ছোট্ট নদী বাইগার, তার পাশে ছোট্ট একটি সবুজ গ্রাম, সেই গ্রামে জন্ম নিলেন বাবা মায়ের আদরের ছেলে- খোকা। গ্রামের মানুষের কষ্ট দেখলে, দুঃখ দেখলে সবার আগে খোকা ঝাঁপিয়ে পড়েন। মানুষের দুঃখ কষ্ট তিনি হৃদয়ে ধারণ করেন, সবাই তাঁকে ভালবাসে। এই মানুষটি একদিন নিপীড়িত বাঙালির দুঃখ কষ্ট দূর করার লক্ষ্য নিয়ে মাত্র উনিশ বছর বয়সে রাজনীতিতে যোগ দেন। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা হলো বাঙালির এক নতুন ইতিহাস। শত অত্যাচার আর সীমাহীন বাঁধা উপেক্ষা করে তিনি বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে নেতৃত্ব দিলেন। তাঁর আহ্বানে সহস্র বছর... moreছোট্ট নদী বাইগার, তার পাশে ছোট্ট একটি সবুজ গ্রাম, সেই গ্রামে জন্ম নিলেন বাবা মায়ের আদরের ছেলে- খোকা। গ্রামের মানুষের কষ্ট দেখলে, দুঃখ দেখলে সবার আগে খোকা ঝাঁপিয়ে পড়েন। মানুষের দুঃখ কষ্ট তিনি হৃদয়ে ধারণ করেন, সবাই তাঁকে ভালবাসে। এই মানুষটি একদিন নিপীড়িত বাঙালির দুঃখ কষ্ট দূর করার লক্ষ্য নিয়ে মাত্র উনিশ বছর বয়সে রাজনীতিতে যোগ দেন। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা হলো বাঙালির এক নতুন ইতিহাস। শত অত্যাচার আর সীমাহীন বাঁধা উপেক্ষা করে তিনি বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে নেতৃত্ব দিলেন। তাঁর আহ্বানে সহস্র বছরের ঘুমন্ত বাঙালি জাতিসত্তা ঘোর বর্ষার প্রমত্ত পদ্মার তীব্র খরস্রোতা প্রবল স্রোতধারায় রূপ নিলো। সাতকোটি বাঙালি তাদের যার যা আছে তাই নিয়ে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়লো। প্রবল শক্তিশালী বর্বর শত্রুবাহিনীর মোকাবেলা করলো অসীম সাহসে। স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন দিলেন অসংখ্য মানুষ। তার বিনিময়ে বাঙালি পেলো একটি নতুন মানচিত্র, নতুন পতাকা আর নতুন দেশ - বাংলাদেশ।
(বিশেষ অতিথি জনাব আসাদুজ্জামান নূর- এর বক্তব্য অনুসরনে)
যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণয় করতে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন। কিন্তু শেষ দেখে যেতে পারলেন না। ষড়যন্ত্রকারীরা রাতের অন্ধকারে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করলো। পৃথিবীর ইতিহাসে নিজের দেশের মানুষকে ভালবেসে এত সংগ্রাম, এত আত্মত্যাগ আর কে কবে করেছে?
তিনি বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা, সহস্র বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি - শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় যেন মহান লেখকের লেখা এক একটি মহাকাব্য। তাঁর সংগ্রাম, সাহস, প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ আর দেশের সাধারণ মানুষের জন্য অপরিসীম ভালবাসা আমাদের আলোড়িত করে, শিহরিত করে, উজ্জীবিত করে।
আজ যখন সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়, দেশ যখন নতুন নতুন সাফল্যের সিঁড়ি অতিক্রম করছে তখন দেশের তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু-র জীবন ও আদর্শের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে, তাঁর আদর্শে নিজেদের জীবন গড়তে উদ্দীপ্ত করতে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড-এর উদ্যোগ কুইজ অ্যাপ ‘বঙ্গবন্ধু গ্র্যান্ডমাস্টার’।
‘বঙ্গবন্ধুকে জানো, তাঁর আদর্শে জাগো’ এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে এই অ্যাপটি আজ ২৫ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। ১৯৭৪ সালে এই দিনে জাতিসংঘের বিশ্বমঞ্চে বাংলাভাষাকে প্রথম তুলে ধরেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সদ্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই দিনে জাতিসংঘে সর্বপ্রথম বাংলায় ভাষণ দেন তিনি। বিশ্বমঞ্চে রচিত হয় বাঙালি জাতির আরেকটি গৌরবগাঁথা!
অ্যাপটিতে সন্নিবেশিত প্রশ্নোত্তরগুলো নির্ভুল ও প্রাসঙ্গিক করতে এবং অ্যাপের কারিগরি দিকগুলো সর্বাঙ্গীনভাবে সুচারু করতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন দেশের প্রথিতযশা লেখক, বঙ্গবন্ধু গবেষক, অর্থনীতিবিদ ও সাংবাদিক সমন্বয়ে গঠিত একটি সম্পাদনা পরিষদ। তাঁদের প্রতি আমাদের গভীর কৃতজ্ঞতা এবং আন্তরিক ধন্যবাদ।
আমাদের প্রত্যাশা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শ থেকে আজকের প্রজন্ম আলোর পথের সন্ধান পাবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হবে। আর আমরা পাব অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ, সমতাভিত্তিক, দারিদ্রমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক একটি দেশ।