১) অতীতের কথা – সব মানুষ বেশির ভাগ সময় অতীত নিয়ে পড়ে থাকে । যখন আপনি একলা থাকেন তখন আপনার মনে শুধু অতীতের খারাপ কথা গুলো মনে পড়ে, আর নিজেকে কষ্ট দেন । অতীতের যা ঘটেছে তা আপনার হাতে ছিলনা, আপনি আর তা পরিবর্তন করতে পারবেন না । হয়তো আপনার জীবনে কোন বড় ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কাটিয়ে দিচ্ছেন । এগুলো ভেবে সময় না কাটিয়ে ভবিষ্যতে কি করবেন তা ভাবুন । যা জীবনের দুঃখের কারণ তা না ভাবাই উচিৎ । আজ এখন থেকে অতীতের কথা ভোলার চেষ্টা করুন । সমাজে থাকলে অনেক মানুষ অনেক কথা বলবে তাতে কান না দিয়ে নিজের কাজে নিয়ে থাকুন ।
২) জীবনের চাওয়া-পাওয়া – আমাদের মানুষ জীবনে চাওয়ার পাওয়ার কোন শেষ নেই । যে জীবনে যত পায় সে আরও বেশি বেশি চায় । আপনার যা আছে তাই নিয়ে সুখী থাকার চেষ্টা করুন । একবার ভেবে দেখেছেন কি আপনার থেকেও পৃথিবীতে আরও দুঃখী মানুষ বেঁচে আছে । আপনি হয়তো জীবনে কোন কিছু হতে চান বা করতে চান কিন্তু , মনের মত করতে পারছেন না । সময় নিয়ে কাজ করুন জীবনে একদিন আপনার ও আসবে । কখন নিজেকে অন্যের থেকে ছোট ভাববেন না । জীবনে চাওয়ার একটা সীমা থাকে এর বেশি চাইলে আপনি পাবেন কি করে । আপনার যোগ্যতা অনুসারে আপনি ঠিক ততটা পাবেন ।
৩) নিজেকে সুখী না ভাবা – আপনি যদি সুখী হতে চান তো আপনাকে ভাবতে হবে যে আপনি সুখী । এখন আমি আপনাদের একটি গবেষণার কথা বলবো । এমন কিছু মানুষদের নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল যারা ছিল অসুস্থ । তাঁরা জানতেন না যে তাঁদের নিয়ে কোন গবেষণা করা হচ্ছে । কয়েকদিন চিকিৎসার পর তাঁদের জিজ্ঞাসা করা হয় যে আপনারা কেমন আছেন । তাঁরা উত্তর দেয় যে তাঁরা আগের থেকে ভাল আছেন ও সুস্থ হচ্ছেন । কিন্তু আসল কথাটা শুনলে আপনি চমকে যাবেন । তাঁদের যে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল সেগুলি কোন ওষুধ ছিলনা , ছিল চিনির দানা । এই গল্পের দ্বারা আমরা কি শিখলাম, সুখী থাকাটা নিজের উপর ও কিছুটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে । আপনি আর আপনার পরিবেশ যদি ভাল রাখতে পারেন তাহলে সুখী হরে কোন বাঁধা থাকবেনা ।
৪) মনের কথা চেপে রাখা – আমরা কি করি আমাদের জীবনের না বলা কথা গুলো কাউকে না বলতে পেরে নিজে নিজে দুঃখ পাই । না বলা কথা মনের মধ্যে চেপে রাখবেন না , আপনার নিকট আত্মীয় বা বন্ধুদের কাছে শেয়ার করুন । তাতে আপনার মনের কোনে চেপে রাখা দুঃখ কিছুটা হালকা হবে । তবে হ্যাঁ সেই মানুষদের বলবেন যারা সত্যি কারের আপনার ভাল চায় । যারা সামনে বন্ধু আর বাইরে শত্রু তাঁদের ভুলেও একদম এসব কথা বলতে যাবেন না ।
৫) নিজেকে ব্যস্ত রাখা – কর্মময় জীবনই সুখী হওয়ার সবচেয়ে মোক্ষম উপায় । সারাদিনের কাজের একটি নির্দিষ্ট রুটিন সাজিয়ে নিন । আপনি যদি নিজেকে সব সময় কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখতে পারেন তাহলে আপনার একা একা থাকার সময় থাকবেনা । যখন আপনি একলা থাকেন তখন আপনার মধ্যে যত রাজ্যের আজে বাজে চিন্তা ভাবনা চলে আসে । কাজের মধ্যে থাকলে আপনার আর চিন্তা ভাবনার করার সময় থাকবেনা । যখন আপনি একা থাকেন তখন বই পড়তে, গান শুনতে, বন্ধুদের নিয়ে খেলা করতে পারেন । আপনার যদি বিশেষ কোন শক বা হবি থাকে সেটা করতে পারেন ।
কিছুদিন এ রুটিন মেনে চলুন, আশা করি আপনি সুখী মানুষ হিসাবে সুখ অনুভব করবেন । সেই সঙ্গে সর্বদা মনে রাখবেন, সুখ অর্থ বিত্তে থাকেনা । সুখ রয়েছে দায়িত্বশীলতায়, সুখ আসে নিয়মানুবর্তিতায় ও সত্যবাদিতায় ।
Comments (0)