বঙ্গবন্ধুকে নিয়েই তখন মুখরিত ভীড়। সেই ভীড়েই কেউ কেউ থাকে আলাদা। শেখ কামাল সেই আলাদা মুখ। শেখ কামাল ছিলেন জ্বলে উঠা সাহস, তার আওয়াজ বদলে দেয় মিছিল। ২৫শে মার্চ ১৯৭১, সময়কে তিনি মুঠুতে নিয়ে চলেন। এবার সময়ের ডাকে দিলেন সাড়া। মুক্তিযুদ্ধ শেখ কামালকে দিয়েছিলো আরো কিছু বেশি। হাজার স্বপ্নের আগুন। সেই আগুন তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। বুঝেছিলেন নাটক দিয়ে সময়ের কথা বলতে হবে, দেশের কথা বলতে হবে।
শেখ কামাল ছিলেন একজন গতিময় মানুষ। তাই হয়তো তিনি নিজে খেলেছেন। খেলার গতিতে জাগুক তরুণ। তার ছিলো ব্যক্তিগত সুরের সময়। সেতার থেকে পপ কোথায় ছিলেন না তিনি। ভীড়ের মাঝেও তাকে একদিন খুঁজে নেয় ভালোবাসা। ১৫ই আগস্ট কালরাতের বর্বর হত্যাকান্ডের প্রথম শিকার শেখ কামাল। আজ তার জন্মদিন। সময়ের সাহসী বীরের প্রতি আমাদের সশ্রদ্ধ ভালোবাসা।
১৯৭৩ সালে আবাহনীর জন্য বিদেশী কোচ বিল হার্টকে নিয়ে আসেন শেখ কামাল
ছোটবেলা থেকেই শেখ কামাল ছিলেন প্রচন্ড ক্রীড়ানুরাগী। শাহীন স্কুলে পড়ার সময় স্কুল একাদশে নিয়মিত ক্রিকেট, ফুটবল, বাস্কেটবল খেলতেন। আজাদ বয়েজ ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে নিয়মিত খেলেছেন। দীর্ঘকায় শেখ কামালের সেই চমৎকার 'বোলিং' ছিলো চোখে পড়ার মতো। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শেখ কামাল শুধু খেলোয়াড় হিসাবে নয়, ক্রীড়া সংগঠক হিসাবেও আত্মপ্রকাশ করেন। বন্ধুদের নিয়ে ধানমন্ডির সাতমসজিদ এলাকায় তৈরী করেন 'আবাহনী ক্রীড়াচক্র'। ফুটবল খেলায় তিনি শুধু বাংলাদেশ কেন, গোটা উপমহাদেশেই পশ্চিমা স্টাইলে বিপ্লব এনেছিলেন। সেই ১৯৭৩ সালে আবাহনীর জন্য বিদেশী কোচ বিল হার্ট কে এনে ফুটবল প্রেমিকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন! তখন ক্লাব তো দুরের কথা, এই উপমহাদেশে জাতীয় দলের কোনো বিদেশী কোচ ছিলোনা’।
Comments (0)