শৈল্পিক কারুকার্যমণ্ডিত মসজিদের মূল কাঠামোতে তিনটি গম্বুজ, তিনটি দরজা ও নামাজের জন্য তিনটি কাতার রয়েছে। আর মসজিদের উপরিভাগে সুদৃশ্য পাঁচটি গম্বুজ এবং ভিতরের প্রবেশ দরজায় দুইটি মিনার লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া ঝাউদিয়া শাহী মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে চুন ও সুরকি নির্মিত দুইটি দৃষ্টিনন্দন জানালা রয়েছে। মসজিদটি মাটির ট্যালি, চুন ও সুরকি দিয়ে নির্মিত হবার কারণে ভিতরে বেশ ঠাণ্ডা থাকে। তবে মসজিদের আলপনা সজ্জিত দেওয়াল এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। শাহী মসজিদের পাশে আছে সুফি সাধকের কবর। ১৯৬৯ সালে মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের নথিভুক্ত করা হয়। বর্তমানে দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য মুসল্লি ও দর্শনার্থী মসজিদে নামায আদায় এবং পরিদর্শন করতে আসেন।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে কুষ্টিয়া যাওয়া যায়। ঢাকার কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে নিউ এসবি সুপার ডিলাক্স, শ্যামলী, হানিফ বা পাবনাগামী বাসে কুষ্টিয়া যেতে পারবেন। আর ট্রেনে যেতে চাইলে সুন্দরবন বা চিত্রা এক্সপ্রেসে কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে পোড়াদহ ও ভেড়ামারা ষ্টেশনে নেমে স্থানীয় বাস বা সিএনজিতে কুষ্টিয়া যাওয়া যায়। কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাঁস মোড় থেকে বাস বা সিএনজিতে ঝাউদিয়া- মাছপাড়া সড়ক হয়ে ঝাউদিয়া শাহী মসজিদে পৌঁছাতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

কুষ্টিয়া শহরের আবাসিক হোটেলের মধ্যে হোটেল রাতুল, হোটেল নূর, হোটেল লিবার্টি, পদ্মা হোটেল ও শাপলা হোটেল উল্লেখযোগ্য।

 

কোথায় খাবেন

কুষ্টিয়া শহরে খেয়া রেস্টুরেন্ট, পালকি, চিলিস ফুড পার্ক, জাহাঙ্গীর হোটেল ও শিল্পী হোটেল প্রভৃতি রেস্তোরাঁ রয়েছে। সুযোগ থাকলে অবশ্যই কুষ্টিয়ার বিখ্যাত তিলের খাজা ও কুলফি খেইয়ে দেখতে পারেন। 

অন্যান্য দর্শনীয় স্থান

কুষ্টিয়ার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে লালন শাহের মাজার, লালন শাহ্‌ সেতু, মীর মোশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা, টেগর লজ, রবীন্দ্র ঠাকুরের কুঠিবাড়ী ও জাদুঘর অন্যতম।