করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা

 
 
 
 
 
 
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ ও বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় পুনরায় স্থান পাওয়ার জন্য। যখন লেখাটি লিখছি তখন স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে শেষ ৪১তম স্প্যানটি বসানোর খবরটি পেলাম।
 
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে বিজয়ের মাসে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শেষতম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে কোটি বাঙালীর দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন পূরণ হলো। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ০২ মিনিটে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ৪১তম শেষ স্প্যানটি। আর এর মাধ্যমেই দৃশ্যমান হলো ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু। তৈরি হতে যাচ্ছে রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগের পথ।
 
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ফোর্বস সাময়িকীর ২০২০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ৩৯তম স্থানে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত মঙ্গলবার এই তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেও একাধিকবার ফোর্বস সাময়িকীর বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ফোর্বস সাময়িকী লিখেছে, তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন। তিনি বর্তমানে চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। ফোর্বস লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বর্তমান মেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির মতো বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার চলমান সংগ্রামে বাংলাদেশে একটি দৃঢ় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
 
বিশ্বে এখন সব চাইতে আলোচনার বিষয় কে কবে করোনার টিকা পাবে। প্রধানমন্ত্রী গত ১ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সভায় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আনা ৩ কোটি ডোজ সম্মুখ যোদ্ধাদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে তাতে দেড় কোটি মানুষ ২ ডোজ করে পাবে।
 
এখন পর্যন্ত সরকার ৫ কোটি মানুষের টিকা নিশ্চিত করেছে। ভারতের সেরামের বাইরে গ্লোবাল এ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন এ্যান্ড ইমুনাইজেসন্স (গ্যাভি) ২০২১ সালের মধ্যে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ বিনামূল্যে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া বেক্সিমকো বেসরকারীভাবে আরও ১০ লাখ ডোজ আনার প্রস্তুতি নিয়েছে। সে হিসেবে মোট ৯ কোটি ৯০ লাখ ডোজ নিশ্চিত হয়েছে সরকার। এতে ৪ কোটি ৯৫ লাখ মানুষ ২ ডোজ করে টিকা পাবেন। এ ছাড়া সরকার অন্যান্য জায়গা থেকে টিকা সংগ্রহ করার জন্য তৎপর রয়েছে। এজন্য সরকার এক হাজার কোটি টাকা অগ্রিম দিয়েছে। সরকার জানিয়েছে, আগামী জানুয়ারিতেই টিকার প্রথম চালান আসবে।
 
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে যথাসময়ে শীতের দ্বিতীয় ঢেউ বিষয়ে সতর্ক করেছেন এবং প্রয়োজনীয় বাবস্থা গ্রহণ করছেন। ঘরের বাইরে গেলে সবাইকে মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন। তিনি ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ বাবস্থা চালু করেছেন।
 
করোনাভাইরাস মহামারী থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতার পাশাপাশি জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ। করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় দ্রুত বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায় দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হচ্ছেন শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ফোর্বস ম্যাগাজিনসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়েছে।
 
২৪ এপ্রিল এক আর্টিকেলে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস। একইসঙ্গে প্রশংসা করা হয়েছে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বেরও।
 
শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ১৬১ (১৬ কোটির বেশি) মিলিয়ন মানুষের বাস। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষতার সঙ্গে সঙ্কট মোকাবেলা করা তার জন্য নতুন কিছু নয়। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা মোকাবেলায়ও তিনি নিয়েছেন দ্রুত পদক্ষেপ। যার প্রশংসা করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামও।
 
এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের আয়োজিত ‘এনহ্যান্সিং রিজিওন্যাল কো-অপারেশন ইন সাউথ এশিয়া টু কমব্যাট কোভিড-১৯ রিলেটেড ইমপ্যাক্ট অন ইটস ইকোনমিকস’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে গণভবন থেকে যোগ দেন শেখ হাসিনা। এ সম্মেলনে বিশ্বকে এক হয়ে করোনা মোকাবেলা করার আহ্বান জানান তিনি।
 
১৫ মার্চ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কোভিড-১৯ ঠেকানোর লড়াইয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে সার্ক নেতাদের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
 
২৫ মে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সহায়তা প্রদান বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শি জিনপিংয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী পরে চীন বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে আসে।
 
৪ জুন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে গ্লোবাল এ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন এ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গাভি) আয়োজিত ভ্যাকসিন সামিটে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি দ্রুত ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আহ্বান জানান এবং সংস্থাটির তহবিল বাড়াতে অনুদান দিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। এসব অনুষ্ঠানে প্রশংসিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
করোনা মহামারীর এই সঙ্কটে জনগণের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতদিন না এই সঙ্কট কাটবে, ততদিন আমি এবং আমার সরকার আপনাদের পাশে থাকব।
 
করোনা সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে প্রতিমুহূর্তের করণীয় ঠিক করতে দিনরাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সার্বক্ষণিক সবকিছুর খোঁজ-খবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
 
#অর্থনীতি_ও_জীবন_সচল_রাখতে_শেখ_হাসিনার_পদক্ষেপসমূহ
 
১) দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা এবং পাবলিক পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
 
২) অনলাইন, টেলিভিশনের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা।
 
৩) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে অবধি সাধারণ ছুটি ঘোষণা।
 
৪) চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনসহ করোনা যুদ্ধে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের জন্য পিপিই-মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী নিশ্চিত করা।
 
৫) টেস্টিং কিট আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে ল্যাব স্থাপনসহ পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা।
 
৬) করোনা মোকাবেলার ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের জন্য ৫-১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবীমা এবং এর ৫ গুণ জীবন বীমা ঘোষণা।
 
৭) ২ হাজার ডাক্তার ও ৫ হজার ৫৪ জন নার্স নিয়োগ। আরও ৫ হাজার স্বাস্থ্য টেকনোলজিস্ট নিয়োগের বাবস্থা করা।
 
৮) স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শের জন্য ৩টি হটলাইন (১৬২৬৩; ৩৩৩ ও ১০৬৫৫) চালু।
 
৯) করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভাগ, জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন।
 
১০) ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত হয়ে জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া।
 
১১) প্রধানমন্ত্রী সঙ্কট মোকাবিলায় ১ এপ্রিল ৩১টি, ১৬ এপ্রিল ১০টি, ২০ এপ্রিল ১৩টি এবং ২৭ এপ্রিল ১০টি নির্দেশনা দেন।
 
১২) করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে ১৯টি প্যাকেজে ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা। যা জিডিপির ৩.৭ শতাংশ।
 
১৩) ভাতা কর্মসূচীর আওতা বৃদ্ধি ৮১১ কোটি টাকার, গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর তৈরির জন্য ২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা।
 
১৪) বোরো ধান/চাল ক্রয়ের কার্যক্রম (অতিরিক্ত ২ লাখ টন) ৮৬০ কোটি টাকার এবং কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ ২০০ কোটি টাকা।
 
১৫) ভিজিডি, ভিজিএফ, ১০ টাকায় খাদ্য সহায়তা ও অন্য সহায়তা প্রাপ্ত প্রায় ৭৬ লাখ পরিবার বাদ দিয়ে অবশিষ্ট প্রায় ৫০ লাখ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে মুজিববর্ষ উপলক্ষে মে/২০২০ মাসে এককালীন ২৫শ’ টাকা হারে মোট ১২৫০ কোটি টাকা নগদ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
 
১৬) স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের ২০১৯ সালের ২ লাখ ৯ হাজার ৬৭৪ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে উপবৃত্তি বাবদ ১০২ কোটি ৭৪ লাখ ২ হাজার ৬শ’ টাকা এবং টিউশন ফি বাবদ ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ২০০ টাকা বিতরণ।
 
১৭) প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করে জুলাই ২০২০ থেকে দেশের ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে স্নাতক পর্যায়ের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি দেওয়া হবে।
 
১৮) ৫০ লাখ মানুুষের জন্য রেশন কার্ড করা আছে যারা ১০ টাকায় চাল পান। নতুন আরও ৫০ লাখ রেশন কার্ড দেয়ার ব্যবস্থা। এতে প্রায় ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন।
 
১৯) কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কৃষকদের জন্য আউশ ধানের বীজ ও সার বিনামূল্যে পৌঁছানোর উদ্যোগ।
 
২০) বোরো মৌসুমে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান, ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন আতপ এবং ৮০ হাজার মেট্রিক টন গমসহ সর্বমোট ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
 
২১) কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অঞ্চলভেদে উপকরণ ক্রয়ের জন্য ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সরকারী ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।
 
২২) ৬৪ জেলার ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় সাধনের জন্য ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
 
২৩) ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ। অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
 
২৪) ২৮ জুন পর্যন্ত সারাদেশে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন এবং বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ৮৮ হাজার ২৪ মেট্র্রিক টন। এতে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা এক কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা সাত কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫ জন।
 
২৫) শিশুখাদ্যসহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ১২৩ কোটি টাকা।
 
২৬) করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে রমজান উপলক্ষে কওমি মাদ্রাসাগুলোকে ১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, মসজিদগুলোর জন্য ১২২ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা।
 
২৭) ব্যবসা, কর্মসংস্থান ও উৎপাদনশীলতার ওপর প্রভাব হ্রাস করতে ১৪ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৩ শতাংশের সমান।
 
২৮) দ্রুত কভিড-১৯ রোগ শনাক্ত করার জন্য রেপিড
 
এন্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করেছেন।
 
করোনা মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৩১তম বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা প্রদান করেন।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় যথাসময়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ও সাশ্রয়ী মূল্যে সবার জন্য মানসম্মত ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ভ্যাকসিন উৎপাদনে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং মহামারী-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। তিনি বলেছেন, এ মহামারীর বিরুদ্ধে আরও বৈশ্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। সর্বত্র এটি থামানো না গেলে একে কখনোই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। বক্তৃতায় তিনি বিশ্ববাসীর জন্য তিন দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
 
শেখ হাসিনার নেতৃতে সরকার সকল বাবস্থা এবং পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রয়োজন জনগণের সহযোগিতা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর হার ১.৪৩ শতাংশ আর সংক্রমণের হার ১১.৪৪ শতাংশ। দুটো হারে বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে ভাল আছে। নিজেদের স্বার্থে এখন প্রয়োজন সরকার, জনগণ, সামাজিক শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে মুজিববর্ষ পালন করছি, সামনে বিজয়ের পঞ্চাশ বছরে পদার্পণ, এমন সময়ে বাঙালী হার মানতে পারে না। ঐক্যবদ্ধ বাঙালি কখনো হার মানেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃতে আমরা সবাই মিলে করোনা যুদ্ধে অবশ্যই বিজয়ী হব।
 
 
Posted in News Blogs on December 13 2020 at 01:38 PM

Comments (0)

No login
color_lens
gif