লর্ড মাউন্টব্যাটেন, যিনি ভারতে ব্রিটেনের সর্বশেষ ভাইসরয়, এক বৈঠকে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের নেতাদের সাথে এক বৈঠকে ব্রিটিশ সরকারের পরিকল্পনা সম্বলিত ‘হোয়াইট পেপার' বা 'শ্বেত পত্র’ প্রকাশ...
স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের অর্জন, ব্যর্থতা এবং ভবিষ্যতের পথ চলার দিক
লর্ড মাউন্টব্যাটেন, যিনি ভারতে ব্রিটেনের সর্বশেষ ভাইসরয়, এক বৈঠকে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের নেতাদের সাথে এক বৈঠকে ব্রিটিশ সরকারের পরিকল্পনা সম্বলিত ‘হোয়াইট পেপার' বা 'শ্বেত পত্র’ প্রকাশ করেন।শ্বেতপত্র অনুযায়ী, বর্তমান বাংলাদেশ তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান নামে পশ্চিম- পাকিস্তানের অধীনে থাকতে হয়েছিল। তার পর দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামের পর, নানা ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করে এবং ৩০ লক্ষ শহিদের বিনিময়ে আমরা আমাদের বাংলাদেশকে পেয়েছিলাম... moreস্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের অর্জন, ব্যর্থতা এবং ভবিষ্যতের পথ চলার দিক
লর্ড মাউন্টব্যাটেন, যিনি ভারতে ব্রিটেনের সর্বশেষ ভাইসরয়, এক বৈঠকে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের নেতাদের সাথে এক বৈঠকে ব্রিটিশ সরকারের পরিকল্পনা সম্বলিত ‘হোয়াইট পেপার' বা 'শ্বেত পত্র’ প্রকাশ করেন।শ্বেতপত্র অনুযায়ী, বর্তমান বাংলাদেশ তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান নামে পশ্চিম- পাকিস্তানের অধীনে থাকতে হয়েছিল। তার পর দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামের পর, নানা ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করে এবং ৩০ লক্ষ শহিদের বিনিময়ে আমরা আমাদের বাংলাদেশকে পেয়েছিলাম। সেই থেকে আমাদের পথ চলা শুরু, হাটি হাটি পা পা করে আমরা আজ ৫০ বছরে এসে দাঁড়িয়েছি। আজ আমরা আমাদের অর্জন, ব্যর্থতা এবং ভবিষ্যতের পথ চলার দিক সম্পর্কে তুলে ধরব।
যে হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলা বিহিন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত করেছিল, তাকে ৫০ বছর পর দেখিয়ে দিয়েছি যে তার মতো মহা গর্দভ আর কেও নাই। শক্তিশালী অর্থনীতি এবং গর্বের পদ্মা সেতু, এ দুটি সব চেয়ে বড় উদাহরণ। ৫০ বছর পর বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেটা কম গৌরবের নয়। অনেক বিলম্ব হওয়ার সত্ত্বেও, দেশ রত্ন বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ৫০ বছরে আমাদের জিডিপি প্রায় ৩০ গুন, মাথাপিছু আয় ১৪.৭৫ গুন এবং বাজেটের আকার হয়েছে ৭২২ গুন। আমাদের ৫০ বছরের সামাজিক উন্নয়নের অগ্রগতি স্বস্তি দায়ক। যেমন সার্বিক সাধারণ শিক্ষা, স্বাস্থ্য তথা শিশুমৃত্যু, মাতৃ মৃত্যু, গড় আয়ু, ই পি আই, নারীর ক্ষমতায়ন, জন্ম ও মৃত্যু হার হ্রাস ইত্যাদি।
২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হিসাবে গড়ে উঠবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ নাম লেখাবে। এটাই আমাদের পথ চলা।
কিন্তু, দুর্নীতি, সু শাসনের অভাব এবং মানহীন পরিকল্পনা আমাদের অনেক পিছিয়ে দিচ্ছে। সীমা হীন, অকল্পনীয় দুর্নীতি, শিক্ষার মানের অবনতি ইত্যাদি এগুলো আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে। তবুও, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সন্মিলিতভাবে, দুর্নীতি প্রতিরোধ করে, মেধার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।