সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশর শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন ও হার বৃদ্ধির ফলে চাকুরির বাজারে ও প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে কর্মসংস্থানের চাহিদা ও প্রতিযোগিতা। চাকুরি প্রার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী চাকুরির বাজার অত বড় না হওয়াতে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে চাকরি বা কর্মসংস্থান বেছে নিতে হয় চাকরি প্রার্থীদের। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির অধিকতর বিকাশের ফলে চাকুরির ক্ষেত্রেও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রতিযোগিতা মূলক অবস্থায় চাকুরি প্রার্থীদের বেশকিছু নিয়ম কানুন মেনে বা শিখে যদি চাকুরির বাজারে না যায় সে ক্ষেত্রে চাকুরি প্রার্থীদের জন্য উপযুক্ত ও পছন্দসই চাকুরি বা কর্মসংস্থান বেছে নেয়া অনেকের ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিকে মাথায় নিয়ে ইনস্পায়ারিং বাংলাদেশ প্রযোজিত ও বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রালয়ের অধিন্যস্ত এলআইসটি প্রকল্প ও দুর্বার এর অংশগ্রহনে তরুণদের জন্য শুরু হচ্ছে ’এমপ্লোয়েবিলিটি ফেস্ট' ২০২০।
আয়োজনটি আগামী ১৫-১৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এমপ্লোয়েবিলিটি ফেস্ট এর চারটি স্তম্ভ যেগুলো আমাদের নির্ধারিত উদ্দেশ্যগুলো নিশ্চিত করবে:
১. চাকরির দক্ষতা বিষয়ক সচেতনতা গঠন করা।
২. নিয়োগকর্তা এবং পেশা সন্ধানীদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন।
৩. ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং টুলস উন্নতিকরণ।
৪. স্নাতকোত্তরদের মেনটরিং এবং কোচিং।
যুবসমাজের কাছে প্রশ্ন রইলো, একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে ঠিক কোথায় আছেন আপনি? আপনার পরিচয় কী? নিজেকে নিজের জায়গায় ঠিক কতটুকু প্রমাণ করতে পেরেছেন? চলে আসুন Employability Fest এ! আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন! Inspiring Banladesh presents #EmlpoyabilityFest বাংলাদেশের জন্য এটা একটা সুবর্ণ সময়। আমাদের মোট জনসংখ্যার ৩৩ শতাংশেরও বেশি কর্মঠ যুবক যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। বর্তমানে আমরা যে ৩৩ শতাংশ কর্মঠ যুবক পাচ্ছি তা জনতাত্ত্বিক লভ্যাংশ তত্ত্বের ফলস্বরূপ। পুনরায়, বিশেষজ্ঞরা অন্যভাবে বলার চেষ্টা করছে যে,কর্মঠ যুবকদের মাধ্যমে আমাদের সীমাহীন সুযোগও রয়েছে। যদি যুব সমাজকে সময়মত পথনির্দেশনার মধ্যে দিয়ে সঠিক কাজের জন্য ব্যবহার করা যেতে না পারে, তাহলে ধরে নেয়া হয় যে,আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ জনতাত্ত্বিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারি। বর্তমান অবস্থায়, প্রত্যেক নিয়োগকর্তা কর্মঠ যুবক খুঁজছে যার চাকরি করার দক্ষতা আছে। উইকিপিডিয়া অনুসারে, "Employability" হলো,কাজ এবং কাজে নিয়োজিত হওয়ার দক্ষতা। উদাহরণস্বরুপ: প্রথমেই চাকরি পাওয়ার দক্ষতা। চাকরি বহাল রাখার দক্ষতা। প্রয়োজনে নতুন চাকরি পাওয়ার দক্ষতা। আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,যুবক এবং সরকারি পর্যবেক্ষণ সেলগুলোর মধ্যে একটা বিশাল দূরত্ব রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে,'ইনস্পায়ারিং বাংলাদেশ’ ’এমপ্লোয়েবিলিটি ফেস্ট' নামে একটি প্রোগ্রামের উদ্যোগ নিয়েছে যেখানে আমরা আশা করছি, ১০০,০০০+ অংশগ্রহণকারী এবং ১০০+ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকবে যারা চাকরির যোগান দিতে পারবে। গুরুত্ব প্রাধান্যের ক্ষেত্রসমূহঃ
১. আমাদের যুবকদের মধ্যে চাকরির যোগ্যতাকে উন্নত, পর্যবেক্ষণ এবং পদোন্নতি করতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করা যাতে তারা নিজেদেরকে তাদের কর্মস্থানের উপযুক্ত করে তুলতে পারে প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা ও ধারণার সাথে।
২. নিয়োগকর্তাদের সঠিক সময়ে সঠিক লোক পেতে সাহায্য করা প্রয়োজনীয় মেধা দেখে।
৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়োগকারী এবং স্নাতকোত্তরদের মধ্যে দূরত্ব কমাতে সাহায্য করা।
এই আয়োজন নিয়ে ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ এর ফাউন্ডার ইমরান ফাহাদ বলে, "এমপ্লোয়েবিলিটি ফেস্ট এর মাধ্যমে আমরা ১০০,০০০ যুবক কে ভবিষ্যৎ চাকরীর জন্য তৈরী করতে পারবো সেই প্রতিজ্ঞা নিয়ে আমাদের এই প্রয়াস। তিনি জানান, এবারে এমপ্লোয়েবিলিটি ফেস্ট এর সহযোগী পার্টনার হিসেবে থাকছেন: এলআইসিটি, দুর্বার, জিও ফোন, বিএসডিআই, কানাডিয়ান ইউনিভারসিটি বাংলাদেশ, বিডি অ্যাপস, রাবভিক ইনোভেশন, কর্ম জবস, স্কীল জবস, ক্যারিয়ার হাব বাংলাদেশ, শার্পনার, লীডসাস, লাক্স বাংলাদেশ, বীগ ভেঞ্ছার, চার চাকা, গ্লোবাল নিউজ পোর্টাল ”টেকভিশন২৪.কম” ও জিডি বাংলা।
অংশগ্রহন করতে রেজিষ্ট্রেশন করুন : https://rb.gy/ood9sa
Comments (0)