Digital Marketing কি?
বর্তমান যুগ হাই স্প্রিট ইন্টারনেটের যুগ।এখন ঘরে বসে মানুষ বিশ্বের সব খবরাখবর রাখতে পারছে । বলা যায় পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয় । এই ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে যে ব্যবসায়িক মাধ্যম গড়ে উঠেছে তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। এককথায় বলা যায়- ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য,প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের প্রচারনাকে বোঝায়। ইন্টারনেট ব্যবস্থা ডিজিটাল মার্কেটিং এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। যেমন- গুগল, ইউটিউব, বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফেসবুক সহ নানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন?
এর জবাব হতে পারে এমন- খুব স্বল্প সময়ে সঠিকভাবে আপনি আপনার পন্যকে কাস্টমারের কাছে আকর্ষণীয় ভাবে তুলে ধরতে পারবেন। আপনার পণ্য টি যে সকল কাস্টমারের কাছে ব্যপক চাহিদা রয়েছে তাদের সহজে চিহ্নিত করতে পারবেন। আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডের সাথে ব্যবসায়িক ঘাটতি সহজে নির্ণয় করতে পারবেন। এক কথায় ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার ব্যবসাকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।
কি ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন?
প্রথমত আপনার পণ্যটি কোন ক্যাটাগরির কাস্টমারের কাছে চাহিদা সম্পূর্ণ তা বিবেচনা করে সে অনুযায়ী সঠিক তথ্য ও আকর্ষণীয় কনটেন্টের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। পণ্যের ধরণ ও চাহিদানুযায়ী আপনাকে কনটেন্ট সাজাতে হবে। আপনি কোন ডিজিটাল মাধ্যম কে ব্যবহার করে মার্কেটিং শুরু করবেন তা ঠিক করতে হবে এবং সেই ডিজিটাল মাধ্যমটি সম্পর্কে আপনাকে ভাল জ্ঞান রাখতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার?
ডিজিটাল মার্কেটিং সাধারণত অনেক প্রকারের হয়ে থাকে তবে ছয়টি প্রকার অন্যতম। আজকে এই ছয় প্রকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
কনটেন্ট মার্কেটিং
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং
ইমেইল মার্কেটিং
ওয়েব এনালাইটিক্স
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটারসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানো হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সোশ্যাল মিডিয়া প্রায় সব বয়সের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। এতে অল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে বহু সংখ্যক গ্রাহকের কাছে সহজে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানো সম্ভব।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
গুগল, বিং, ইয়াহুসহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে কোন পণ্য, সার্ভিস ও ওয়েবসাইটকে যে কেউ যেন সহজে খুঁজে পায়, তার জন্য যে বিশেষ কার্যক্রম চালানো হয়, তা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) বা এসইও (SEO) হিসাবে পরিচিত। এটি দীর্ঘমেয়াদী একটি প্রক্রিয়া।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সার্চ ইঞ্জিনে কোন না কোন বিষয়ের উপর তথ্য খোঁজেন। সে তথ্য যদি আপনার পণ্য বা সার্ভিসের সাথে সম্পর্কিত হয়, তাহলে আপনি নিশ্চয় চান যে ব্যবহারকারী আপনার পণ্য বা সার্ভিসের ব্যাপারে জানুক। কিন্তু আপনার মতো আরো অনেকে হয়তো একই পণ্য বা সার্ভিস দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য হবে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে সবচেয়ে উপরের দিকে থাকা। এর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন দরকার হবে আপনার।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
গুগল, বিং, ইয়াহুসহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে কোন পণ্য, সার্ভিস ও ওয়েবসাইটকে যে কেউ যেন সহজে খুঁজে পায়, তার জন্য সরাসরি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হলে তাকে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (Search Engine Marketing) বা এসইএম (SEM) বলে। প্রয়োজনীয়তা ও বাজেটভেদে এটি স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া হতে পারে।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া হবার কারণে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও সতর্কতার সাথে এটি বাস্তবায়ন করতে হয়। কিন্তু আপনার পণ্য বা সার্ভিসের বিক্রি বাড়ানোর জন্য হয়তো ততটা সময় আপনার নাও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে টাকা খরচ করে সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে বিজ্ঞাপন দিলে তুলনামূলকভাবে কম সময়ে আপনার প্রচারণার ফলাফল পেতে পারেন। এলেক্সার রেংকিং কি ? এলেক্সার রেংকিং নিয়ে বিস্তারিত টিপস।
ইমেইল মার্কেটিং
ইমেইলের মাধ্যমে কোন পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানোকে ইমেইল মার্কেটিং বলে। এটি দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া। সাধারণত অনলাইন কোন ফর্মের মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতাদের ইমেইল অ্যাড্রেস সংগ্রহ করতে হয় এ কাজের জন্য। তবে আমাদের দেশে এর ব্যবহার এখনো সীমিত।
ইমেইল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
অধিকাংশ ক্রেতা অনলাইন প্রচারণা ও বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে থাকেন। তাই আপনার পণ্য বা সার্ভিসের উপর তাদের আস্থা অর্জনে নিয়মিত ইমেইল ভূমিকা রাখতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
কোন পণ্য বা সার্ভিসের সরাসরি বিক্রয়ে সাহায্য করে অর্থ উপার্জনের জন্য যে প্রচারণা চালানো হয়, তাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) বলে। সাধারণত আমাজন বা দারাজের মতো ইকমার্স সাইটগুলোর পণ্য ও সার্ভিসের ক্ষেত্রে এ মার্কেটিংয়ের বহুল ব্যবহার রয়েছে। তবে সরাসরি বিক্রি হওয়া অন্য যেকোন পণ্য বা সার্ভিসের বেলায় এটি প্রযোজ্য হতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
কোন পণ্য বা সার্ভিস কেনার আগে ক্রেতারা এর মান সম্পর্কে জানতে চান। এর ভালো-মন্দ দিক নিয়ে তাদেরকে জানানো সম্ভব রিভিউর মাধ্যমে। কেউ আপনার রিভিউ পড়ার পর যদি অ্যাফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করে ঐ পণ্য বা সার্ভিস কিনে থাকেন, তাহলে লাভের একটা অংশ পাবেন আপনি। কম সময়ে ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ভূমিকা রাখতে পারে।
মোবাইল মার্কেটিং
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানোকে মোবাইল মার্কেটিং বলে। উল্লেখ্য যে, উপরের সব ধরনের মার্কেটিং মোবাইলের বেলাতেও প্রযোজ্য। এছাড়া, এসএমএস পাঠিয়েও মোবাইল মার্কেটিং চালানো সম্ভব।
কনটেন্ট মার্কেটিং
কনটেন্ট হলো কোন একটি বিষয় বা বস্ত কে কেন্দ্র করে ব্লগ ,ছবি বা ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে তার আকর্ষণীয় বর্ণনা করে তা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশ করা। বিভিন্ন পণ্যের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনকেও কনটেন্ট মার্কেটিং বলা যায়। ব্লগিং এর মাধ্যমে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা, অনলাইনে ছবি বা পোষটারিং অথবা ভিডিও মাধ্যমে পণ্য বা ব্র্যান্ডের প্রচারকে কনটেন্ট মার্কেটিং বলে।
ওয়েব এনালাইটিক্সঃ
ওয়েব এনালিটিক্স হল আপনার ওয়েব সাইট টি কতজন ভিজিট করছে কোন অঞ্চল থেকে কেমন বয়সীরা ভিজিট করছে তা বিভিন্ন সাইট বা সফটয়্যারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা। এক কথায় বলা যায় একটি ওয়েব সাইটের ভিজিটর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এনালাইসিস করাকে ওয়েব এনালাইটিক্স বলে।আমরা অনেকেই গুগুল ওয়েব এনালাইটিক্স, বিং ওয়েব এনালাইটিক্স এবং ইয়াহু এর ওয়েব এনালাইটিক্স এর সাথে পরিচিত। এগুলো দিয়ে কোন একটি ওয়েব সাইটের ভিজিটরের তথ্য সহ অন্যান্য তথ্য গুলো পাওয়া যায়।
Comments (0)