জ্যাক রুশো বলেছেন, ‘মানুষ স্বাধীন হয়ে জন্মগ্রহণ করলেও সর্বত্র সে শৃঙ্খলার কবলে আবদ্ধ। কোনো মানুষ চিরকাল শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয়ে থাকতে চায় না। সব মানুষই নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে চায়।’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসও তার ব্যতিক্রম নয়। মূলত পশ্চিম পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, প্রতিরক্ষা এবং শিক্ষা বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল।
স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস স্থান–কাল পাত্রভেদে ভিন্ন হয়। জাতি হিসেবে আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে অতি অল্প সময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বুকে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বাঙালি জাতি আত্মবিকাশ লাভ করে। যার স্বপ্নবীজ রোপিত হয়েছিল একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চে সমগ্র জাতির উদ্দেশে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণের মাধ্যমে। স্বাধীন জাতি হিসেবে এ বছর এ জাতি অর্ধশতক পেরোল।
দেখতে দেখতে আমরা মহান স্বাধীনতার ৫০ বছরে পদার্পণ করেছি। ক্রমান্বয়ে বেড়েছে আমাদের অর্জন। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান মতো মৌলিক চাহিদা গুলো নিশ্চিত হয়েছে। শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, মাতৃমৃত্যুর হ্রাস, গড়ে আয়ু বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, জন্মমৃত্যু হ্রাস ইত্যাদিও উন্নত হয়েছে।
পদ্মা সেতু, রুপপুর পারমানবিক প্ল্যান্ট, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল স্থাপন, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, ফ্লাইওভার ইত্যাদি আমাদের অর্জন গুলোর মধ্যে অন্যতম।
ইতোমধ্যেই আমরা স্বল্পোন্নত থেকে উন্নত দেশগুলোর কাতারে দাড়াতে সক্ষম হয়েছি। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বে বিষয়। সবমিলিয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের অর্জন বিশ্ব দরবারে প্রসংশিত হয়েছে। আগামীতে উন্নয়নের এ ধারা অব্যহত থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর কাতারে স্থান পাবে। বাংলাদেশের সুনাগরিক হিসেবে এবিষয়ে সবাই আশাবাদী।
Comments (0)