অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনীতি চাঙ্গা করা প্রয়োজন

 
 
 
আবু আহমেদ 
৩০ নভেম্বর, ২০২০ 
যুগান্তর 
 
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দেশীয় পণ্যের বৈদেশিক চাহিদা কমে গেছে। শুধু বাংলাদেশেরই নয়, বিশ্বের অন্য দেশেও তাদের পণ্যের চাহিদা বিশ্ব বাজারে কমে গেছে। যার ফলে গ্লোবাল ট্রেড গত বছরের তুলনায় শতকরা ১০ ভাগেরও অধিক পড়ে গেছে। এর একটা নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়েছে। যেহেতু গত ৫-৭ বছর ধরে বাংলাদেশ রফতানিনির্ভর অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে, সেহেতু এ নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের জন্য একটি চিন্তার বিষয়। গত জুলাই-আগস্টের দিকে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রফতানিতে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল, কোভিড-১৯-এর পুনঃপ্রভাবে সেটি নিষ্প্রভ হয়ে গেছে। কেননা অনেক অর্ডার বাতিল হয়ে যাচ্ছে। সামনে ক্রিসমাস, এ ক্রিসমাসে পণ্যের একটি বিশাল চাহিদা থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যারা আমাদের ক্রেতা তাদের ওখানে কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে পণ্যের এ চাহিদাও কমে গেছে। কেননা অনেক দেশই কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আবার লকডাউন দিচ্ছে বা অন্যভাবে মোকাবেলা করছে। ফলে বিশ্বের অনেক দেশেরই বাজার হাট এবং বড় শপিংমলগুলো পুনরুদ্যমে খুলতে পারছে না। ফলে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আয়-রোজগার কমে গেছে, বেকার সামস্যা বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা মোকাবেলার জন্য যারা কর্মহীন হয়ে গেছে তাদের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সাবসিডাইস এসিসটেন্স চালু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রও এ ব্যাপারে একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। তারপরও আমি বলব, বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের অর্থনীতির তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে গার্মেন্ট শিল্প ২৫-৩০ পার্সেন্ট ডাউন অবস্থায় আছে। কিন্তু তারপরেও কিছু কিছু অর্ডার আসছে। গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিগুলো যদি শতকরা ৮০ ভাগ অপারেশনে থাকে সেটিও আমাদের জন্য বড় অর্জন। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এভাবে পুরোপুরি ফরেন ডিপেন্ডেন্ট রেখে অর্থনীতির চাঙ্গাভাব আশা করতে পারি না। কেননা আমরা কোথাও কোনো ফ্রি ট্রেড জোনের সদস্য হতে পারিনি। কোনো দেশের সঙ্গে বাইলেটারাল ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট সাইন করতে পারিনি- যেখানে রফতানি ট্যাক্স রেট একেবারে কমে যাবে। আমরা যেটি পেরেছি সেটি হল ডব্লিওটিও-এর অধীনে আন্ডার ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রির জন্য একটি ছাড়। এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছি। তবে চীন বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে ৭৫-৭৯ পার্সেন্ট শুল্কমুক্ত করেছে। অন্যান্য দেশও শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। এটি খুবই আশাব্যঞ্জক। তবে সেটি বাইলেটারাল এগ্রিমেন্ট নয়। আমরা কোনো দেশের সঙ্গেই বাইলেটারাল ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করতে পারিনি। এটি অবশ্যই আমাদের ব্যর্থতা। এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, আলাপ-আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়ার মতো দেশ আসিয়ানার সদস্য। আসিয়ানার সঙ্গে চায়নার স্পেশাল এগ্রিমেন্ট ছিল। চায়না, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড আসিয়ানার অন্তর্ভুক্ত। আসিয়ানার নিজস্ব সদস্য ১৩টি দেশ ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সবচেয়ে বড় ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করেছে। দুর্ভাগ্যবশত এদের মধ্যে আমাদের বাংলাদেশ নেই। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ আসিয়ানার এসোসিয়েট মেম্বারও হতে পারেনি। চেষ্টাও করেনি। অথচ আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত আসিয়ানার মেম্বার হয়েছিল, যদিও পরে ভারত সেটি প্রত্যাহার করে নেয়। আমরা কখনও বলছি শ্রীলংকার সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করতে যাচ্ছি, কখনও বলছি ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে, কখনও পাকিস্তানের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করতে যাচ্ছি ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এর একটিতেও আমরা ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট সাইন করতে পারি নাই। বাংলাদেশের অর্থনীতির সাইজ অনুযায়ী অর্থাৎ ৩৫০ বিলিয়ন ডলার ইকোনমির দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমরা ফ্রি ট্রেড করতে পারছি না। এটি খুবই হতাশার। তবে ডব্লিওটিও-এর অধীনে আমরা জিএসপি সুবিধা পেয়েছি, আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নে শূন্য শুল্কে পণ্য রফতানির সুবিধা পেয়েছি। এটি হতাশার মাঝে আশার আলো। তবে এগুলোর মধ্যেই আমরা সীমাবদ্ধ আছি। এই বলয় থেকে বের হতে পারিনি। অল্পতে তুষ্ট থেকেই বাংলাদেশ তার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। গতিকে শানিত করতে পারেনি।
 
রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তান ও ভারতের দ্বন্দ্বের কারণে আমাদের সাপটা চুক্তি কাজ করছে না। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে কোভিড-১৯ মহামারী। ফলে গ্লোবালি ট্রেড শ্লো ডাউন হয়ে গেছে, যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়ছে। তাই আমাদের অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব আনতে হলে বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখেই এগোতে হবে। চীন আমাদের যে সুযোগটি দিয়েছে সেটি কাজে লাগাতে হবে। সেটি কাজে লাগাতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ বিনিয়োগ গ্রহণের ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। আমরা বার্ষিক মাত্র ৩-৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক বিনিয়োগ পাই। কিন্তু গত ছয় মাসের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের এ মাত্রাকে অতিক্রম করে প্রচুর বৈদেশিক বিনিয়োগ অর্জন করেছে। তাহলে আমরা কেন পারছি না। স্থানীয় বিনিয়োগও খুব একটা হচ্ছে না। কারণ ব্যাংকে প্রচুর পরিমাণে অলস টাকা পড়ে আছে, বিনিয়োগ হচ্ছে না? আমাদের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিগুলো ফুল ক্যাপাসিটি নিয়ে কাজ করছে না। এসব কিছু মিলিয়ে বিশ্বে আমরা মধ্যম থেকে একটু উপরে অবস্থান করছি। এ অবস্থানকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে হবে। তার জন্য অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখা উচিত।
 
সামনে কয়েক মাসের মধ্যে আমাদের অর্থনীতিতে একটি চাঙ্গাভাব আনার উপায় নিয়ে ভাবতে হবে। চাঙ্গাভাব আনতে হলে আমাদের বন্ধ থাকা অনেক প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া উচিত। অবশ্য বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই খুলে দেয়া হয়েছে, কিন্তু স্বাস্থ্যবিধির কারণে সেগুলো এগোচ্ছে না। যেমন আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আমরা খুলতে পারিনি। এগুলোও আমাদের অর্থনীতিতে একটা চাহিদা সৃষ্টি করে। যেমন স্কুলের শিক্ষকরা বেতন পেলে তাদের মাঝে একটি চাহিদা তৈরি হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পণ্যের একটি চাহিদা তৈরি হবে। যেটি অর্থনীতিতে একটি প্রভাব পড়বে। সুতরাং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কিছুই খুলে দেয়া উচিত বলে মনে করি। কারণ লকডাউন করে সবকিছু বন্ধ করে রাখলে অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব আনা সম্ভব নয়। আমাদের যদি বাঁচতে হয় কোভিড-১৯ নিয়েই বাঁচতে হবে- স্বাস্থ্যবিধি যতটা সম্ভব মেনে। অর্থনীতির বোঝা চাপিয়ে দেশকে ক্ষতির মুখে ফেলে কোনো লাভ হবে না।
 
কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে শতকরা ১৫ ভাগ অতিরিক্ত জনসংখ্যা দারিদ্র্যসীমার মধ্যে প্রবেশ করেছে। আগে ২০ ভাগ ছিল তার সঙ্গে আরও ১৫ ভাগ অতিরিক্ত যোগ হয়ে ৩৫ ভাগ জনসংখ্যা দারিদ্র্যসীমার মধ্যে রয়েছে। যার ফলে ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়ছে। এটি মোটেই শুভ লক্ষণ নয়। এসব দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী লোকদের চাহিদা তৈরি করার ক্যাপাসিটিই নাই। কেননা এদের হাতে টাকা না থাকার ফলে কোনো কিছু কেনার সক্ষমতা তাদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে না। ফলে তারা চাহিদা সৃষ্টি করতে পারছে না। আগে তারা যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করত, সেগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা সেখান থেকে ছিটকে পড়ছে। যার ফলে তারা আয়-রোজগারহীন হয়ে বেকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। এই জনগণকে আয়-রোজগারের আওতায় আনতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। যদি বিনিয়োগ পিকআপ করে তাহলে তাদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে। কারণ বিনিয়োগ পিকআপ করলে একটি চেইন অব কমান্ড তৈরি হবে। যার ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে কর্মসংস্থান বাড়বে, কর্মসংস্থান বাড়লে ক্রয় ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
 
বর্তমানে ব্যাংকে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা অলসভাবে পড়ে আছে। যেটি এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর আগে আমরা ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ কোটি অলস টাকার কথা শুনেছি। ব্যাংকে অলস টাকা এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে বিনিয়োগে ভাটা পড়াটাই স্বাভাবিক। সুদের হারও অনেক কমে গেছে। অবশ্য সুদের হার কমাটা খারাপ নয় বরং সেটি বিনিয়োগ উপযোগী। কিন্তু সুদের হার কমিয়েও তো বিনিয়োগ বাড়ানো যাচ্ছে না। বিনিয়োগ বাড়াতে না পারলে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে এবং এটিই স্বাভাবিক। এভাবে চলতে থাকলে চাহিদা সৃষ্টি নিচের দিকে নেমে আসবে, যেটি অর্থনীতির জন্য একটা অশনি সংকেত। কেননা অতিমাত্রায় চাহিদা পড়ে গেলে অর্থনীতি মন্দার দিকে চলে যায়। ফলে পথে-ঘাটে দরিদ্র লোকের সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। এটি থেকে উত্তরণের সোজাসাপটা উপায় হচ্ছে সরকারের নিজে বিনিয়োগ বাড়ানো। কিন্তু সরকারি বিনিয়োগে সমস্যা রয়েছে। কারণ সরকারি বিনিয়োগ দক্ষতা পায় না। দক্ষতা না পাওয়ার কারণ সরকারি বিনিয়োগে দুর্নীতি হয় । যেমন, যে কাজ একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ১০০ টাকায় করতে পারে, সে কাজ সরকারি প্রতিষ্ঠানে ২০০ টাকা লাগে। যে কারণে সরকার যখনই বেশি কাজ করতে যাবে সেখানে অদক্ষতা আসবে, দুর্নীতি আসবে। সুতরাং সরকারি বিনিয়োগে সফলতা আনতে হলে দুর্নীতি কমাতে হবে, দক্ষ শ্রমশক্তি ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।
 
মেগা প্রজেক্টগুলোতে সরকারের মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেগুলো শেষ করা উচিত। কারণ সরকার যদি বসে থাকে তাহলে দেশের অর্থনীতিও বসে যাবে। মেগা প্রকল্পগুলো শেষ করতে পারলে বিদেশি বিনিয়োগেরও একটি সুযোগ তৈরি হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, গরিব লোকদের হাতে টাকা পৌঁছানো। আমাদের একটা সুবিধা এখনও আছে যে, আমাদের মূল্যস্ফীতি এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। গরিব লোকদের হাতে টাকা পৌঁছানোর প্রোগ্রাম যদি হাতে নেয়া হয় তাতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আপাতত তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। মূল্যস্ফীতি যেহেতু সহনীয় পর্যায়ে আছে তাই সরকার জনগণের হাতে টাকা পৌঁছাতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম, যেমন ফুড ফর ওয়ার্ক প্রোগ্রামে সরকার টাকা খরচ শুরু করতে পারে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, রাস্তাঘাট উন্নয়ন ইত্যাদিতে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে। সরকার এগুলো শুরু করলে এতে অনেক মানুষ কাজ পাবে, তাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
 
আরেকটি বিষয় এখানে যোগ করতে চাই সেটি হল, শেয়ার বাজারের বড় বড় তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট ইনকাম ট্যাক্স কমানো উচিত। কারণ বিশ্বের অনেক দেশেই কর্পোরেট ইনকাম ট্যাক্স কমে গেছে। ট্যাক্সরেট বাড়ালে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগে সবচেয়ে বড় বাধা হল একসেস টু দ্য মার্কেট অর্থাৎ বড় কোনো মার্কেটে প্রবেশ করার সুযোগটা আমাদের নেই। আমি শ্রীলংকার মার্কেটে যেতে পারব না। আমি পাকিস্তানি মার্কেটে ঢুকতে পারব না। তুরস্কের মার্কেটে ঢুকতে পারব না। কারণ ওইসব দেশের সঙ্গে আমাদের ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট নেই। বিনিয়োগ অভ্যন্তরীণভাবে করতে পারা যায়, কেননা বাংলাদেশে বিশাল মার্কেট রয়েছে। কিন্তু সেটি নির্ভর করছে আপার মিডল ক্লাসে কত পার্সেন্ট মানুষ রয়েছে। ওভার অল ২০ পার্সেন্ট। বাকি ৮০ ভাগ লোকের তো ওসব কনজুমারস আইটেম কেনার ক্ষমতাই নেই। সেজন্য আপার মিডল ক্লাস জিডিপি গ্রোথ রেটটি যদি ৬ পার্সেন্ট প্লাস থাকে তাহলে কিছুটা আশা করা যায়। কিন্তু সেজন্য বিনিয়োগ দরকার। সেটি আমরা দেখছি না, তা দৃশ্যমানও হচ্ছে না। সরকার সাপোর্ট প্রোগ্রাম দিচ্ছে, প্রণোদনা দিচ্ছে। কিন্তু সেগুলোতে লুটপাট হচ্ছে। প্রণোদনাটি যদি বিনিয়োগনির্ভর ও কর্মনির্ভর হয় এবং দুর্নীতিমুক্ত হয় তাহলে সেটি দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। শুধু টাকা-পয়সা খরচ করে তো কোনো লাভ নেই, যদি সেটি কাজে না লাগে।
 
আবু আহমেদ : অধ্যাপক ও অর্থনীবিদ
 
অনুলিখন : জাকির হোসেন সরকার
Posted in News Blogs on December 01 2020 at 09:11 PM

Comments (4)

No login
color_lens
gif