ছোট স্বপ্ন পূরণে বড় স্বপ্নের প্রত্যাশায়

নারী, গাড়ি, বাড়ি এই তিনটিই মূলত সবার দেখা স্বপ্নের মাঝে বেশি প্রাধান্য লাভ করে।

 

ভালো একটা চাকরির স্বপ্ন সবাই দেখে। সেটা হলে বাড়ি, গাড়িও যেমন চলে আসে। তেমনি পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুখি জীবনযাপন করতে পারাটাও যেন সকলের স্বপ্নের বড় অংশ জুড়ে থাকে।

এর পাশাপাশি আশেপাশের লোকজনের দেখে কিংবা প্রয়োজনের তাগিদেও মানুষ স্বপ্ন দেখে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্র নিজের করে রাখতে।

 

নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত

এই বিত্তের বৃত্তের আড়ালেই যেন চাপা রয়ে যায় হাজারো ছোট, বড় স্বপ্নের।

 

সমাজের প্রত্যেক শ্রেণি, পেশা, বয়সের মানুষের কিছু না কিছু ইচ্ছা বা স্বপ্ন থাকে।

সেই স্বপ্ন আকাশচুম্বী হলেও কোন সমস্যা হয় না। কারণ স্বপ্ন দেখতে তো আর টাকা লাগে না.......

 

হয়ত অনেকটা সময় নিম্নবিত্তদের দেখা স্বপ্নগুলো দুচোখের মাঝেই সীমাবদ্ধ হয়ে থেকে যায়।

মধ্যবিত্তদের বেলায় সেটা পুরোটা সম্ভব না  হলেও কিছুটা হয়ত স্বপ্নের আকৃতটা বাস্তবে রূপ দেওয়া যায়।

অন্যদিকে উচ্চবিত্তদের বেলাতেও এরকম বেশি থেকে আরো বেশি কিছু পাবার, না পাবার বেদনা থেকেই যায়।

কারণ স্বভাবগুণেই মানুষের চাহিদার কোন শেষ হয় না।

 

বর্তমানে একজন ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থী হিসেবে বিভিন্ন কারণেই আমার প্রিন্টারের প্রয়োজন হয়েই থাকে।

তবে নিজস্ব একটা প্রিন্টার নেবার ইচ্ছা ছিল অনেক আগে থেকেই। কিন্তু আমার বাজেট অনুসারে সেরকম ভালো মানের প্রিন্টার কেনার সামর্থ্য হয়ে ওঠে নি।

 

গতবছরেই পরিচিত হয় বাংলাদেশের একটি অনলাইন শপিং সাইট " ইভ্যালি " র সাথে। তাদের একবছর পূর্তি অনুষ্ঠানের অল্প কিছুদিন আগে।

সেই সময় বিভিন্ন গ্রুপে তাদের দেওয়া ২০০-৩০০% গিফট কার্ডগুলোর কথা শুনে অনেকটা আশ্চর্যই হয়ে যায়।

 

এগুলো দেখে প্রথম অবস্থায় একটু ভয়ের উপরেই ছিলাম..... বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে পেমেন্ট করার পর যদি সাইটটাই উধাও হয়ে যায় ! তবুও অনেক ভেবে চিন্তে একটা গিফট কার্ড কিনে ফেলি।

এরপর সেই গিফটকার্ডের উপর দেওয়া সাইক্লোন অফারের ফলেও সম্ভব হয়ে ওঠে মাত্র ৬৫০০ টাকাতে প্রায় ২৫০০০ টাকা সমমূল্যের একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল কেনার?।  যেটি ছিল আমার আম্মুর জন্য।

 

তারপর থেকেই অপেক্ষায় থাকি কখন একটা ভালো প্রিন্টারের উপর অফার দেওয়া হবে...... অবশেষে জুন মাসের দিকে বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টারের উপর ক্যাশব্যাক অফার দেওয়া হয়।

এরমধ্যে থেকেই আমার পছন্দ অনুযায়ী একটা প্রিন্টার অর্ডার করে ফেলি।

আর সেই সময় ভিসা কার্ডে থাকা ২০% ডিস্কাউন্টের কারণে আমার প্রিন্টারটা ধরতে গেলে ১০০% ক্যাশব্যাক অফারেই নেওয়া হয়ে যায়?।

এবং এর মাধ্যমে আমার ছোট এই স্বপ্ন বা চাওয়া টুকুও পূরণ হয়।

 

 

 

এখন যারা এই ব্লগটি পড়লেন তাদের অনেকেই লেখাটি হাস্যকর লাগতে পারে।

মনে হতে পারে, সামান্য একটা প্রিন্টার কিনে এত লেখালেখির কিই বা আছে !

 

তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই -

আমি এখনো একজন সাধারণ শিক্ষার্থী।  বাড়ি থেকে টাকা নিয়েই চলতে হচ্ছে। হয়ত ইনশাল্লাহ একদিন সামর্থ্য হলে নিজের টাকাই ইচ্ছামত আরো দামী- দামী জিনিস কিনিতে পারব।

লেখাপড়াসহ বিভিন্ন দিক দিয়েই অনেক চাওয়া-পাওয়া অপূর্ণ রয়ে গেছে। ছোট একটা স্বপ্ন / ইচ্ছা পূরণ হয়েছে কেবল।

 

এখন কেনাকাটার দিক থেকে একটা বড় স্বপ্ন মাথায় আটকে গেছে। আমার আব্বুর চাকরি আর কয়েকমাসের মধ্যেই শেষ হতে চলেছে। আব্বু সারাজীবন অন্যের গাড়ি চালিয়ে। তাই আমার অন্যতম স্বপ্ন এখন একটাই ইনশাল্লাহ আল্লাহ তায়ালা সহায় হলে আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে আমার নিজের টাকাই একটা গাড়ি কিনে সেই গাড়িতে আব্বুকে সফর করানো?।

 

আশা করি, সেই সময়টাতেও ইভ্যালিকে পাশে পাব। কারণ তাদের মাধ্যমেই আজ লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হয়েছে। যা একসময় সকলেই অসম্ভব মনে করত।

 

সেকারণে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ দিয়ে রাখতে চাই পুরো ইভ্যালি কর্তৃপক্ষকে।

সেই সাথে কৃতজ্ঞতা  ইভ্যালির CEO, মোহাম্মদ রাসেল ভাইয়ের প্রতি?।

 

সবশেষে নতুনদের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলব,

ইভ্যালি থেকে কেনা পণ্যের ডেলিভারি পেতে সময় লাগে সত্যিই। এখনো আমার বেশ কয়েকটা ছোটখাটো অর্ডার আটকে আছে।

কিন্তু কখনো হতাশ হবেন।  অপেক্ষায় থাকুন। নিশ্চয় অপেক্ষার ফল সুমিষ্ট হবে।

 

 আমি যতটুকু বুঝেছি -  ইভ্যালি অনেক বড় একটা পরিকল্পনা নিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে ও স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। তাই তাদের এই বিশাল কাজের ফাঁকেফাঁকে কিছু ভুলত্রুটি হতেই পারে। তবে না সংশোধনযোগ্য।

তাই ভরসা রাখতেন পারেন ইভ্যালির উপর। আশা করি তারা আপনাকে নিরাশ করবে না।

 

 

পুরো লেখাটি পড়ে থাকলে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ?।

Posted in Personal Blogs on August 17 2020 at 08:47 PM

Comments (2)

No login
color_lens
gif