষ্টি করে করে চলায় তার ধর্ম। বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে একটাই স্বপ্ন দেখে “জীবনে কিছু করতে/হতে হবে”। এই কিছু হওয়ার পিছনে অনেক কিছু করতে হয়। কিছু বিষয় এমন থাকে যা থেকে কখনো শিক্ষা দেয় , কখনো প্রেষণা যোগায়। জীবনে এই “কিছু” করার জন্য নিজের ইচ্ছাশক্তির পর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যেটা তা হল “অনুপ্রেরণা”। এই অনুপ্রেরণা যেমন কোন মানুষ দিতে পারে, আবার কয়েকটি শব্দগুচ্ছ কিংবা একটি বাক্য অথবা একটি ছোট গল্প থেকেও পাওয়া যেতে পারে।
দিন যত যাচ্ছে জীপন যাপনের ধরণও পালটে যাচ্ছে পাল্লা দিয়ে। বদলে যাচ্ছে জীবনে কিছু অর্জনের নকশা। তাই কখনো কখনো হতাশা ভর করে বসে কাঁধে যেন আর নামতে চায় না। এই সময় যদি সাহস দেয়ার মত কিংবা অনুপ্রেরণা দেয়ার মত বা অনুপ্রেরণার গল্প শুনানোর মত একটা হাত অন্য কাঁধে পাওয়া যায়। তখন ‘হতাশা” নামক অশুভ শক্তি একটি স্বপ্নকে শেষ করতে না পারায় হতাশ হয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। আর সেই সাথে স্বপ্নটিও উড়বে বলে ডানা ঝাপটিয়ে হয়ে যায় ভারমুক্ত।
০১। প্রত্যেকের জীবনে একটি গল্প থাকে
২৪ বছর বয়সী এক ছেলে ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে দেখছিল আর চিৎকার করে বলছিল
“বাবা, দেখো গাছগুলো সব পিছনের দিকে চলে যাচ্ছে”
বাবা হাসছিল এবং পাশের সিটা বসা এক জুটি ছেলেটির এমন বাচ্চা সুলভ আচরণ সহানুভুতি নিয়ে দেখছিল। হঠাৎ করে ছেলেটি আবারও চেঁচিয়ে উঠল-
“বাবা, দেখো মেঘগুলো আমাদের সাথে দৌড়াচ্ছে”
জুটিটি আর নিরব থাকতে পারল না, বৃদ্ধ বাবাকে বলে ফেলল-
“আপনি আপনার ছেলেকে কেন কোন ডাক্তারকে দেখাচ্ছেন না”
উত্তরে হেসে বাবা বলল-
‘আমি দেখিয়েছি, আমরা হাসপাতাল থেকেই আসছি, আমার ছেলে জন্ম অন্ধ, আজকেই সে তার চোখের আলো ফিরে পেল, আজকেই সব কিছু দেখতে পারছে।
(পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের একটি গল্প থাকে। কাউকে ভালোভাবে না জেনে তার সম্পর্কে কিছু বিচার করে ফেলা ঠিক না। সত্যিটা আপনাকে চমকে দিতে পারে।)
০২। ঝেড়ে ফেলা
এক লোকের খুব প্রিয় গাধাটি একদিন একটি গভীর খাড়া পাহাড়ে খাদে পড়ে যায়। লোকটি গাধাটিকে টেনে তোলার আপ্রান চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেন গাধাকে জীবন্ত সমাহিত করার।
তিনি গাধার উপর মাটি ঢালতে থাকেন। অপরদিকে ভার কমাতে গাধাটি গায়ে পড়া মাটি ঝেড়ে ফেলে দিতে থাকে। আর তার উপর দাড়াতে থাকে।
আরো মাটি পড়তে থাকে , সে ঝাড়তে থাকে ।
এভাবে মাটি ঝেড়ে ফেলতে ফেলতে আর তার উপর দাড়াতে গিয়ে দুপুর নাগাদ সে অনেকখানি
উপরে ঊঠে আসে।
(সমস্যাকে ঝেড়ে ফেলে, তার থেকে শিক্ষা নিয়ে চলতে থাকলে সুদিন আসবেই।)
০৩। হাতির দড়ি
এক লোক হাতির পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিল, হটাৎ থেমে গেলন। একটি বিষয় মনে দ্বিধা তৈরী করায় তিনি থমকে যান। তিনি দেখলেন এতো বড় প্রাণী গুলো শুধুমাত্র সামনের পায়ে ছোট্ট একটি দড়ি দ্বারা বাঁধা হচ্ছিল। কোন চেইন বা কোন খাঁচা নয়। এই দড়ি এতো বড় প্রাণীর পক্ষে ছেড়া খুব মামুলি ব্যাপার। যেকোন সময় চাইলে এটি ছিড়ে তারা মুক্তভাবে চলে যেতে পারে কিন্তু বিশেষ কোন কারণে তারা তা করে না। কারণটাই তাকে ভাবাচ্ছিল।
কাছেই তিনি একজন প্রশিক্ষককে পেলেন এবং জানতে চাইলেন কেন এই প্রাণী গুলো এভাবে দাঁড়িয়ে থাকছে, দূরে পালিয়ে যাবার কোন চেষ্টা কেন করছে না। তখন প্রশিক্ষক উত্তরে বললেন-যখন তারা খুব ছোট ছিল, তখনও তাদেরকে এই সাইজের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হতো, যা বেঁধে রাখার জন্য তাদের ঐ সময়ের সাইজের জন্য যথেষ্ট ছিল। বড় হতে হতে তারা ধারনা করতে থাকে এই দড়ি তাদের নিয়ন্ত্রন করছে, এটি থেকে বেরিয়ে যাওয়া যাবে না। এক সময় এটি বিশ্বাসে পরিণত হয়, যেমন এখন, তাদের সাইজ দড়ির চেয়ে বহুগুন বড় হলে বিশ্বাস যে এই দড়ি এখনো তাদের ধারণ করতে পারে। তাই তারা তা ছিড়ে বাইরে যাবার কোন প্রচেষ্টা কোন দিন করে না।
লোকটি খুব অবাক হয়েছিল। এই প্রাণীগুলো চাইলেই তাদের বন্ধন থেকে বাইরে আসতে পারে কিন্তু শুধুমাত্র “তারা পারবে না ” এই বিশ্বাসের কারণে তারা সেখানেই আটকে থাকে ,যেখানে তাদের আটকে রাখা হয়।
হাতির মত , আমাদের অনেকেই বিশ্বাস করে বসে আছেন যে জীবনে কিছু করতে পারবেন না। শুধুমাত্র, জীবনে কোন এক সময় ব্যর্থ হয়েছিলেন এই কারণে।
(ব্যর্থতা হল শিখার একটি অংশ, জীবন সংগ্রামে কখনো হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত না।)
০৪। আলু, ডিম, কফি
একদিন মেয়ে তার বাবাকে নিজের জীবন নিয়ে হতাশার অভিযোগ করছিল। বলছিল সে আর পারছে না, সে জানে না কিভাবে কি করতে হবে ,লড়তে লড়তে সে আজ ক্লান্ত। এই যেন একটি সমস্যা শেষ হলে আরেকটি হাজির হওয়া।
মেয়েটির বাবা পেশায় একজন রন্ধনশিল্পী। মেয়ের হতাশার কথা শুনে তিনি মেয়েকে রান্না ঘরে ডেকে আনলেন। তারপর তিনটি পাত্রে পানি ভর্তি করে তা আগুনের উপর বসিয়ে দিলেন। যখন পাত্র তিনটিতে বলক আসল, তখন তিনি একটিতে আলু, একটিতে ডিম আর অন্য একটিতে কফি ঢেলে দিলেন। এভাবে আরো কিছুক্ষন সিদ্ধ হতে থাকল, মেয়ের সাথে কোন কথা বললেন না। অপর দিকে মেয়ে অধৈর্য্য হয়ে দেখে যাচ্ছিল বাবা কি করছিল।
বিশ মিনিট পর তিনি চুলা বন্ধ করে একে একে প্রথমে আলু উঠিয়ে নিয়ে একটি বাটিতে রাখলেন, ডিম রাখলেন আর কফি একটি কাপে ঢাললেন। তারপর মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন” তুমি এখন কি দেখছো”
মেয়ে উত্তর দিল ” আলু , ডিম আর কফি”
বাবা বললেন ভালো করে দেখো এবং ধরে দেখো।
মেয়ে বাবার কথা মত ধরে দেখলো আলু নরম হয়ে গেছে, ডিমের খোসা খুলে দেখা গেল সিদ্ধ হয়ে শক্ত হয়ে গেছে। অন্যদিকে কফির কাপ থেকে বের হয়ে আসা ঘ্রাণে তার মুখ হাসোউজ্জল হয়ে যায়।
‘এসবের অর্থ কি বাবা”মেয়ে জানতে চাইল।
বাবা ব্যাখ্যা করলেন-
আলু, ডিম, কফি বিন যদিও একই তাপমাত্রার ফুটন্ত পানিতে অর্থাৎ একই দৈব পরিবেশের সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু নিজের মত করে অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখায়। শক্ত আলু নরম হয়ে যায়। পাতলা আবরণে সুরক্ষিত নরম ডিম শক্ত হয়ে যায়। আর কফিবিনগুলো ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম। ফুটন্ত পানিতে এরা নিজেদের মেলে ধরে পানিটাকেই পরিবর্তন করে ফেলে। নতুন এক জিনিস সৃষ্টি করে।
” তুমি কোনটা?” মেয়ের কাছে বাবা জানতে চাইলেন। প্রতিকুল পরিবেশ যখন তোমার দুয়ারে কড়া নাড়বে তখন তুমি কিসের মত প্রতিক্রিয়া দেখাবে?।
০৫। এক গ্লাস পানির ওজন কত
একজন মনোবিজ্ঞানী স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট পড়ানোর সময় রুমে চারপাশে হাঁটতে হাঁটতে এক সময় শ্রাতাদের সামনে এক গ্লাস পানি উপর করে তুলে ধরলেন। তখন সবাই ভেবে ছিল হয়তো তিনি গ্লাস অর্ধেক খালি না অর্ধেক ভর্তি এই প্রশ্নটি করবেন। কিন্তু তিনি তা করলেন না। তিনি হাসিমুখে প্রশ্ন করলেন ” এই এক গ্লাস পানি কত ভারী”। উত্তর আসল আট আউন্স থেকে বিশ আউন্সের ভেতর।
তিনি বললেন এর আসল ওজন এখানে কোন ব্যাপার না। ব্যাপার হলো আমরা এটাকে কতক্ষন ধরে রাখছি। ওজনটাও তার উপর নির্ভর করছে।
যদি আমি এটাকে এক মিনিটের জন্য ধরে রাখি, তবে কোন সমস্যা হবে না। যদি এটাকে এক ঘন্টা ধরে রাখি তবে আমার হাতে ব্যাথা অনুভূত হবে। আর যদি একদিনের জন্য এভাবে ধরে থাকি তবে আমি অসাড় এবং পক্ষঘাতগ্রস্থ বোধ করব। প্রতিটা ক্ষেত্রে এর আসল ওজনে কোন পরিবর্তন হয় না। কিন্তু ধরে রাখার সময় বাড়ার সাথে সাথে এটি ভারী থেকে ভারী লাগতে শুরু করে।
তিনি আরো বিশদে গিয়ে বলেন আমাদের জীবনের চাপ এবং উদ্বেগগুলো এই গ্লাসের পানির মত। যা নিয়ে কিছুক্ষন ভাবলে তেমন কোন কিছু হবে না। কিন্তু এই চাপ আর উদ্বেগ যদি আমরা সারাদিনের জন্য ধরে রাখি, মনে রাখি ।তবে তা আমাদের কোন কিছু করার সামর্থ্যটা কেড়ে নিতে পারে। তাই চাপ কখনো সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানতে যাবেন না। এটাকে সব সময় ছেড়ে দিতে হবে। অর্থাৎ গ্লাস নামিয়ে রাখতে হবে মনে করে।
বাবার দেয়া টাকাগুলো রাগ করে বাবার দিকেই ছুড়ে মেরেছি।ইদের কেনাকাটার জন্য মাত্র চার হাজার টাকা দিয়েছে।
.
আমার পরিবারটা মধ্যবিত্ত।একেবারে পিওর মধ্যবিত্ত যাকে বলে।সব সময় হিসেব করে চলতে হবে।একটুও বাড়তি খরচ করলে মাসের শেষে না খেয়ে থাকতে হবে!
বাবা একটা চাকরী করে, বেতন পায় ১৫ হাজার।আজকালকার যুগে পনেরো হাজার টাকায় তো এক সপ্তাহও চলা কঠিন।অথচ আমাদের চলতে হয় সারা মাস।
.
মা মূলত বাড়ির কাজই করে।তবে মায়ে... more#Motivational_Stories#emotional#inspiration#quotes_bangla#অনুপ্রেরণার_গল্প #Inspirational_Stories
বাবার দেয়া টাকাগুলো রাগ করে বাবার দিকেই ছুড়ে মেরেছি।ইদের কেনাকাটার জন্য মাত্র চার হাজার টাকা দিয়েছে।
.
আমার পরিবারটা মধ্যবিত্ত।একেবারে পিওর মধ্যবিত্ত যাকে বলে।সব সময় হিসেব করে চলতে হবে।একটুও বাড়তি খরচ করলে মাসের শেষে না খেয়ে থাকতে হবে!
বাবা একটা চাকরী করে, বেতন পায় ১৫ হাজার।আজকালকার যুগে পনেরো হাজার টাকায় তো এক সপ্তাহও চলা কঠিন।অথচ আমাদের চলতে হয় সারা মাস।
.
মা মূলত বাড়ির কাজই করে।তবে মায়ের কন্ঠটা খুব সুন্দর।ইসলামিক সংগীত প্রতিযোগিতায় ক'বার পুরষ্কারও জিতেছে!
তা যাই হোক,আমি আমার জীবনটাকে কখনোই ভালোবাসি না।কারন এই হিসেব করে চলা জীবন আমার কখনই পছন্দ না।ইদের সময় ভেবেছিলাম একটা দামী জুতো কিনবো।অথচ বাবা দিয়েছে মাত্র ৪ হাজার।এতে তো শুধু জুতোটাই হবে,জামা প্যান্ট কিনবো কি দিয়ে।
.
বাবা পরে আরো ৫০০ টাকা বাড়িয়ে পুরো টাকাটা আমার টেবিলের উপর রেখে যায়।আমি টাকাগুলো নিয়ে কতগুলো কথা শুনিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যাই!
প্রচন্ড রাগ হচ্ছে! ফ্রেন্ড সার্কেলে কিভাবে মুখ দেখাবো ভেবে পাচ্ছি না।ওদের বলেছিলাম দামী জুতোটা কিনবো,তা হলো না।
পাড়ার দোকানটায় গিয়ে একটা গোল্ডলিফ ধরাই! কিছু ভালো লাগছে না।দু'টান দিয়ে সেটাও ছুড়ে ফেলি।
.
রিক্সা ডাক দিয়ে বাজারের দিকে যেতে বলি! ওখানে একটা ফ্রেন্ডের দোকান আছে।শুধু শার্ট বিক্রি করে!দেখি ওর কাছে ভালো কোনো শার্ট আছে কি না!
যেতে যেতে রিক্সাটা জ্যামে আটকে যায়।এমনিতেই মেজাজ খারাপ তার উপর পচন্ড গরম।
তারমধ্যে দেখি ৮ বছরের মতো হবে এমন একটা মেয়ে আমার হাত ধরে টানছে! হাতে কতগুলো গোলাপ!
.
-ভাইয়া,ভাইয়া একটা ফুল নিবেন? মাত্র ১০ টাকা!
-না...রে!
-নেন না ভাইয়া! একটা গোলাপই তো।নেন,খুব ভালো ঘ্রাণ!
-আহা! লাগবে না তো।যাচ্ছি মার্কেট,তোর গোলাপ নিয়ে কি করবো?
-ভাইয়া,একটা জামা কিনবো ইদের জন্য! নেন না ভাইয়া!
বেশ মায়া লাগলো।তারপর ২টা গোলাপ ২০ টাকা দিয়ে নিয়ে, রিক্সাওয়ালা মামাকে বললাম তাড়াতাড়ি চালাতে!গরমে মেজাজটা আরো গরম হয়ে যাচ্ছে!
.
দোকানে গিয়ে দেখি,ফ্রেন্ড নেই।ওয়েট করতে হবে! বসে পড়লাম,ফোনটা বের করে ফেসবুকে ঠুকলাম।দেখি আমার অন্য ফ্রেন্ডরা বড় বড় শপিং মলের চেক-ইন দিচ্ছে! এগুলো দেখে মেজাজটা আরো গরম হয়ে গেলো!
ফোনটা পকেটে রেখে চুপচাপ বসে আছি।একটু পর ফ্রেন্ড আসে!
ওর কাছে শার্ট দেখতে চাইলাম! নতুন কিছু শার্ট এসেছে।সেগুলো দেখছিলাম!
.
হঠাৎ ঘাড়টা ঘোরাতে গিয়ে দেখি সেই মেয়েটা দোকানের বাইরে দাড়িয়ে আছে!
গ্লাসের বাইরে থেকে ভিতরে ঝুলিয়ে রাখা শার্টগুলো দেখছে।কিন্তু আমি অবাক হচ্ছিলাম এটা ভেবে যে,মেয়েটা এই দোকানে কি করছে।এখানে তো শুধু ছেলেদের শার্ট!
.
হয়তো ভুলে চলে এসেছে,বুঝতে পারেনি।আমি আবার শার্ট দেখতে শুরু করি।একটু পর দেখি দোকানের এক কর্মচারী ওকে রাগ করছে!
আমি শার্টগুলো রেখে বাইরে বের হই।দেখি মেয়েটাকে খুব করে রাগারাগি করছে!
-এই ছেমরি,প্রত্যেকদিন তুই এই জায়গা আইসা দাড়ায় থাকো ক্যান? যেদিন টাকা নিয়ে আসতে পারবি সেদিন আসবি!
-কিন্তু, ততদিনে যদি ওই জামাটা বিক্রি হয়ে যায়? আমার তো ওটাই পছন্দ হইছে!
-হলে হইবো,এখন যা ভাগ।তোরে যেনো আর না দেখি এখানে!
.
কর্মচারীর কথায় কষ্ট পেয়ে মেয়েটা চলে যাচ্ছিলো।আমি ডাক দিয়ে জানতে চাইলাম,
-তুমি না বললে জামা কিনবে,এখানে তো সব শার্ট।শার্ট দিয়ে তুমি কি করবে?
-আমি একটা শার্টই কিনবো।ওই যে দেখতেছেননা ঝুলানো আছে,ওই শার্টটা কিনবো।
-কার জন্য?
-আমার বাবার জন্য!
-বাবার জন্য? তুমি এতটুকু একটা মেয়ে, বাবার জন্য শার্ট কিনবে?
-আসলে ৬ মাস আগে আব্বা রিক্সা চালাতে গিয়ে ট্রাকের সাথে এক্সিডেন্ট করে পায়ে আঘাত পায়! কাজে যাইতে পারে না।মা মানুষের বাসায় কাজ করে সংসার চালায়!
প্রতিবছর আব্বা আমার জন্য নতুন জামা কিনে আনতো।কত খাবার কিনে আনতো।কিন্তু এবার আব্বা ঘর থেকেই বের হতে পারে নাই।তাই ভাবছি এবার আমি ফুল বেঁচে বেঁচে আব্বারে এই শার্টটা কিনে দিবো।আব্বার হাসিমুখ দেখলে আমারও খুব ভালো লাগে!
.
মেয়েটার কথাগুলো শুনে আমার চোখের কি হলো জানি না,শুধু ভিজেই যাচ্ছে।এতটা কান্না বোধহয় আমার আগে কখনো আসেনি।কি বলবো বা করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না।স্তম্ভিত হয়ে বসে আছি! মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরলাম।এত ছোট বাচ্চা একটা মেয়ে এত কিছু বোঝে অথচ আমি এত বড় হয়েও ইচ্ছামতো টাকা না দেবার জন্য বাবার মুখের উপর টাকা গুলো ছুড়ে মেরেছি!
খুব অমানুষ মনে হচ্ছে নিজেকে।নিজের জন্য,নিজের স্টাটাস বজায় রাখার জন্য দামী দামী জিনিস কিনেছি সব সময়।অথচ কখনো ভেবেই দেখিনি একটা মানুষ ১৫ বছর ধরে একই পাঞ্জাবী পরে ইদ কাটিয়ে দিচ্ছে!
ইদের আগের দিন মা ধুয়ে দিতো বাবা সেটা আয়রন করে পরতো!
ইদ উপলক্ষে বাবা-মাকে কখনো কিছু কিনতে দেখিনি।সব সময় আমাকেই কিনে দিতো।
.
এসব ভাবতে ভাবতে আরো বেশি কান্না আসছিলো!
চোখ মুছে মেয়েটাকে দোকানের ভিতর নিয়ে গেলাম।ফ্রেন্ডকে বললাম,শার্টটা দিতে।তারপর ওকে নিয়ে পাশের মার্কেটে গিয়ে ওর জন্য একটা জামা আর ওর মায়ের জন্য একটা শাড়ি কিনলাম।তারপর আমার বাবার জন্য একটা পাঞ্জাবী আর মায়ের জন্য একটা শাড়ী!
এগুলো নিয়ে হোটেল থেকে কিছু খাবার কিনে ওর বাড়ির দিকে যাই! যেমনটা ভেবেছিলাম,ছোট্ট একটা ঘর,বাবা শুয়ে আছে! ইফতারীর বেশী বাকী নেই।একটু পর ওর মা'ও আসে।তাদেরকে পুরো ঘটনাটা বলি।তারা তো তাদের মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেই যাচ্ছিলো।
আমি বিদায় নিয়ে চলে আসি,আসার সময় ইদের দিন মিতুকে আমাদের বাসায় আসার জন্য বলি! (মিতু মানে ওই মেয়েটা)
.
বাসায় ফিরে দেখি বাবা-মা বসে আছে ইফতারী নিয়ে।মা এগিয়ে এসে বলছে,
-বাবা,কেনাকাটা করেছো?
একটু পর বাবা একটা প্যাকেট নিয়ে আসে।আমাকে দিয়ে বলে "খুলে দেখ!"
খুলে দেখি,সেই জুতোটা।যেটা আমি কিনতে চেয়েছিলাম।কিন্তু এত টাকা বাবা কোথায় পেলো।মাকে জিজ্ঞেস করলাম,মা কিছু বলতে চাচ্ছে না।বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম,বাবা বললো "তোর মায়ের যে কানের দুলটা ছিলো না? যেটা তোর দাদী তোর মাকে দিয়েছিলো,ওটা তোর মা বিক্রি করে দিয়েছে তোর জুতো কেনার জন্য"!
.
কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না।মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিয়েছি।তারপর বাবার পা ধরে সকালের ব্যাপারটার জন্য ক্ষমা চাই।তারপর আমার ব্যাগ থেকে তাদের জন্য কেনা পাঞ্জাবী আর শাড়ীটা দেই।
তারা তো মহাখুশি! সাথে প্রচন্ড অবাক।এবার খুশিতে তারা আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিয়েছে!
.
আজ মিতু আমাকে শিখিয়ে দিয়েছে সুখে থাকার জন্য অনেক বেশী টাকার প্রয়োজন হয় না।যেটা আছে,যেভাবে আছে সেটাকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেই সুখে থাকা যায়! এবং প্রত্যাশা যতো কম হবে,না পাওয়ার বেদনাও তত কম হবে।
একটু স্যাক্রিফাইজ করে সুখটাকে শেয়ার করলে দেখা যাবে আমরা সবাই সুখী....||
So this is our platform Inspiring Bangladesh the first Bangladeshi social platform . But have you ever thought why we need inspiration in our life?
Inspiration is a necessity in life to make ...