অত্যন্ত দানশীল ও মুন্সীগঞ্জের অন্যতম ধণাঢ্য শ্রীনাথ রায়কে ব্রিটিশ শাসকেরা ‘রাজা’ ও ‘রায় বাহাদুর’ উপাধীতে ভূষিত করেছিলেন। ১৩২২ বঙ্গাব্দের ২১ শ্রাবণ বাংলার প্রথম গভর্নর লর্ড কারমাইকেল একটি দাতব্য চিকিৎসালয় উদ্বোধনের জন্য রায় বাহাদুর শ্রীনাথ রায়ের বাড়িতে আগমন করেছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় রাজা শ্রীনাথ রায়ের পরিবারের সকল সদস্যগণ কলকাতা পাড়ি জমান।

যেভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সড়ক পথে মুন্সিগঞ্জের দূরত্ব মাত্র ২৩ কিলোমিটার। ঢাকার গুলিস্থান, আবদুল্লাপুর বা মিরপুর থেকে মাওয়াগামী বাসে চড়ে মুন্সিগঞ্জে যাওয়া যায়। চাইলে নৌপথেও মুন্সিগঞ্জ যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ঢাকার সদর ঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চে চড়ে বসুন। মুন্সীগঞ্জ জেলা সদর থেকে বাসে সিরাজদিখান উপজেলায় এসে সেখান থেকে রিকশা নিয়ে রায় বাহাদুর শ্রীনাথ রায়ের বাড়ি যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন

একদিনে ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ ঘুরে ফিরে আসা যায়। তবুও প্রয়োজনে জেলা সদরে অবস্থিত হোটেল থ্রি স্টার, হোটেল কমফোর্ট প্রভৃতি আবাসিক হোটেলে রাতে থাকতে পারবেন। এছাড়া মুন্সিগঞ্জের আকর্ষণীয় রিসোর্টগুলোর মধ্যে পদ্মা রিসোর্ট, মাওয়া রিসোর্ট ও মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

 

কোথায় খাবেন

মুন্সিগঞ্জে ভালমানের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। মুন্সিগঞ্জের চিত্তর দই, আনন্দর মিষ্টি, খুদের বৌউয়া (খুদের খিচুড়ি) এবং ভাগ্যকুলের মিষ্টি দেশব্যাপী জনপ্রিয় খাবার।

মুন্সিগঞ্জের দর্শনীয় স্থান

মুন্সিগঞ্জের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে জগদীশ চন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর, ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ী ও মাওয়া ফেরি ঘাট প্রভৃতি অন্যতম।