লিখাটা লিখছিলাম ২০১০ সালের ১৪ ফেব্রয়ারিতে। কিন্তু কোন জায়গায় প্রকাশ করার মত সাহস পাই নাই। হঠাৎ আজকে মনে হল লেখাটা পকাশ করি খারাপ ভাল তো লেখাতে থাকবেই।
‘ভালবাসা!’ হ্যা ভালবাসা, আর সবচেয়ে তীব্র ভালবাসাটি হওয়া উচিৎ মাতৃভূমির জন্য। যে মাতৃভূমি আমাদের বাঁচতে শেখায়, চলতে শেখায় তার জন্যই। যে মাতৃভূমি আমাদের পথ দেখায় তার জন্য। আর আমাদের মাতৃভূমির প্রতি কতটুকু ভালবাসা আছে আমরা কি তা জানি? আমরা অনেকে বিশ্বাস করি, যে তোমাকে যতটুকু ভালবাসে তাকে তুমি ততটুকু অথবা তার চেয়ে বেশি ভলবাসা দাও।
মাতৃভূমি আমাদের গভীরভাবে ভালবাসে। আর এই গভীরতা মাপা মনে হয় করো পক্ষেই সম্ভব না। কিন্তু আমরা তাকে কতটুকু ভালবাসি? এর উত্তর কি হতে পারে? আমরা কি ক্ষমতা, টাকাকেই বেশি ভালবাসি না? হ্যা আমরা ক্ষমতাকেই বেশি ভালবাসি। আমি বিশ্বাস করি ক্ষমতা দিয়ে মাতৃভূমির উন্নয়ন করা সম্ভব। কিন্তু আমরা তা কতটুকু করছি? আমার প্রশ্ন ক্ষমতাবানেদর কাছে, আপনারা কি অর্থ আয়ের(টাকা মারার) জন্য উন্নয়ন করছেন? নাকি তা মন থেকে শুধু মাতৃভূমির জন্য করছেন? যদি তা মাতৃভূমির জন্যই করেন তবে কেন দেশের মানুষ কষ্ট পায় আপনাদের কথায় আর কর্মসূচিতে? আপনারা কেন ঐ সংসদে দেশের স্বার্থে কথা না বলে বিরোধি দলের বদনামে ব্যাস্ত থাকেন? যদি সত্যি আপনারা মাতৃভূমির কথাই ভাবেন তবে কেন একত্রে দেশের উন্নয়নের কথা বলেন না, কেন করেন না? আপনারা একে অন্যকে শুধু দোষারপই করবেন তবে কখন কথা বলবেন দেশ কে নিয়ে, আর কখন দেশের জন্য কাজ করবেন?
তখন খুবই খারাপ লাগে যখন দেখি একজন সম্পাদক তার লেখাতে কোন একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে কথা বলেছন। কিন্তু সাহেব আপনার মনে রাখা উচিৎ আপনি এখন আর কোন দলের না। আপনি আপনার মাতৃভূমির সন্তান। আপনার মায়ের জন্য ভাল কিছূ করুন। এর জন্য আপনার নিরপেক্ষ লেখাই কি যথেষ্ট কেআন টানা টানি না? শুধু সম্পাদক না, ‘লেখক, ব্লগার, মিডিয়া প্রায় অনেককেই একটি দলীয় প্রভাব যুক্ত দেখা যায়। কিন্তু আমরা জনগণ চাই একজন লেখক যিনি হবেন দলীয় প্রভাব মুক্ত নিরপেক্ষ। জ্বী জনাব আপনাকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে কোন দলের জন্য না।
Comments (1)