একাত্তরের ১০ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় নড়াইল। মিত্র বাহিনীর অংশগ্রহণ ছাড়াই নড়াইলের বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই দিন নড়াইল জেলা, তৎকালীন নড়াইল হমকুমা সম্পূর্ণরূপে শত্রুমুক্ত করতে সক্ষম হন।
যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকেই সরকারি অস্ত্রাগারের তালা ভেঙে অস্ত্র সংগ্রহের মধ্য দিয়ে পাক হানাদার ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে প্রতিরোধ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন নড়াইলের মুক্তিকামী জনতা। পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের বিভিন্ন অস্থায়ী যুদ্ধ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশ ফিরে নড়াইলের বিভিন্ন রণাঙ্গনে যুদ্ধে অংশ নেন নড়াইলের মুক্তিযোদ্ধারা।
৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের এক পর্যায়ে নড়াইলকে শত্রুমুক্ত করতে চূড়ান্ত আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০ ডিসেম্বর চিত্রা নদীর পূর্ব তীর থেকে পরিচালিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মিলিত আক্রমণে শত্রুমুক্ত হয় নড়াইল। মুক্তিযুদ্ধে নড়াইলে ৩ হাজার ৬২৩ জন মুক্তিকামী নারী-পুরুষ শহীদ হয়েছেন।
Comments (2)