#একদল যাত্রী নিয়ে একটি জাহাজ সমুদ্রপথে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাচ্ছিলো। যাত্রীদের মধ্যে একজন দক্ষ কাঠমিস্ত্রিও ছিল। #কিন্তু যাত্রাপথে ভয়ানক ঝড়ের কবলে পরে জাহাজটি ডুবে গেল। অনেক যাত্রী সাগরে ডুবে মারা গেলেও ওই কাঠমিস্ত্রী তার যন্ত্রপাতির ব্যাগটি নিয়ে ভাসতে ভাসতে একটি নির্জন দ্বীপে এসে পৌছালো। দ্বীপটিতে জনমানব না থাকলেও অনেক ফলজ এবং বনজ গাছাগাছালিতে পরিপূর্ণ ছিল। #সে প্রথম দুদিন বেশ হতাশ ছিল, কারন এই নির্জন দ্বীপ থেকে তার কোনোদিন নিজ ঠিকানায় ফেরা হবে কিনা, সে সম্পর্কে সে ন... more#একটি_শিক্ষণীয়_গল্পঃ--
#একদল যাত্রী নিয়ে একটি জাহাজ সমুদ্রপথে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাচ্ছিলো। যাত্রীদের মধ্যে একজন দক্ষ কাঠমিস্ত্রিও ছিল। #কিন্তু যাত্রাপথে ভয়ানক ঝড়ের কবলে পরে জাহাজটি ডুবে গেল। অনেক যাত্রী সাগরে ডুবে মারা গেলেও ওই কাঠমিস্ত্রী তার যন্ত্রপাতির ব্যাগটি নিয়ে ভাসতে ভাসতে একটি নির্জন দ্বীপে এসে পৌছালো। দ্বীপটিতে জনমানব না থাকলেও অনেক ফলজ এবং বনজ গাছাগাছালিতে পরিপূর্ণ ছিল। #সে প্রথম দুদিন বেশ হতাশ ছিল, কারন এই নির্জন দ্বীপ থেকে তার কোনোদিন নিজ ঠিকানায় ফেরা হবে কিনা, সে সম্পর্কে সে নিশ্চিত ছিলনা। সময়ের সাথে সাথে সে তার নিয়তিকে মেনে নিল। নানারকম ফলফলাদি খেয়েই তার দিন কাটতো। যেহেতু সে বাড়ি ফেরার আশা ছেড়ে দিয়েছিল, সেহেতু সে ভাবলো নিজের থাকার জন্য একটা সুন্দর ঘর তৈরি করবে। #এই ভেবে সে কাঠ সংগ্রহ শুরু করলো। দিন রাত পরিশ্রম করে সে তার যন্ত্রপাতি ও দক্ষতার সদ্ব্যবহার করে দ্বীপের মধ্যখানে চমৎকার একটি ঘর তৈরি করলো। ঘর তৈরি করার পর সে ভাবলো, "ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ঘরের পাশে একটি বাগান করলে কেমন হয়?" #এই ভেবে পুরো দ্বীপ চষে বেশ কিছু ফুলের গাছ সংগ্রহ করলো এবং তার বাগানে রোপণ করলো। কিছুদিন পর তার বাগান ফুলে পরিপূর্ণ হয়ে হয়ে গেল। ফুল বাগান ও নিজ ঘরের সৌন্দর্যে সে মুগ্ধ হয়ে গেল। #সারাক্ষণ তার মাথায় এই চিন্তাই থাকতো যে কিভাবে তার ঘরের সৌন্দর্য আরো বাড়ানো যায়। এই ভাবনায় সে তার স্থায়ী আবাসের চিন্তা করা ভুলেই গেল। একদিন হুট করে তার ওই দ্বীপে নৌ বাহিনীর একটি টহল বোট চলে এলো। তারা কাঠমিস্ত্রীকে দেখে তাকে উদ্ধার করে তার স্থায়ী আবাস মানে নিজ বাড়িতে পৌছে দিল। দ্বীপ ছেড়ে আসার সময় মিস্ত্রী কাঁদছিল আর বারবার পেছন ফিরে তাকাচ্ছিলো। #এই ভেবে তার হতাশা বাড়ছিলো যে, তার এত দিনের কষ্ট ও পরিশ্রমের ফসল ওই বাগান, আর ওই ঘরের কোনোটাই সে তার সাথে নিতে পারলো না। #নোট_: আমরা প্রতিটি মানুষই ও মিস্ত্রির মত। মিস্ত্রি যেমন তার স্থায়ী আবাস কে ভুলে ওই দ্বীপের ক্ষণস্থায়ী আবাস কে সুসজ্জিতকরনে ব্যস্ত ছিল, আমরাও তেমনি আমাদের চিরস্থায়ী আবাস আখিরাত কে ভুলে ক্ষণস্থায়ী এই দুনিয়াকে সুসজ্জিত করনে ব্যস্ত হয়ে আছি। #ভাবে চলতে থাকলে চূড়ান্ত বিদায়ের দিন ওই মিস্ত্রির মত আমাদেরও এই ভেবে কাঁদতে হবে যে, "যেই দুনিয়া সুসজ্জিত করতে আমরা সারাজীবন ব্যস্ত ছিলাম, সেখান থেকে কিছুই সাথে নিয়ে যেতে পারলাম না।" #তাই আসুন, সময় থাকতে নিজেকে চিনে নেই , দুনিয়া চিনে নেই, আখিরাত চিনে নেই এবং নিজের মালিক কে চিনে নেই।
[[ Collected ]]
দহগ্রাম-আংগোরপোতার নাম অনেকেই শুনেছেন।ইহা হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের একমাত্র ছিটমহল যা ভারত-বাংলাদেশ এর মধ্যে বিনিময় হয়নি।ইহা রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার অংশ।ইহা এক রকম ভারতের বুকে এক টুকরো বাংলাদেশ।যা একটা সরু সড়কের দ্বারা বাংলাদেশের সাথে সংযুক্ত। যেই সড়কটি তিন বিঘা দীর্ঘ এবং যার দু ধারে ভারত।ইহা দহগ্রাম কে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত করেছে।সম্প্রতি দহগ্রামে কিছু চা বাগানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তার নাম রাবেয়া সুলতানা রাব্বি, কিন্তু সবাই তাকে ডাকে রাব্বি আপা, একজন মোটর মেকানিক।
কেয়ার বাংলাদেশ নামের একটি সংস্থার গাড়ির গ্যারাজে কাজ করেন তিনি।
বাংলাদেশে সাধারণত পুরুষদেরকেই এই...