░
আশির দশকেও ঢাকা শহরের ম্যানহোলের ঢাকনাতে #ঢাক্কা নামটি খোদিত ছিল। ব্রিটিশদের দেয়া সেই ঢাক্কা নামটি কালের বিবর্তনে হয়েছে ঢাকা। কিন্তু ঢাকার নামকরনের সঠিক তথ্য আজও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে ঢাকা নামের উৎপওি নিয়ে রয়েছে কিছু চমকপ্রদ #কিংবদন্তি ও লোকশ্রুতি। একদিন বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষা বনে ঘুরতে ঘুরতে এক দূর্গার মূর্তি আবিষ্কার করেন। জঙ্গলে এই ঢাকা ঈশ্বরী মূর্তি পেয়ে সেখানেই বারো শতকে #ঢাকেশ্বরী নামে এক মন্দির স্থাপন করেন। তারপর থেকেই এ অঞ্চল ঢাকা নামেই পরিচিতি পায়।
১৬০৮ মতান্তরে ১৬১০ সালে মুঘল সুবেদার #ইসলাম খান নৌবহর নিয়ে বুড়িঙ্গার তীরে অবতরণ করে ঢাক-ঢোল সহ একদল পূজারিকে দেখতে পান। তখন বাদকদের একত্রে ঢাক-বাজাতে বলে তিনজন #সৈনিককে পূর্ব পশ্চিম ও উত্তর দিকে পাঠিয়ে দেন। যত দূর ঢাকের আওয়াজ পাওয়া যায় ততদূর তারা খুটি বসিয়ে সীমানা দিল। ঢাকের আওয়াজে সীমানা দেয়া এ রাজধানীর নাম রাখা হয় ঢাকা। এখানেই শেষ নয়, এ অঞ্চলে এক সময় প্রচুর ঢাক গাছ ছিল। সেই থেকে সবাই এ অঞ্চলকে ঢাকা নামে ডাকে। কেউ বলছেন, #ঢাকাইয়া ভাষা থেকে ঢাকা নামটি এসেছে।
প্রাচীন এ শহরের রাস্তার পাশে #রাস্তারঞ্জিনী নামে এক বিশাল ঘড়ি ছিল। এই ঘড়িকে নগরবাসীর আদর ডাকা ঢাভাকা নামটি পরে বিকৃতি হয়ে ঢাকা হয়েছে। এও শোনা যায়, বহিঃশত্রর আক্রমন ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য বুড়িগঙ্গার তীরে ঢাক্কা নামের এক ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়। এই ঢাক্কা ফাঁড়ি থেকে #ঢাকা নামের উৎপত্তি। সব মিলিয়ে ঢাকা নামের উৎস নিয়ে এ যেন এক #লংকাকান্ড।
Comments (0)