এক মা তার ঘরের বিভিন্ন দরজার উপরে নেমপ্লেটের মতো করে যিকির লিখে টাঙ্গিয়ে দিয়েছেন।
কোনও কামরার দরজায় লেখা ‘সুবহানাল্লাহ কক্ষ’,
কোনও কামরার দরজায় লেখা ‘আলহামদুলিল্লাহ কক্ষ’, আরেক কামরার দরজায় লেখা ‘আল্লাহু আকবার কক্ষ’, রান্নাঘরের দরজায় লেখা ‘ইস্তেগফার কক্ষ’, বৈঠকখানার দরজায় লেখা ‘তাহলীল কক্ষ’।
মেহমান এলে অবাক হয়, এটা কেন?
মায়ের সহাস্য উত্তর,
-আমি আমার সন্তানদেরকে ‘জ্ঞানী’ বানাতে চাই।
-জ্ঞানী বানানোর সাথে, দরজার উপরে এসব লেখার কী সম্পর্ক?
- কুরআন কারীমে প্রকৃত জ্... more##জ্ঞানী মায়ের জ্ঞানী শিশু!
এক মা তার ঘরের বিভিন্ন দরজার উপরে নেমপ্লেটের মতো করে যিকির লিখে টাঙ্গিয়ে দিয়েছেন।
কোনও কামরার দরজায় লেখা ‘সুবহানাল্লাহ কক্ষ’,
কোনও কামরার দরজায় লেখা ‘আলহামদুলিল্লাহ কক্ষ’, আরেক কামরার দরজায় লেখা ‘আল্লাহু আকবার কক্ষ’, রান্নাঘরের দরজায় লেখা ‘ইস্তেগফার কক্ষ’, বৈঠকখানার দরজায় লেখা ‘তাহলীল কক্ষ’।
মেহমান এলে অবাক হয়, এটা কেন?
মায়ের সহাস্য উত্তর,
-আমি আমার সন্তানদেরকে ‘জ্ঞানী’ বানাতে চাই।
-জ্ঞানী বানানোর সাথে, দরজার উপরে এসব লেখার কী সম্পর্ক?
- কুরআন কারীমে প্রকৃত জ্ঞানীকে উলুল আলবাব ( ﺃُﻭ۟ﻟُﻮﺍ۟ ﭐﻟۡﺄَﻟۡﺒَـٰﺐِ ) বা জ্ঞানের অধিকারী বলা হয়েছে।
এই জ্ঞানীরা কারা?
আল্লাহ তা‘আলাই বলে দিচ্ছেন, - “যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে, সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে।”
(আলে ইমরান ১৯১)
আমি চাই আমার সন্তানরাও সর্বাবস্থায় যিকিরে অভ্যস্ত হোক, তারা আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা হোক।
এই মা যখন যে কামরায় প্রবেশ করতেন, সন্তানদের শুনিয়ে শুনিয়ে সেই যিকির করতে থাকতেন।
সন্তান আর সন্তানদের পিতাও তার দেখাদেখি এই আমলে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।
তাহলীলের কামরায় প্রবেশ করেই শিশুরা সমস্বরে বলে উঠছে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। ইস্তেগফারের কামরায় প্রবেশ করেই আস্তাগফিরুল্লাহ বলে উঠছে।
আস্তে আস্তে এমন হয়েছে, বাড়িতে মেহমান এলে, মেহমান শিশুরাও এ-কামরা ও-কামরায় হুটোপুটি করতে করতে যিকির যিকির খেলা শুরু করে।
সন্তানদেরকে আল্লাহর যিকিরে অভ্যস্ত করে তোলার জন্য এই মায়ের প্রয়াস প্রশংসার দাবি রাখে।