"বিজয় দিবস কন্টেন্ট রাইটিং বা ব্লগ কনটেস্ট"
নাম- খন্দকার নাঈমা আক্তার নুন
প্রতিষ্ঠান : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
ই - মেইলঃ naymanoon5@gmail.com
ব্লগ টপিক: তরুণদের চোখে ১৯৭১
তরুণদের চোখে ১৯৭১
১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে বাঙালির যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল,১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বরের মাধ্যমে আবার বাঙালির সেই সূর্য উদিত হয়। বাঙালির জীবনে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা ঘটে। বাঙালির বিজয় হয়,বাঙালি জাতির বিজয় হয়।আমরা তরুণ প্রজন্ম। আমরা সরাসরি যুদ্ধ দেখার সুযোগ আমাদের হয়ে ওঠে নি। তাই বলে আমরা বাঙালির ইতিহাস জানি না! এমনটি নয়।১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস প্রাণপণে যুদ্ধ করেছে বাঙালির বীর সন্তানরা।৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে,২ লক্ষ মা,বোনের ত্যাগ তিতিক্ষা ও কোটি কোটি মানুষের আত্নত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই লাল সবুজের স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ।১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানের উপর পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ,নিপীড়ন, অন্যায়,অত্যাচার সব রক্তাক্ত অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে ১৯৭১ সালের বিজয়ের মাধ্যমে।১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ আর এক্ষেত্রে অবদান ছিল আমাদের মত তরুণদের।
পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বর্বরতায় যখন পুরো দেশ তখন দেশমাতৃকা ও দেশের মানুষকে মুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে হাজির হয়েছিল রাসেদ।কিশোর মন আন্দোলিত হয়েছিল বাংলা ও বাংলার মানুষকে মুক্ত করতে।নিজ প্রচেষ্টায় বন্ধুদের নিয়ে যুদ্ধ করেছে কিশোর রাসেদ।মুক্তিবাহিনীকে বুলেট পৌঁছে দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধাকে উদ্ধার, মুক্তিবাহিনীর সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধ সবই যেন স্মরণ করিয়ে দেয় ১৯৭১ সালের ঘটনাগুলোকে।রাজাকার আজরফ আলী যখন রাসেদের চোখ বেধেঁ বলতে বলে :
" পাকিস্তান জিন্দাবাদ "
আর রাসেদ বারবার যখন বলে
" জয় বাংলা"
সারা শরীর কাটা দিয়ে ওঠে তখন।ইচ্ছে করলেই প্রাণ বাঁচাতে পারতো রাসেদ।কিন্তু রাসেদ মাথানত করে নি।এইরকম হাজারো যোদ্ধা রয়েছে যারা মাথানত করে নি বলেই আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি।তরুণ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের এই রকম গল্প আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।নতুন করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার মন্ত্র।নতুনভাবে বাঁচার শক্তি,অনুপ্রেরণা।
Comments (0)