ইন্টার্নশিপ কেন এতো জরুরি
বর্তমানে ইয়থদের কাছে “ইন্টার্নশিপ” শব্দটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মূলত স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য নিজেকে সরাসরি একটা প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত করা যায় এর মাধ্যমে। ইন্টার্নশিপ হচ্ছে অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে নিজের দক্ষতাকে শান দেয়া। ইন্টারনশিপ দুই ধরনের হয়ে থাকে, পেইড ইন্টার্নশিপ এবং আনপেইড ইন্টার্নশিপ। যারা ইন্টার্নশিপ করে তাদের বলা হয় ইন্টার্ন।
করোনাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিকট ইন্টার্নশিপ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের ঘরে বসেই তাদের সাথে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন নিজেদের অবসর সময়কে কাজে লাগাতে পারছে, অন্যদিকে নতুন একটি অভিজ্ঞতা অর্জনের সু্যোগ পাচ্ছে।
ভার্সিটির ফ্রেশারদের ইন্টার্নশিপ করার প্রয়োজনীয়তা আছে বৈকি! মধ্যবিত্ত আয়ের দেশের তুলনায় উন্নত দেশগুলোর মধ্যে ইন্টার্শিপ এর প্রচলন অনেক বেশী। কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য তারা ইন্টার্নশিপকে অপরিহার্য একটি বিষয় বলে মনে করে। কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশনা শেষ করে কিংবা কোন টেকনিক্যাল কোর্স করে প্রাক্টিক্যাল লাইফের কাজের ধারনাটা পাওয়া কঠিন। তাই ইন্টার্ভিউগুলোতে গিয়ে কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন প্রশ্ন করলে দেখা যায় ক্যান্ডিডেট যত ভালোই স্টুডেন্ট হোক না কেন বা উচ্চ ডিগ্রীধারী হোক না কেন সেসব প্রশ্নের কাছে হিমশিম খেয়ে যায়। কারন থিওরি সে অনেক ভাল জানলেও বাস্তবগত অভিজ্ঞতা তার নেই। তাই ইন্টার্নশিপ করাটাকে বলা চলে চাকুরি জীবনে প্রবেশের আগে নিজেকে প্রস্তুত করে নেবার এটা একটা চমৎকার শিক্ষানবিশ অর্জনের উপায়। তাই শর্ট হোক আর লং ভালো একজন দক্ষ কর্মী হয়ে প্রফেশনে প্রবেশ করার জন্য ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম করাটা খুবই জরুরী।
Comments (1)