আর কমিউনিকেশন স্কিল বর্তমান সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। প্রফেশনাল লাইভ, স্টুডেন্ট লাইফ, কিংবা ব্যাক্তিগত জীবন সব ক্ষেত্রেই এই কমিউনিকেশন স্কিল কাজ করে।
"কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ বলতে তথ্য আদান-প্রদানের কৌশল বা উপায়কে বোঝায়"। আমরা জিবনে চলার পথে কত মানুষের সাথেই না যোগাযোগ করি তার ইয়াত্তা নেই। তবে আমরা কি জানি এই কমিনিউকেশনটা ইফেক্টিভ হয়েছে কি না!
অনেক জানি। অনেক হয়ত জানি না।
আমরা না চাইলেও প্রতিনিয়তই কারো না কারো সাথে ... more★কমিউনিকেশন স্কিল বা যোগাযোগ দক্ষতা ★
আর কমিউনিকেশন স্কিল বর্তমান সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। প্রফেশনাল লাইভ, স্টুডেন্ট লাইফ, কিংবা ব্যাক্তিগত জীবন সব ক্ষেত্রেই এই কমিউনিকেশন স্কিল কাজ করে।
"কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ বলতে তথ্য আদান-প্রদানের কৌশল বা উপায়কে বোঝায়"। আমরা জিবনে চলার পথে কত মানুষের সাথেই না যোগাযোগ করি তার ইয়াত্তা নেই। তবে আমরা কি জানি এই কমিনিউকেশনটা ইফেক্টিভ হয়েছে কি না!
অনেক জানি। অনেক হয়ত জানি না।
আমরা না চাইলেও প্রতিনিয়তই কারো না কারো সাথে যোগাযোগ করতেই হয়। আচ্ছা ভাবুন তো এই যোগাযোগটা যদি আরেকটু ইভেক্টিভভাবে করা যায় তাহলে কেমন হয়! নিশ্চই খারাপ না। আর আমরা সকলেই একটা ভাল যোগাযোগ রক্ষা করতে চাই।
তাই আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব এমন কিছু টিপস বা উপায় যার মাধ্যমে আরও ভালভাবে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
★নাম ধরে ডেকে কথা বলা:-
নামের ব্যাপারে আমাদের সকলেরই একটা #সাব_কনশাস_এওয়ারনেস থাকে। যেখানেই আসাদের নাম ধরে কিছু বলা হোক না কেন আর আসরা যত ব্যস্তই থাকি নামের আওয়াজ ঠিকই শুনতে পাই। আর কথার মাঝে কাইকে যদি নাম ধরে কিছু বলেন তবে আপনার অপর পাশের মানুষটি ভাববে আপনি তাকে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলছেন আর বড় কথা সে আমার নাম মুখস্থ রেখেছে বা জানে। আর তার মনে একটা #পজিটিভ ধারণা তৈরি হবে আপনার সম্পর্কে। এই টিপসটা রেপো বিল্ট করতেও সাহায্য করে।
★ফিলার ইউজ :-
আমরা কথা বলার সময় ফিলার ব্যবহার করি যেমন হুম, হু, হাম ইত্যাদি যা ব্যবহারে অনেকে বিরক্ত হতে পারে। তাই এগুলা না বলে হ্যা বুজেছি, গড ইট, হ্যা এটা ঠিক ইত্যাদি ব্যবহার করা উচিত।
★সামনা সামনি মুখ করে কথা বলা:-
আপনি একজনের সাথে কথা বলছেন আর সে অন্যদিকে ঘুরে কিছু দেখছে বা ফোনে কিছু নিয়ে ব্যাস্ত তাহলে আপনার কেমন লাগবে? নিশ্চই ভাল লাগবে না আর ভাবতে পারেন সে আমাকে পাত্তাই দিচ্ছে না। আর তাই কথা বলার সময় বক্তা বা যিনি কথা বলছেন তার দিকে আপনার পুরো বডিটা ঘুরিয়ে অন্য সব কিছু বাদ দিয়ে তার কথায় কথায় মনযোগ দিতে হবে। তাহলে সে ভাববে আপনি তার কথার গুরুত্ব দিচ্ছেন আর এতে #কমিউনিকেশন ভাল একটা পর্যায়ে যাবে।
★আই কন্ট্রাক্ট মেইনটেইন বা চোখে চোখ রেখে কথা বলা:-
মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, যারা কথা বলার সময় আই কন্ট্রাক্ট মেইনটেইন করে তারা আত্নবিশ্বাসী হয়ে থাকে। আর নিচের দিকে তাকিয়ে বা অন্যদিকে তাকিয়ে কথা বললে, অপরজন ভাবতে পারে আপনি মিথ্যা বলছেন বা এ ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত নন।
আর হ্যা আপনাকে সবসময় চোখের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে তা নয়। বরং আপনি কিছুক্ষণ পরপর তার মুখের দিকে, ঠোটের দিকে তাকাতে পারেন। ভাবুন তো আপনি কারো সাথে কথা বলছেন আর সেই সময় সে অন্যদিকে তাকিয়ে কিছু দেখছে যেমন প্রকৃতি, খেলা ইত্যাদি তখন আপনার কেমন লাগবে? যদিও তার এটা ব্যাতিত সব ঠিক ছিল৷ নিশ্চই ভাল লাগবে না। যদিও #আই_কন্ট্রাক্ট_মেইনটেইন করা কষ্টসাধ্য তবে চেষ্টা করতে হবে। একসময় ঠিক হয়ে যাবে।
★হাসি:-
হাসি যে কতটা এনার্জি ড্রাইভ করতে পারে তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। এমনকি এই এনার্জিটা কনটেজিয়াস বা ছড়ানো যায়। তাই চেষ্টা করতে হবে কথা বলার সময় মুখে একটা হাসি রাখতে। তবে খেয়াল রাখেত হবে হাসিটা যাতে বেখাপ্পা না হয়!
★মনযোগ দিয়ে শোনা:-
কথা বলার সময় যদি আপনি কারো কথা শুনলেনই না তাহলে সেটা কিভাবে যোগাযোগ হল!
আর শোনার_দক্ষতা অনেক বড় একটা স্কিল। আমরা সব সময় কথা বলতে পছন্দ করি কিন্তু কারো কথা শুনতে চাই না। আমি এটা করছি, ওটা করছি, সেটা করছি। আপনি যাই করুন না কেন অপরজনকেও সুযোগ দিতে হবে কিছু বলার এবং তার কথার মাঝে কথা বলা যাবে না বরং তার কথা শেষ হওয়ার পর বলতে হবে। তবে কথার মাঝে কিছু শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে সে বুঝতে পারে আপনি তার কথা শুনছেন।
★এলেবেটার পিস:-
নতুন মানুষের সাথে কথা বলতে গেলে ১৫সেকেন্ডে নিজের ইন্টুডিয়ুস বা নিজের সম্পর্কে বলে নতুন মানুষের কাছে তার কথা শুনতে হবে। পরে যদি সে আর কিছু জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে আবার বলতে হবে। তবে শুরুতেই ৩-৫মিনিট নিজের সম্পর্কে বলে ফেললাম এটা ঠিক না। হয়ত যিনি শুনছেন তিনি বিরক্ত বোধ করতে পারেন। তাই নিজে বলার পাশাপাশি অপরজনকেও তার সম্পর্কে বলার সুযোগ দেওয়া। আর আমরা নিজেদের সম্পর্কে বলতে ভালবাসি।
★বার্গার মেথড:-
বান পেডি বান, ভাল কথা, ক্রিটিসিজম বা দোষ, ভাল কথা। আমরা যদি কারো দোষ বা তার কোন খারাপ কোন গুনের কথা বলতে চাই তাহলে প্রথমে তার ভাল বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে তারপর সেই দোষ বা খারাপ গুন তারপর আবার ভাল কথা দিয়ে শেষ করতে হবে এবং যদি পারা যায় তার এটা শোষরানোর উপায় বলে দেওয়া। তাহলে যোগাযোগটা বজায় থাকবে এবং অপরজন আপনার সম্পর্কে খারাপ ধারণা করতে পারবে না বরং নিজেকেই শোধরাবার চেষ্টা করতে পারবে।
★আর্গুমেন্ট জেতার না:-
আর্গুমেন্ট বা বলা যায় তর্ক। তর্কের সময় আমরা নিজের মতামত বা ধারণাটাই ফলাতে চাই সেটা সঠিক বা বেঠিক যাই হোক না কেন। আর বন্ধু বা কারো সাথে তর্কে আপনি জিতলেও আপনাতের সম্পর্কের বা যোগাযোগের মধ্যে ইফেক্ট পড়তে পারে তাই তর্কে না যাওয়াই ভাল।
ছোট্ট একটা বিষয় নিয়ে কেউ যোগাযোগ খারাপ করতে চাই না। তাই এটা না করাই উত্তম।
★কথার মাঝে সে আমার যা উপকার করেছে তা মনে করিয়ে দেওয়া:-
কথা বলার সময় সে বা তারা আমার লাইভে কি কি সাহায্য করেছে তা মনে করিয়ে দেওয়া এতে সে অনেক খুশি হবে এবং বন্ডিংটা আর স্ট্রং হবে। আমরা এটা না করে এর উল্টোটা করার চেষ্টা করি যে তোকে আমি এই সাহায্য করেছি ঐটা করে দিয়েছি ইত্যাদি অনেক কথা বলি যার ফলে সে আমার সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষন করতে পারে।
★ইতিবাচকভাবে ভূল ধরা:-
কেউ যদি ভূল করেই বসে তবে তা ধরার আগে বা সবাইকে এই সম্পর্কে বলার আগে তাকে পজিটিভলি বলা। যদি পারা যায় বলা যে, এটা এরকম না করে এইভাবে করলেও হত বা এভাবে কাজটি করলে এই ভূলটা আর হয়ত হবে না।
★কাউকে সরাসরি না বলা:-
আপনার কাছে কেউ কিছু আবদার করেছে সেটা যে কোন কিছু হতে পারে যেমনঃ সময়, টাকা, বা অন্যকিছু আর উত্তরে যদি সরাসরি না বলে দেন! তাহলে সে আপনার সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষন করতে পারে তাই 'না' সরাসরি বলবেন না